
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে মো. বাদশা মিয়া (৫৫) নামের এক খুচরা সার ব্যাবসায়ীর ঘর থেকে ১৩৩ বস্তা টিএসপি সার উদ্ধার করেছে উপজেলা প্রশাসন।
গতকাল সোমবার রাত ৯ টার দিকে উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়ন পরিষদ ভবন সংলগ্ন পিনুর মোড় থেকে এ সার উদ্ধার করা হয়।
মো. বাদশা মিয়া ওই ইউনিয়নের হুড়াভায়া খাঁ গ্রামের মৃত মো. আবু হোসেনের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অতিরিক্ত দায়িত্ব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জসিম উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘গোপন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে ১৩৩ বস্তা টিএসপি সার উদ্ধার করা হয়। পরে জব্দ হওয়া সারগুলো উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার জিম্মায় রাখা হয়েছে।ঘর মালিককে না পাওয়ায় কোনো ব্যব্স্থা নেয়া সম্ভব হয়নি।’
এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘যতটুকু জানি এ সারগুলো ডিলার ননি গোপাল সরকার এবং মৃত প্রদীপ সরকারের। তাদের গোডাউন সোনারায় ইউনিয়নের ছাইতানতোলা বাজারে এবং আরেকটি গোডাউন রামগঞ্জ ইউনিয়নের ডোমের হাট বাজারে। দহবন্দ ইউনিয়নে কিভাবে এলো বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাসও দেন তিনি।
গাইবান্ধা জেলা বাফার ইনচার্জ মো. হারুনুর রশিদ বলেন, ১৩৩ বস্তা টিএসপি সার ডিলার ননি গোপাল সরকার উত্তোলন করেন। সার বহনকারী ট্রাকের নাম্বার ছিলো ঢাকা মেট্রো ন ১৯-৫৯৮৫।
তথ্য জানা যায়, সারগুলো বিসিআইসি ডিলার ননি গোপাল সরকার উত্তোলন করেন। এরপর ঢাকা মেট্রো ন ১৯-৫৯৮৫ নম্বর ট্রাক যোগে মো. বাদশা মিয়ার ঘরে রাখা হয়। উদ্ধারকৃত সারগুলো চড়া দামে কালো বাজারে বিক্রি করা হয়েছিল বলে গোপন তথ্যে জানা গেছে। এ বিষয়ে কথা হয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রাশিদুল কবিরের সাথে। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি জানার পরে ঘটনাস্থলে যাই। অবৈধভাবে মজুদ কৃত ১৩৩ বস্তা টিএসপি সার উদ্ধার করা হয়। যা এখন আমার জিম্মায় আছে। পরর্বতীতে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।’
এ বিষয়ে কথা হয় ডিলার ননি গোপাল সরকারের ছেলে রিপনের সাথে। অনিয়ম হয়েছে বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘প্রদীপ চন্দ্র ও আমাদের বরাদ্দকৃত সার একসঙ্গে তোলা হয়। আমাদের বরাদ্দকৃত টিএসপি সার আমরা নিয়েছি এবং প্রদীপ চন্দ্রের বরাদ্দকৃত টিএসপি সার তার ম্যানেজারকে দিয়েছি। এখানে কি ভাবে এলো বিষয়টি প্রদীপ চন্দ্রের ম্যানেজার জয়ন্ত বাবু ভালো বলতে পারবে।’
এ বিষয়ে কথা হয় ডিলার মৃত প্রদীপ চন্দ্র সরকারের ম্যানেজার জয়ন্তের সাথে। তিনি বলেন, ‘অন্য কোথাও টিএসপি সার বিক্রি করা হয়নি। তবে আমার গোডাউনে জায়গা না থাকায় পাশ্ববর্তী ইউনিয়ন দহবন্দ ইউনিয়নের খুচরা সার বিক্রেতা মো. বাদশা মিয়ার ঘরে রাখা হয়েছিলো।’