
দ্বীপ জেলা ভোলায় প্রায় ২২ লাখ মানুষের বসবাস। ভোলা থেকে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে লঞ্চ অথবা ফেরি। যদিও স্পিডবোট আছে সেটা শুধু বরিশাল পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। সন্ধ্যার পরে ভোলা থেকে ঢাকা যেতে ৫/৬ ঘন্টা সময় লাগে। আবহাওয়া যদি খারাপ থাকে তাহলে ঢাকা যেতে সময় আরো বেশি লাগে। দ্বীপ জেলা ভোলায় নেই কোন মেডিকেল কলেজ! তাই এখানকার অসুস্থ রোগীদের কে উন্নত চিকিৎসার জন্য হয়তোবা যেতে হয় বরিশাল অথবা রাজধানী ঢাকায়। যদিও কিছু ডাক্তার আসেন সেটা শুধু শুক্রবারে। নেই ক্যামো থেরাপি দেওয়ার মতো কোন সুব্যবস্থা! তাই ভোলায় যারা ক্যান্সারে আক্রান্ত তারা বিশেষ করে ঢাকাতে না গেলে কোন সুচিকিৎসা পান না। অনেকে ভোলায় সুচিকিৎসার অভাবে তার নিজ গ্রামেই অকালে মৃত্যুবরণ করেন।
আমাদের বাবা-মায়ের জীবন রক্ষার জন্য, আমাদের বাচ্চাদের জন্য, পরিবারের জন্য, আমরা দ্বীপ জেলা ভোলাতে একটি মেডিকেল কলেজ চাই। যেখানে গরীব অথবা বড় লোক সবাই চিকিৎসাসেবা নিবে। থাকবেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ।
অথবা ভোলা থেকে বরিশাল পর্যন্ত আমরা ভোলা বাসি একটি সেতু চাই। যেই সেতুর মাধ্যমে অসুস্থ রোগী অথবা অন্য কোন বিশেষ কাজে দ্রুত বরিশাল থেকে ঢাকা যাওয়া যাবে।
আমাদের ভোলা থেকে প্রতিনিয়ত কোটি কোটি টাকার গ্যাস নেয়া হয়, বিনিময়ে ভোলাতে কি দেয়া হয়েছে প্রশ্ন থাকলো সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে।
বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, ডক্টর, মোহাম্মদ ইউনুস স্যারের কাছে দাবি জানাচ্ছি ভোলা-বরিশাল সেতু অথবা একটি মেডিকেল কলেজ চাই।
আমরা ভোলার সাধারণ জনগণ দাবি শুধু এতটুকুই।