
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার রামপুর এলাকায় এক ঘর থেকে মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে কুমিল্লা–সিলেট মহাসড়কের পাশে ছাত্তার ভিলা নামের একটি ভবনের তৃতীয় তলার কক্ষ থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।
প্রতিবেশীরা জানান, ঘটনার পরপরই ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পালিয়ে যায় গৃহকর্তা মীর হোসেন (পেশায় রাজমিস্ত্রী)। নিহতরা হলেন—তার স্ত্রী জাহেদা আক্তার (৩৫), যিনি স্থানীয় একটি জুতা কোম্পানিতে চাকরি করতেন এবং তাদের মেয়ে মিশু (১৫)। পরিবারের আরও এক মেয়ে ফাতেমা (১২) জীবিত আছে। তাদের স্থায়ী বাড়ি ফেনীর ছাগলনাইয়া এলাকায়।
দেবপুর ফাঁড়ি পুলিশ জানায়, মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
ভবনের মালিক আবুল খায়ের জানান, গত ১২ জুলাই পরিবারটি ওই বাসায় ভাড়া ওঠে। সোমবার রাতের ঘটনায় তিনি খবর পান এবং দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন মীর হোসেন ছাদ থেকে লাফ দিয়ে পালিয়েছে। একই কক্ষে পড়ে ছিল মা ও মেয়ের নিথর দেহ। পাশের ঘরে অবস্থান করছিল তাদের আরেক মেয়ে ও মীর হোসেনের মা।
তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে বিষক্রিয়ার আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনো স্পষ্ট নয়।
প্রতিবেশী আব্দুল্লাহ সরকার বলেন, “আমরা একই ফ্লোরে থাকি, কখনো কলহ লক্ষ্য করিনি। ফজরের নামাজের পর বাড়িওয়ালার ডাকে গিয়ে জানতে পারি মা ও মেয়ে মারা গেছে।”
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজিজুল হক বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ফাঁড়িতে নিয়ে এসেছে। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।”