০১:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফকিরহাটে বিনা ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

  • আজীজুল গাজী
  • পোস্ট হয়েছেঃ ০৭:৫২:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫
  • 85

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"beautify":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}

বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের তিনবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শিরীনা আক্তার কিসলুর বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
৭ লাখ টাকার অডিট প্রশ্নে জটিলতা
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আওতাধীন ৪নং ফকিরহাট সদর ইউনিয়নের সাব-সেন্টারের হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ ২০১৫-১৬, ২০১৬-১৭ এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরের মোট ৭ লাখ টাকা ইউনিয়ন পরিষদের একাউন্টে জমা না দিয়ে ওই অর্থ ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করেছেন চেয়ারম্যান কিসলু।
২০২২ সালের ৯ জুন দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তবে অভিযোগ দায়েরের দীর্ঘ সময় পার হলেও এখনো কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
নতুন অর্থবছরের বরাদ্দেও অভিযোগ
স্থানীয় সুত্রে আরও জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ইউনিয়ন পরিষদের ১% উন্নয়ন বরাদ্দ থেকেও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে কিসলুর বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ সামনে আসতেই ইউনিয়নজুড়ে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
জনগণের ক্ষোভ ও প্রশাসনের নীরবতা
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন,
“চেয়ারম্যান রাস্তা-ঘাটসহ কোনো দৃশ্যমান উন্নয়ন না করেই বারবার সরকারি টাকা আত্মসাৎ করছেন। ২০২২ সালের সাত লাখ টাকার কোনো বিচার হয়নি, অথচ আবার নতুন বরাদ্দের অর্থ নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। তাহলে কি প্রশাসনের কিছু অংশ এই দুর্নীতিতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত?”
এছাড়াও সাধারণ জনগণ প্রশাসনের নিরব ভূমিকায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, তারা এ বিষয়ে একটি স্বচ্ছ তদন্ত এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছেন।
চেয়ারম্যানের বক্তব্য অনুপস্থিত
এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার চেষ্টার পরও চেয়ারম্যান শিরীনা আক্তার কিসলুর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
জনগণের দাবি:
স্থানীয়দের দাবি, এ ধরনের অভিযোগের দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক এবং সরকারি অর্থ যাতে জনগণের স্বার্থেই ব্যবহার হয়, তা নিশ্চিত করা হোক।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ আসনে দাঁড়িপাল্লার গণজোয়ার বেড়েই চলেছে

ফকিরহাটে বিনা ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

পোস্ট হয়েছেঃ ০৭:৫২:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের তিনবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শিরীনা আক্তার কিসলুর বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
৭ লাখ টাকার অডিট প্রশ্নে জটিলতা
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আওতাধীন ৪নং ফকিরহাট সদর ইউনিয়নের সাব-সেন্টারের হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ ২০১৫-১৬, ২০১৬-১৭ এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরের মোট ৭ লাখ টাকা ইউনিয়ন পরিষদের একাউন্টে জমা না দিয়ে ওই অর্থ ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করেছেন চেয়ারম্যান কিসলু।
২০২২ সালের ৯ জুন দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তবে অভিযোগ দায়েরের দীর্ঘ সময় পার হলেও এখনো কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
নতুন অর্থবছরের বরাদ্দেও অভিযোগ
স্থানীয় সুত্রে আরও জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ইউনিয়ন পরিষদের ১% উন্নয়ন বরাদ্দ থেকেও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে কিসলুর বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ সামনে আসতেই ইউনিয়নজুড়ে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
জনগণের ক্ষোভ ও প্রশাসনের নীরবতা
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন,
“চেয়ারম্যান রাস্তা-ঘাটসহ কোনো দৃশ্যমান উন্নয়ন না করেই বারবার সরকারি টাকা আত্মসাৎ করছেন। ২০২২ সালের সাত লাখ টাকার কোনো বিচার হয়নি, অথচ আবার নতুন বরাদ্দের অর্থ নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। তাহলে কি প্রশাসনের কিছু অংশ এই দুর্নীতিতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত?”
এছাড়াও সাধারণ জনগণ প্রশাসনের নিরব ভূমিকায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, তারা এ বিষয়ে একটি স্বচ্ছ তদন্ত এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছেন।
চেয়ারম্যানের বক্তব্য অনুপস্থিত
এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার চেষ্টার পরও চেয়ারম্যান শিরীনা আক্তার কিসলুর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
জনগণের দাবি:
স্থানীয়দের দাবি, এ ধরনের অভিযোগের দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক এবং সরকারি অর্থ যাতে জনগণের স্বার্থেই ব্যবহার হয়, তা নিশ্চিত করা হোক।