
সুনামগঞ্জ-১ আসন(ধর্মপাশা-তাহিপুর- জামালগঞ্জ-মধ্যনগর)উপজেলা নিয়ে গঠিত)আগামী নির্বাচনে রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছেন সাবেক-সহ সাংগঠনিক (সিলেট বিভাগ)যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ও সাবেক- সদস্য ছাত্রদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ও সাবেক-যুগ্ন আহ্বায়ক সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রদল সাবেক সিনি: যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামালগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদল সাবেক সহ-সভাপতি ছাত্রদল জামালগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ শাখা এবং ধর্মপাশা কৃতি সন্তান মাহবুবুর রহমান সরকার। তিনি শুধু একজন রাজনীতিবিদই নন,ধর্মপাশা ও জামালগঞ্জবাসীর কাছে তিনি পরিচিত এক মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক মুখ।
৫ই আগস্ট ২০২৪ এর ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে মাহবুবুর রহমান সরকার চার টা উপজেলায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজার সময় মন্দিরগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। তিনি তাদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ স্থাপন করে এলাকায় একজন মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক মানুষ হিসেবে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
দীর্ঘ রাজনৈতিক পথচলা ছাত্রজীবন থেকেই মাহবুবুর রহমান সরকার জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয়। ওয়ার্ড পর্যায় থেকে শুরু করে জামালগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ সহ-সভাপতি দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক-সহ সাংগঠনিক এবং ছাত্রদলের সাবেক- সদস্য দায়িত্বও পালন করেন।
২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি জরুরি অবস্থা জারির পর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে তিনি দলের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। ২০০৯ সালের নির্বাচনের পর থেকে তিনি ধারাবাহিক আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। বিএনপির ডাকা প্রথম অবরোধে তিনি অংশ গ্রহণ করেন। সর্বশেষ ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলেন।
গত ১৭ বছর ধরে আন্দোলনে তিনি বহুবার মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছেন। কোনো রক্তচক্ষু তাকে তার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন থেকে থামাতে পারেনি। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করে তিনি বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদের রাজনীতিতে জড়িত থেকে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে তার লেখনী ছিল বুলেটের চেয়েও শক্তিশালী।
জনগণের সেবক হওয়ার স্বপ্নঃ-
সুনামগঞ্জ-১আসনে বিএনপি থেকে মাহবুবুর রহমান সরকার সহ নিজ দল ও অন্য দলের প্রায় অর্ধ ডজন প্রার্থী রয়েছেন। তবে মাহবুবুর রহমান সরকার তার মানবিক কাজের মাধ্যমে চার উপজেলাবাসীর মন জয় করে একজন জনপ্রিয় মানুষ হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ স্বাধীনের পর থেকে এই অঞ্চলের মানুষ অবহেলিত। এখানে তেমন কোনো দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়নি। যারা এমপি নির্বাচিত হয়েছেন তারা নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করেছেন, কিন্তু এই বঞ্চিত অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়নি।” তিনি আরও বলেন, “এই সহজ, সরল, কৃষক, শ্রমিক এই অঞ্চলের মানুষকে তারা শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কোনো অবকাঠামোগত উন্নয়ন তারা করেননি।”
আরেক প্রশ্নের জবাবে মাহবুবুর বলেন, “ছোটবেলা থেকেই রাজনীতির প্রেমে পড়েছি, তাই জীবনের শৈশব, কৈশোর সবকিছু দলের জন্য বিলীন করেছি। স্বপ্ন দেখেছি মানুষের সেবা করার।” তিনি আরও বলেন, “আমার নেতা তারুণ্যের রাজনৈতিক অভিভাবক, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশের কল্যাণে আমাকে যেখানে কাজে লাগাবেন, আমি সেই কাজ করার মানসিকতা রাখি। আমার নেতাই সিদ্ধান্ত নেবেন কে প্রার্থী হবেন! তবে আমরা সবাই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ধানের শীষের পক্ষে কাজ করছি।”
আগামী নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হওয়ায় সরাসরি প্রশ্নের জবাবে মাহবুবুর বলেন, “এই অঞ্চলের মানুষ কী চায়, তার ওপর নির্ভর করবে সবকিছু। তারা যদি শাসক চায় তাহলে আমি সেটা হতে পারবো না। আমি এই অঞ্চলের কাদা লেপ্টে বড় হয়েছি। আমার গায়ে এই জনপদের মাটির ঘ্রাণ লেগে আছে। আমি তাদের সেবক হতে চাই। যদি তারা চায়, আর আমার দল সেইটা অনুভব করে! আমি কখনোই নেতা নই, একজন রাজনৈতিক কর্মী মাত্র।
স্থানীয়দের চোখে মাহবুবুর রহমান সরকার, ছাত্ররাজনীতি থেকে উঠে আসা এই তরুণ, মেধাবী ও বিনয়ী ছাত্রনেতা সম্পর্কে স্থানীয় সাধারণ মানুষ বলেন, ” মাহবুবুর আমাদের ঘরের ছেলে। সে পরিশ্রমী, মেধাবী, বিনয়ী ও সদাহাস্যোজ্জ্বল ছেলেটি আমাদের অনেক প্রিয়। তার বাবার মতো মানুষকে ভালোবাসতে শিখেছে। তার মতো সাহসী, সৎ ও পরিশ্রমী তরুণদের যদি তার দল মূল্যায়ন করে তাহলে আমরা হবো সৌভাগ্যবান। সফল হবে ছাত্র জনতার মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন।” তারা আশা প্রকাশ করেন যে, চার উপজেলা মাটি ও মানুষের ভালোবাসার ছেলে মাহবুবুর মনোনয়ন পেলে এই এলাকার বঞ্চিত মানুষদের নিয়ে একটি মানবিক সমাজ গড়বেন।