০১:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহ খাদ্যগুদামে সরবরাহকৃত গম নিম্নমানের প্রমাণিত হয়নি

ঝিনাইদহ খাদ্যগুদামে সরবরাহকৃত গমের নমুনা পরীক্ষা করে নিম্নমানের বা খাওয়ার অযোগ্য প্রমাণিত হয়নি। খুলনা আঞ্চলিক খাদ্য পরীক্ষাগারের কেমিষ্ট অফিসার মনিরুল হাসান ও মসিউর রহমান গমের নমুনা পরীক্ষা করে এ রিপোর্ট প্রদান করেন। এছাড়া খাদ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসন কর্তৃক গঠিত একাধিক তদন্ত কমিটি গমের রিপোর্ট প্রদান করেন। ফলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচারিত খবরকে অসত্য বলে প্রমাণিত হয়। ঝিনাইদহ খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, গত ১৬ ও ১৮ জুলাই এলবি লিটন নামে হরিণাকুন্ডু উপজেলার এক যুবলীগ নেতার ট্রাকে খুলনা খালিশপুর সিএসডি থেকে ঝিনাইদহ সদর খাদ্য গুদামে গম পাঠানো হয়। ট্রাক আনলোড করতে দেরি হওয়ায় এলবি লিটন অতিরিক্ত টাকা দাবি করেন। খাদ্য কর্মকর্তারা তার দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করায় তিনি নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে শহরের কতিপয় মিডিয়া কর্মীদের ডেকে নিয়ে আসেন। কিছু অসাধু গণমাধ্যম কর্মী সত্য যাচাই বাছাই না করেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় খবর প্রচার করে। এ খবরে প্রশাসনে তোলপাড় শুরু হয়। শহর জুড়ে হৈচৈ শুরু হলে ঝিনাইদহ দুর্নীতি দমন কমিশন গুদামে অভিযান চালিয়ে কিছু গম জব্দ করে। এরপর গঠিত হয় একাধিক তদন্ত কমিটি। কিন্তু সব তদন্ত ও গমের ভৌত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে খুলনা থেকে আগত গমের মান ভালো এবং খাওয়ার উপযোগী। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক প্রিয় কমল চাকমার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে খুলনা থেকে পাঠানো গমের আর্দ্রতা ১৩%, বিজাতীয় পদার্থ ০.৪৯%, কীটাক্রান্ত দানা ২.০০%, বর্ণ ও গন্ধ স্বাভাবিক ও গ্রেইন ডাষ্ট ০.৫৫%। পরীক্ষাগার থেকেও এই গম সাধারণ বিলি ও বিতরণযোগ্য বলে ভেওত বিশ্লেষণ প্রতিবেদন দাখিল করে। খাদ্য কর্মকর্তারা জানান, এই গম ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ, জেলা পুলিশ, আনসার বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের মাঝে বিতরণ করা হয়। সেখান থেকেও এখন পর্যন্ত কোন  অভিযোগ আসেনি। ওএমএস খাতের গম মিলে ভাঙ্গিয়ে ভোক্তাদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। কোন ভোক্তা বা মিলার ফলিত আটার বিষয়ে অভিযোগ করেনি। এ বিষয়ে দুদকের জেলা উপ-পরিচালক তরুণ ঘোষ জানান, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তাই এখনই মন্তব্য সমীচীন নয়।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

বিদ্যুতের শর্টসার্কিটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ফুলবাড়ীতে ৬ ঘর ছাই—দুই পরিবার নিঃস্ব

ঝিনাইদহ খাদ্যগুদামে সরবরাহকৃত গম নিম্নমানের প্রমাণিত হয়নি

পোস্ট হয়েছেঃ ১১:৩৭:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
ঝিনাইদহ খাদ্যগুদামে সরবরাহকৃত গমের নমুনা পরীক্ষা করে নিম্নমানের বা খাওয়ার অযোগ্য প্রমাণিত হয়নি। খুলনা আঞ্চলিক খাদ্য পরীক্ষাগারের কেমিষ্ট অফিসার মনিরুল হাসান ও মসিউর রহমান গমের নমুনা পরীক্ষা করে এ রিপোর্ট প্রদান করেন। এছাড়া খাদ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসন কর্তৃক গঠিত একাধিক তদন্ত কমিটি গমের রিপোর্ট প্রদান করেন। ফলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচারিত খবরকে অসত্য বলে প্রমাণিত হয়। ঝিনাইদহ খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, গত ১৬ ও ১৮ জুলাই এলবি লিটন নামে হরিণাকুন্ডু উপজেলার এক যুবলীগ নেতার ট্রাকে খুলনা খালিশপুর সিএসডি থেকে ঝিনাইদহ সদর খাদ্য গুদামে গম পাঠানো হয়। ট্রাক আনলোড করতে দেরি হওয়ায় এলবি লিটন অতিরিক্ত টাকা দাবি করেন। খাদ্য কর্মকর্তারা তার দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করায় তিনি নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে শহরের কতিপয় মিডিয়া কর্মীদের ডেকে নিয়ে আসেন। কিছু অসাধু গণমাধ্যম কর্মী সত্য যাচাই বাছাই না করেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় খবর প্রচার করে। এ খবরে প্রশাসনে তোলপাড় শুরু হয়। শহর জুড়ে হৈচৈ শুরু হলে ঝিনাইদহ দুর্নীতি দমন কমিশন গুদামে অভিযান চালিয়ে কিছু গম জব্দ করে। এরপর গঠিত হয় একাধিক তদন্ত কমিটি। কিন্তু সব তদন্ত ও গমের ভৌত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে খুলনা থেকে আগত গমের মান ভালো এবং খাওয়ার উপযোগী। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক প্রিয় কমল চাকমার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে খুলনা থেকে পাঠানো গমের আর্দ্রতা ১৩%, বিজাতীয় পদার্থ ০.৪৯%, কীটাক্রান্ত দানা ২.০০%, বর্ণ ও গন্ধ স্বাভাবিক ও গ্রেইন ডাষ্ট ০.৫৫%। পরীক্ষাগার থেকেও এই গম সাধারণ বিলি ও বিতরণযোগ্য বলে ভেওত বিশ্লেষণ প্রতিবেদন দাখিল করে। খাদ্য কর্মকর্তারা জানান, এই গম ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ, জেলা পুলিশ, আনসার বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের মাঝে বিতরণ করা হয়। সেখান থেকেও এখন পর্যন্ত কোন  অভিযোগ আসেনি। ওএমএস খাতের গম মিলে ভাঙ্গিয়ে ভোক্তাদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। কোন ভোক্তা বা মিলার ফলিত আটার বিষয়ে অভিযোগ করেনি। এ বিষয়ে দুদকের জেলা উপ-পরিচালক তরুণ ঘোষ জানান, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তাই এখনই মন্তব্য সমীচীন নয়।