০২:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাগুরা শত্রুজিৎপুর স্বর্ণ ব্যবসায়ীর নামে প্রতারণার অভিযোগ

মাগুরা শত্রুজিৎপুর ইউনিয়নের বিজপুর গ্রামের বাসিন্দা মাসুদ, তিনি তার মেয়ের বিয়ে দেওয়ার সময় গত ১০ বছর আগে, মাগুরা জেলার শত্রুজিৎপুর বাজারের অনামিকা জুয়েলার্সের মালিক। ভুবন কর্মকারের নিকট থেকে, কিছু স্বর্ণের অলংকার তৈরি করেন, অলংকার মধ্যে রয়েছে ।
এক জোড়া সোনার বালা ওজনঃ ১ ভরি ২ আনা
একটি সোনার চিক হার ওজনঃ ৮ আনা ৩ রতি ৮ পয়েন্ট
একটি সোনার বক্স আংটি ওজনঃ ৪ আনা
মাসুদের মেয়ের জমি কেনার জন্য কিছু টাকা কম পড়াই। সেই গহনার মধ্য থেকে এক জোড়া বালা (চুড়ি) নিয়ে অনামিকা জুয়েলার্স এর মালিক ভুবন কর্মকারের নিকট যান। স্বর্ণের দোকানদার ভুবন কর্মকার বলেন এইবালাই কোন স্বর্ণ নাই ।
ভুবন মোহন কর্মকার প্রথমে বলে স্বর্ণ কম আছে এবং বেচারকথা বললে স্বর্ণ আসল নয় বলে জানায়। তার বক্তব্যে বারবার পরিবর্তন লক্ষ্য করেন। তখন পাশের দোকানের আরেক স্বর্ণকার চেক করে জানান যে এগুলো ব্রোজের উপর প্রলেপ দেয়া। তিনি বলেন আমার ছেলে তার কাছে ২২ ক্রেটের স্বর্ণের গহনা বানাতে দেয় কিন্তু যাচায়ের পর দেখা যায় একটা ১৮.১৩ ক্রেটের এবং এটা ব্রোঞ্জের উপর প্রলেপ দেয়া।
পরে মাগুরা স্বর্ণপোটির  হলমার্কের মাধ্যমে, ভুবন কর্মকারের নিকট থেকে তৈরি করা প্রতিটা স্বর্ণের গহনা পরীক্ষা করা হয়। সে ক্ষেত্রে দেখা যায়। প্রতিটা গহনার মধ্যেই ভেজাল রয়েছে। ২২ক্রেটের যায়গায় ১৮ ক্রেট এবং ওজনেও অনেক ব্যাবধান।  বিশেষ করে দেখা যায়। একজোড়া স্বর্ণের বালার তৈরি করায় দেখানো হয়েছে  এক ভরি ৩ আনা ওজনের । কিন্তু হলমার্কের পরীক্ষার মাধ্যমে দেখা যায় । স্বর্ণের বালায় স্বর্ণ রয়েছে মাত্র ৩ আনা।
মাগুরা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে মাসিদ বলেন।
আমি, মাসুদ, গ্রাম- বিজপুর, ডাকঘর- শত্রুজিৎপুর, উপজেলা মাগুরা সদর, জেলা- মাগুরা, আপনার থানার একজন স্থায়ী বাসিন্দা। আমি এই মর্মে একটি প্রতারণামূলক ঘটনার অভিযোগ আপনাদের সদয় অবগতির জন্য উপস্থাপন করছি।
আমার ছেলে ইমরান হোসেন (ঠিকানা। গ্রাম- বিশুপুর, ডাকঘর। মাগুরা সদর, জেলা- মাগুরা) ২০১৫ সালে স্লিপ নং-২৬৬৩ মূল্যে “অনামিকা জুয়েলার্স’ এর মালিক ভুবন মোহন কর্মকারের দোকান শত্রুজিৎপুর বাজার, মাগুরা থেকে নিম্নোক্ত স্বর্ণালঙ্কার উল্লেখিত ব্যক্তিদের মাধ্যমে বাড়ীতে দিয়ে পাঠায়।
১। এক জোড়া সোনার বালা ওজনঃ ১ ভরি ২ আনা
২। একটি সোনার চিক হার ওজনঃ ৮ আনা ৩ লতি ৮ পয়েন্ট
৩। একটি সোনার বক্স আংটি ওজনঃ ৪ আনা
উক্ত গহনার মোট বাজারমূল্য ছিল ৯১,১০০/- (একানব্বই হাজার একশত) টাকা এবং বর্তমান বাজার মূল্য ২,৮০,০০০/-(দুই লক্ষ আশি হাজার) টাকা। এই গহনাগুলো আমাকে একজন লোক, নাম তাজুল এবং তার স্ত্রী জামেনার মাধ্যমে বাসায় এসে দিয়ে যায়।
পরবর্তীতে ব্যক্তিগত কারণে এই গহনাগুলো বিক্রি করতে গেলে দেখা যায়, ‘অনামিকা জুয়েলার্স’-এর মালিক ভুবন মোহন কর্মকার প্রথমে বলে স্বর্ণ কম আছে এবং বেচারকথা বললে স্বর্ণ আসল নয় বলে জানায়। তার বক্তব্যে বারবার পরিবর্তন লক্ষ্য করি। তখন পাশের দোকানের আরেক স্বর্ণকার চেক করে জানান যে এগুলো ব্রোজের উপর প্রলেপ দেয়া। আমার ছেলে তার কাছে ২২ ক্রেটের স্বর্ণের গহনা বানাতে দেয় কিন্তু যাচায়ের পর দেখা যায় একটা ১৮.১৩ ক্রেটের এবং এটা ব্রোঞ্জের উপর প্রলেপ দেয়া।
আমি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সালিশের ব্যবস্থা করি, কিন্তু কোনো সমাধান পাইনি। পরে আমার আত্মীয়দের মাধ্যমে আবার দোকানের মালিকের সাথে যোগাযোগ করলে, তিনি চেয়ারম্যান, মেম্বারদের উপস্থিতিতে ৪০,০০০/- টাকা ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন, যা আমার কাছে সন্তোষজনক নয়।
আমি এরপর মাগুরা জুয়েলারি সমিতির সেক্রেটারির কাছে মৌখিক অভিযোগ করি। সমিতি থেকে দোকানদার ভুবন কর্মকারকে তলব করা হয়, কিন্তু তিনি হাজির হননি এবং বিভিন্নভাবে আমাকে হুমকি দিতে শুরু করেন।
এই ঘটনার ফলে আমি ও আমার পরিবার মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি, আমার মেয়েকে যেহেতু এই গহনা দিয়ে ছিলাম, এখন সে সংসারে অশান্তিতে আছে এবং আমি সামাজিকভাবে অপমানিত ও প্রতারিত হয়েছি।
অতএব, বিনীত অনুরোধ, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে এই স্বার্থ লোভী চোর, ভন্ড ব্যবসায়ী এবং তার সাথে জড়ীত বাক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জনাবের একান্ত মর্জি হয়।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে মাগুরা শত্রুজিৎপুর পুলিশ ফাড়িতে ২৯শে জুলাই মঙ্গল বার পুলিশ ফাড়ির এস আই আলমগীরের উপস্থিতের মাধ্যমে   একটা সালিশের আয়োজন করা হয়। এস আই আলমগীর বলেন ভুবন কর্মকারের জুয়েলারি মেমোর সাথে স্বর্ণের গঠন মিল থাকায় বোঝা যাচ্ছে গহনা গুলা ভুবন কর্মকারের হাতের তৈরি। এ গউনার ব্যাপারে ভিবন কর্মকার এক এক সময় এক এক ধরনের কথা বলেন। অবশেষে সালিশে ফয়সালা না হওয়ার কারনে উপস্থিত সাবেক মেম্বার সাহেব আলী ও অন্যান্যদের অনুরোধে  এসআই আলমগীর পুনরায় আগামী বুধবার ৬ আগষ্ট  মাগুরা সদর থানাতে উক্ত সালিশে দিন আর্য করেন ।  উপস্থিত ছিলেন। এস আই আলমগীর, শত্রুজিৎপুর বাজারের ব্যবসায়ী সাবেক মেম্বার সাহেব আলী আর উপস্থিত ছিলেন বাজারে সাধারণ  সম্পাদক সরোয়ার, মাগুরা হামিম জুয়েলার্সের মালিক মোঃ চান আলি এবং সাংবাদিকসহ মাগুরার বিভিন্ন স্থানের সম্মানী ব্যক্তিবর্গ ।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

বিদ্যুতের শর্টসার্কিটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ফুলবাড়ীতে ৬ ঘর ছাই—দুই পরিবার নিঃস্ব

মাগুরা শত্রুজিৎপুর স্বর্ণ ব্যবসায়ীর নামে প্রতারণার অভিযোগ

পোস্ট হয়েছেঃ ১২:৫০:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
মাগুরা শত্রুজিৎপুর ইউনিয়নের বিজপুর গ্রামের বাসিন্দা মাসুদ, তিনি তার মেয়ের বিয়ে দেওয়ার সময় গত ১০ বছর আগে, মাগুরা জেলার শত্রুজিৎপুর বাজারের অনামিকা জুয়েলার্সের মালিক। ভুবন কর্মকারের নিকট থেকে, কিছু স্বর্ণের অলংকার তৈরি করেন, অলংকার মধ্যে রয়েছে ।
এক জোড়া সোনার বালা ওজনঃ ১ ভরি ২ আনা
একটি সোনার চিক হার ওজনঃ ৮ আনা ৩ রতি ৮ পয়েন্ট
একটি সোনার বক্স আংটি ওজনঃ ৪ আনা
মাসুদের মেয়ের জমি কেনার জন্য কিছু টাকা কম পড়াই। সেই গহনার মধ্য থেকে এক জোড়া বালা (চুড়ি) নিয়ে অনামিকা জুয়েলার্স এর মালিক ভুবন কর্মকারের নিকট যান। স্বর্ণের দোকানদার ভুবন কর্মকার বলেন এইবালাই কোন স্বর্ণ নাই ।
ভুবন মোহন কর্মকার প্রথমে বলে স্বর্ণ কম আছে এবং বেচারকথা বললে স্বর্ণ আসল নয় বলে জানায়। তার বক্তব্যে বারবার পরিবর্তন লক্ষ্য করেন। তখন পাশের দোকানের আরেক স্বর্ণকার চেক করে জানান যে এগুলো ব্রোজের উপর প্রলেপ দেয়া। তিনি বলেন আমার ছেলে তার কাছে ২২ ক্রেটের স্বর্ণের গহনা বানাতে দেয় কিন্তু যাচায়ের পর দেখা যায় একটা ১৮.১৩ ক্রেটের এবং এটা ব্রোঞ্জের উপর প্রলেপ দেয়া।
পরে মাগুরা স্বর্ণপোটির  হলমার্কের মাধ্যমে, ভুবন কর্মকারের নিকট থেকে তৈরি করা প্রতিটা স্বর্ণের গহনা পরীক্ষা করা হয়। সে ক্ষেত্রে দেখা যায়। প্রতিটা গহনার মধ্যেই ভেজাল রয়েছে। ২২ক্রেটের যায়গায় ১৮ ক্রেট এবং ওজনেও অনেক ব্যাবধান।  বিশেষ করে দেখা যায়। একজোড়া স্বর্ণের বালার তৈরি করায় দেখানো হয়েছে  এক ভরি ৩ আনা ওজনের । কিন্তু হলমার্কের পরীক্ষার মাধ্যমে দেখা যায় । স্বর্ণের বালায় স্বর্ণ রয়েছে মাত্র ৩ আনা।
মাগুরা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে মাসিদ বলেন।
আমি, মাসুদ, গ্রাম- বিজপুর, ডাকঘর- শত্রুজিৎপুর, উপজেলা মাগুরা সদর, জেলা- মাগুরা, আপনার থানার একজন স্থায়ী বাসিন্দা। আমি এই মর্মে একটি প্রতারণামূলক ঘটনার অভিযোগ আপনাদের সদয় অবগতির জন্য উপস্থাপন করছি।
আমার ছেলে ইমরান হোসেন (ঠিকানা। গ্রাম- বিশুপুর, ডাকঘর। মাগুরা সদর, জেলা- মাগুরা) ২০১৫ সালে স্লিপ নং-২৬৬৩ মূল্যে “অনামিকা জুয়েলার্স’ এর মালিক ভুবন মোহন কর্মকারের দোকান শত্রুজিৎপুর বাজার, মাগুরা থেকে নিম্নোক্ত স্বর্ণালঙ্কার উল্লেখিত ব্যক্তিদের মাধ্যমে বাড়ীতে দিয়ে পাঠায়।
১। এক জোড়া সোনার বালা ওজনঃ ১ ভরি ২ আনা
২। একটি সোনার চিক হার ওজনঃ ৮ আনা ৩ লতি ৮ পয়েন্ট
৩। একটি সোনার বক্স আংটি ওজনঃ ৪ আনা
উক্ত গহনার মোট বাজারমূল্য ছিল ৯১,১০০/- (একানব্বই হাজার একশত) টাকা এবং বর্তমান বাজার মূল্য ২,৮০,০০০/-(দুই লক্ষ আশি হাজার) টাকা। এই গহনাগুলো আমাকে একজন লোক, নাম তাজুল এবং তার স্ত্রী জামেনার মাধ্যমে বাসায় এসে দিয়ে যায়।
পরবর্তীতে ব্যক্তিগত কারণে এই গহনাগুলো বিক্রি করতে গেলে দেখা যায়, ‘অনামিকা জুয়েলার্স’-এর মালিক ভুবন মোহন কর্মকার প্রথমে বলে স্বর্ণ কম আছে এবং বেচারকথা বললে স্বর্ণ আসল নয় বলে জানায়। তার বক্তব্যে বারবার পরিবর্তন লক্ষ্য করি। তখন পাশের দোকানের আরেক স্বর্ণকার চেক করে জানান যে এগুলো ব্রোজের উপর প্রলেপ দেয়া। আমার ছেলে তার কাছে ২২ ক্রেটের স্বর্ণের গহনা বানাতে দেয় কিন্তু যাচায়ের পর দেখা যায় একটা ১৮.১৩ ক্রেটের এবং এটা ব্রোঞ্জের উপর প্রলেপ দেয়া।
আমি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সালিশের ব্যবস্থা করি, কিন্তু কোনো সমাধান পাইনি। পরে আমার আত্মীয়দের মাধ্যমে আবার দোকানের মালিকের সাথে যোগাযোগ করলে, তিনি চেয়ারম্যান, মেম্বারদের উপস্থিতিতে ৪০,০০০/- টাকা ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন, যা আমার কাছে সন্তোষজনক নয়।
আমি এরপর মাগুরা জুয়েলারি সমিতির সেক্রেটারির কাছে মৌখিক অভিযোগ করি। সমিতি থেকে দোকানদার ভুবন কর্মকারকে তলব করা হয়, কিন্তু তিনি হাজির হননি এবং বিভিন্নভাবে আমাকে হুমকি দিতে শুরু করেন।
এই ঘটনার ফলে আমি ও আমার পরিবার মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি, আমার মেয়েকে যেহেতু এই গহনা দিয়ে ছিলাম, এখন সে সংসারে অশান্তিতে আছে এবং আমি সামাজিকভাবে অপমানিত ও প্রতারিত হয়েছি।
অতএব, বিনীত অনুরোধ, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে এই স্বার্থ লোভী চোর, ভন্ড ব্যবসায়ী এবং তার সাথে জড়ীত বাক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জনাবের একান্ত মর্জি হয়।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে মাগুরা শত্রুজিৎপুর পুলিশ ফাড়িতে ২৯শে জুলাই মঙ্গল বার পুলিশ ফাড়ির এস আই আলমগীরের উপস্থিতের মাধ্যমে   একটা সালিশের আয়োজন করা হয়। এস আই আলমগীর বলেন ভুবন কর্মকারের জুয়েলারি মেমোর সাথে স্বর্ণের গঠন মিল থাকায় বোঝা যাচ্ছে গহনা গুলা ভুবন কর্মকারের হাতের তৈরি। এ গউনার ব্যাপারে ভিবন কর্মকার এক এক সময় এক এক ধরনের কথা বলেন। অবশেষে সালিশে ফয়সালা না হওয়ার কারনে উপস্থিত সাবেক মেম্বার সাহেব আলী ও অন্যান্যদের অনুরোধে  এসআই আলমগীর পুনরায় আগামী বুধবার ৬ আগষ্ট  মাগুরা সদর থানাতে উক্ত সালিশে দিন আর্য করেন ।  উপস্থিত ছিলেন। এস আই আলমগীর, শত্রুজিৎপুর বাজারের ব্যবসায়ী সাবেক মেম্বার সাহেব আলী আর উপস্থিত ছিলেন বাজারে সাধারণ  সম্পাদক সরোয়ার, মাগুরা হামিম জুয়েলার্সের মালিক মোঃ চান আলি এবং সাংবাদিকসহ মাগুরার বিভিন্ন স্থানের সম্মানী ব্যক্তিবর্গ ।