১১:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভোগান্তির শেষ নেই

 ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে দুলালপুর ইউনিয়নের বেজুড়া গোপাল নগর ও নাল্লা সড়কের মাঝে রয়েছে ছোট বড় অসংখ্য গর্ত। একটু বৃষ্টি হলেই গর্তে পানি জমে মরন ফাঁদ সৃষ্টি হয়। কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার দুলালপুর – নাল্লা পর্যন্ত সড়কে দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত এ এলাকার ৮ গ্রামের মানুষ ভোগান্তি নিয়ে চলাচল করছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের দীর্ঘভূমি,বেজুড়া,গোপাল নগর, দুলালপুর, চাঁনপাড়া, জগন্নাথপুর, সাইচাপাড়া,লাল্লা এবং দেবীদ্বার উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কয়েক হাজার  মানুষ প্রতি দিন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে, এ রাস্তার ইটগুলি ভেঙে এবং সড়কটি ধসে সম্পুর্ন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন সিএনজি, অটোরিকশা, পিকাবভ্যান, মিনিট্রাকসহ শতশত যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়। যানবাহন দুটি ক্রসিং করার সময় উল্টে খালে পড়ে যেতে ও দেখা যায়। এ ব্যপারে গোপালনগর গ্রামের পথচারী আবদুল মালেক বলেন, আমাদের উপজেলার সাথে সংযোগ সড়ক এটি,এ সড়কের মত এত খারাপ সড়ক আমার জানা মতে কোন উপজেলায় নেই। অন্যদিকে অটো রিকশা চালক বাদশা মিয়া বলেন আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করি এবং প্রায় দিনই ছোট খাট দূর্ঘটনার স্বীকার হই। তিনি আরো বলেন, দিনে যেমন তেমন রাতে এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে অনেক কষ্ট হয় আমাদের।
নাল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হাসিবুল করিম ভূইয়া বলেন,প্রতি দিন কোমলমতি ছাত্র ছাত্রীরা এ সড়ক দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়।এ ছাড়া বৃষ্টি হলে ভোগান্তির জনপদে রুপান্তরিত হয় এ সড়কটিকে।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে দুলালপুর ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান আনিসুল হক ভূইয়া রিপন বলেন, এই সড়কটির সাধারণ মানুষের চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তবে টেন্ডার হয়েছে আশা করি কিছুদিনের মধ্যে সড়কের কার্যক্রম শুরু হবে।
এব্যাপারে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা জাহান বলেন, এ সড়কটি খুবই খারাপ অবস্থা। তবে এই সড়কটিকে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। আশা করি কিছুদিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

ঝিনাইদহে জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন

ভোগান্তির শেষ নেই

পোস্ট হয়েছেঃ ০১:২৭:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫
 ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে দুলালপুর ইউনিয়নের বেজুড়া গোপাল নগর ও নাল্লা সড়কের মাঝে রয়েছে ছোট বড় অসংখ্য গর্ত। একটু বৃষ্টি হলেই গর্তে পানি জমে মরন ফাঁদ সৃষ্টি হয়। কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার দুলালপুর – নাল্লা পর্যন্ত সড়কে দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত এ এলাকার ৮ গ্রামের মানুষ ভোগান্তি নিয়ে চলাচল করছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের দীর্ঘভূমি,বেজুড়া,গোপাল নগর, দুলালপুর, চাঁনপাড়া, জগন্নাথপুর, সাইচাপাড়া,লাল্লা এবং দেবীদ্বার উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কয়েক হাজার  মানুষ প্রতি দিন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে, এ রাস্তার ইটগুলি ভেঙে এবং সড়কটি ধসে সম্পুর্ন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন সিএনজি, অটোরিকশা, পিকাবভ্যান, মিনিট্রাকসহ শতশত যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়। যানবাহন দুটি ক্রসিং করার সময় উল্টে খালে পড়ে যেতে ও দেখা যায়। এ ব্যপারে গোপালনগর গ্রামের পথচারী আবদুল মালেক বলেন, আমাদের উপজেলার সাথে সংযোগ সড়ক এটি,এ সড়কের মত এত খারাপ সড়ক আমার জানা মতে কোন উপজেলায় নেই। অন্যদিকে অটো রিকশা চালক বাদশা মিয়া বলেন আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করি এবং প্রায় দিনই ছোট খাট দূর্ঘটনার স্বীকার হই। তিনি আরো বলেন, দিনে যেমন তেমন রাতে এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে অনেক কষ্ট হয় আমাদের।
নাল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হাসিবুল করিম ভূইয়া বলেন,প্রতি দিন কোমলমতি ছাত্র ছাত্রীরা এ সড়ক দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়।এ ছাড়া বৃষ্টি হলে ভোগান্তির জনপদে রুপান্তরিত হয় এ সড়কটিকে।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে দুলালপুর ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান আনিসুল হক ভূইয়া রিপন বলেন, এই সড়কটির সাধারণ মানুষের চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তবে টেন্ডার হয়েছে আশা করি কিছুদিনের মধ্যে সড়কের কার্যক্রম শুরু হবে।
এব্যাপারে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা জাহান বলেন, এ সড়কটি খুবই খারাপ অবস্থা। তবে এই সড়কটিকে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। আশা করি কিছুদিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে।