০১:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বরিশালে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমাতে দেড় যুগ ধরে অকেজো দুইটি পানি শোধনাগার দ্রুত চালুর দাবি

বরিশালে নিরাপদ পনির নিশ্চয়তায় দেড় যুগ ধরে অকেজো দু’টি পানি শোধনাগার চালুর দাবি উঠেছে।
রোববার (৩ আগস্ট) দুপুরে নগরীর বিডিএস ক্লাবে নিরাপদ পানির নিশ্চয়তা চেয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভার বক্তারা এই দাবি জানান। বরিশাল বিভাগীয় পরিবেশ ও জনসুরক্ষা ফোরামের উদ্যোগে এই সভা হয়েছে।
এ সময় বক্তারা, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পানি শোধনাগারগুলো দ্রুত চালুসহ ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমাতে ভূমির উপরিভাগে থাকা পানির ব্যবহারে জনগণকে আহ্বান জানান।
বরিশাল বিভাগীয় পরিবেশ ও জনসুরক্ষা ফোরামের আহ্বায়ক শুভংকর চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সুভাষ চন্দ্র দাসের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন, বরিশাল সদর উপজেলার সাবেক শিক্ষা অফিসার ফয়সল জামিল, বরিশাল পরিবেশ এবং উন্নয়ন ফোরামের আহ্বায়ক শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ গাজী জাহিদুল ইসলাম, বরিশাল কলেজ শিক্ষক সমিতির যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুর রহমান খান, ক্যাব বরিশালের সম্পাদক রনজিৎ দত্ত, প্রান্তজনের নির্বাহী পরিচালক তৌহিদুল ইসলাম শাহাজাদা, আরোহীর সমন্বয়কারী মিজানুর রহমান, ম্যাপ সদস্য দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দক্ষিণাঞ্চল নদী ভাঙন প্রবণ হওয়ার কারণে অসংখ্য মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে নগরমুখী হচ্ছে। সব মিলিয়ে এই নগরীর বাসিন্দাদের প্রতিদিন ৫ লাখ গ্যালন পানি প্রয়োজন হয়। এই পানির মুখ্য ভাগই আমরা গভীর নলকূপের মাধ্যমে ভূগর্ভ থেকে আমরা উত্তোলন করে থাকি। এই ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের কারণে এই অঞ্চলের ভূমি ২ সেন্টিমিটার নিচে নেমে গেছে। যদি কোনো দিন বরিশালে ভূমিকম্প হয় তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। তাই আমাদের নিরাপত্তার জন্যই ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহারের ওপর চাপ কমাতে হবে। এদিকে জনগণের ৬৮ কোটি টাকায় নির্মিত দু’টি পানি শোধনাগার অকেজো হয়ে আছে বছরের পর বছর। এখানকার প্রান্তিক পর্যায়ে সুপেয় পানির অভাব দীর্ঘদিনের। আমরা ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন সময় ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমাতে দাবির প্রেক্ষিতে পানি শোধনাগার দু’টি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু নির্মাণের দেড় যুগ পরও বিভিন্ন জটিলতা ও অনৈতিক কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তা হস্তান্তর করা হচ্ছে না। তাই এই সংকট দূর করতে বরিশাল সিটি করপোরেশনের বর্তমান প্রশাসক রায়হান কাওছারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এসময় বক্তারা, পানির অপচয় রোধ করতে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণসহ পুকুর ভরাট না করে সেই পানি দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

কুমিল্লায় পা থেকে হাতে আঙুল প্রতিস্থাপন, ‘সফল’ ৭ ঘণ্টার জটিল অস্ত্রোপচার

বরিশালে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমাতে দেড় যুগ ধরে অকেজো দুইটি পানি শোধনাগার দ্রুত চালুর দাবি

পোস্ট হয়েছেঃ ০৪:০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫
বরিশালে নিরাপদ পনির নিশ্চয়তায় দেড় যুগ ধরে অকেজো দু’টি পানি শোধনাগার চালুর দাবি উঠেছে।
রোববার (৩ আগস্ট) দুপুরে নগরীর বিডিএস ক্লাবে নিরাপদ পানির নিশ্চয়তা চেয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভার বক্তারা এই দাবি জানান। বরিশাল বিভাগীয় পরিবেশ ও জনসুরক্ষা ফোরামের উদ্যোগে এই সভা হয়েছে।
এ সময় বক্তারা, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পানি শোধনাগারগুলো দ্রুত চালুসহ ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমাতে ভূমির উপরিভাগে থাকা পানির ব্যবহারে জনগণকে আহ্বান জানান।
বরিশাল বিভাগীয় পরিবেশ ও জনসুরক্ষা ফোরামের আহ্বায়ক শুভংকর চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সুভাষ চন্দ্র দাসের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন, বরিশাল সদর উপজেলার সাবেক শিক্ষা অফিসার ফয়সল জামিল, বরিশাল পরিবেশ এবং উন্নয়ন ফোরামের আহ্বায়ক শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ গাজী জাহিদুল ইসলাম, বরিশাল কলেজ শিক্ষক সমিতির যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুর রহমান খান, ক্যাব বরিশালের সম্পাদক রনজিৎ দত্ত, প্রান্তজনের নির্বাহী পরিচালক তৌহিদুল ইসলাম শাহাজাদা, আরোহীর সমন্বয়কারী মিজানুর রহমান, ম্যাপ সদস্য দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দক্ষিণাঞ্চল নদী ভাঙন প্রবণ হওয়ার কারণে অসংখ্য মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে নগরমুখী হচ্ছে। সব মিলিয়ে এই নগরীর বাসিন্দাদের প্রতিদিন ৫ লাখ গ্যালন পানি প্রয়োজন হয়। এই পানির মুখ্য ভাগই আমরা গভীর নলকূপের মাধ্যমে ভূগর্ভ থেকে আমরা উত্তোলন করে থাকি। এই ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের কারণে এই অঞ্চলের ভূমি ২ সেন্টিমিটার নিচে নেমে গেছে। যদি কোনো দিন বরিশালে ভূমিকম্প হয় তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। তাই আমাদের নিরাপত্তার জন্যই ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহারের ওপর চাপ কমাতে হবে। এদিকে জনগণের ৬৮ কোটি টাকায় নির্মিত দু’টি পানি শোধনাগার অকেজো হয়ে আছে বছরের পর বছর। এখানকার প্রান্তিক পর্যায়ে সুপেয় পানির অভাব দীর্ঘদিনের। আমরা ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন সময় ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমাতে দাবির প্রেক্ষিতে পানি শোধনাগার দু’টি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু নির্মাণের দেড় যুগ পরও বিভিন্ন জটিলতা ও অনৈতিক কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তা হস্তান্তর করা হচ্ছে না। তাই এই সংকট দূর করতে বরিশাল সিটি করপোরেশনের বর্তমান প্রশাসক রায়হান কাওছারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এসময় বক্তারা, পানির অপচয় রোধ করতে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণসহ পুকুর ভরাট না করে সেই পানি দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।