০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মিরসরাই বামন সুন্দর দারোগারহাটে ভগ্নিপতির হাতে সম্বন্ধী খুন

চট্টগ্রাম মিরসরাই এর নন্দীগ্রাম,৪ নং ওয়ার্ড ৬ নং ইছাখালী ইউনিয়ন, থানা জোরারগঞ্জ জেলা চট্টগ্রাম, নন্দীগ্রামের বাসিন্দা ও ওমান প্রবাসী, জনিক মোঃ মহিউদ্দিন ৪০,পিতা মৃত ফজলুল হক, মাতা সবুরা আক্তার,তার আপন বোনের সামির হাতে খুন হন,ঘটনাটি ঘটে ২১,০২,২০২৫, রাত আনুমানিক ৯, ঘটিকার সময়,ওমান প্রবাসী মৃত মোঃ মহিউদ্দিন দেশে আসেন ২১,২,২০২৫ সকাল  ১১.০০ ঘটিকায়, এরই মাঝে একদিন যেতে না যেতেই দেশে এসে খুন হন তাও আবার ভগ্নিপতির হাতে, তথ্যসূত্রে জানা যায় তাহার  ভগ্নিপতি, শেখ ফরিদ প্রকাশ শরিফ, মাদকাসক্ত ও গরু ব্যবসায়ী, সে তার স্ত্রীকে বিভিন্ন সময় মারধর করতেন,দুঃখজনক হলেও বিষয়টা সত্যি যে, প্রবাসী মহিউদ্দিন দেশে এসে শুনতে পান ২১,২,২০২৫, রাত অনুমান ৮.৩০ ঘটিকার সময় তার ছোট বোন সেলিনা আক্তার কলি কে তার স্বামী পারিবারিক কলহের জেরে মারধর করছে,উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে তার ছোট বোনের স্বামীর বাড়িতে প্রবাস থেকে আসা তার ভাই মহিউদ্দিন ছোট বোনের স্বামীর বাড়ি ছুটে যান,এবং তাহাদের স্বামী-স্ত্রীর পারিবারিক কলহল সমাধানের চেষ্টা করতে গেলে, তাৎক্ষণিক উভয় পক্ষের মধ্যে বাক বিতন্দ্র সৃষ্টি হয়, এক পর্যায়ে তখন তার ভগ্নিপতির জেঠাতো ভাই আবু তাহের ও আত্মীয়-স্বজন মিলে এলোপাথাড়ি  মহিউদ্দিনের উপর মারধর করতে থাকে, অমানবিক মারধরে মহিউদ্দিন সাথে সাথে মাটিতে লুটে পড়ে,তাৎক্ষণিক স্থানীয় লোকজন তাকে মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য  কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে, কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন, এ সংক্রান্তে মৃত মহিউদ্দিন অবিবাহিত থাকায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে জোরারগঞ্জ থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন বলেও জানান,এজাহারে খুনি ১, শেখ ফরিদ প্রকাশ শরীফ, ৩০,পিতা  মিছিল আহমেদ , ২, খনির  জেঠাতো ভাই, মোস্তফা মুন্না ৩৫,পিতা মৃত আবু তাহের, ৩, খুনির পিতা মিছিল আহমেদ, পিতা মৃত এছাক, ৪, খুনির মাতা হেলেনা বেগম,স্বামী মিছিল আহমেদ,, ও অজ্ঞাত আরো কয়েকজনের নামে জোরারগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন বলেও জানান, মামলা তদন্তে  জোরারগঞ্জ থানার এসআই ( নি:) লিটন চন্দ্রনাথ, মৃত্যুর সুরতহাল রিপোর্ট করতে লাশ ময়না তদন্তের জন্য চমেক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান,এই ঘটনায় ওমান ফেরত প্রবাসী মৃত মহিউদ্দিনের বাড়িতে শোকের কান্নায় থমথমে বিরাজ করছে,এই বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার (ওসি) অফিসার্স ইনচার্জ জনাব সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম বলেন,আমি জোরারগঞ্জ থানায় যদিও নতুন, কিন্তু আমার পেশাগত দায়িত্বের কাজে আমি সম্পূর্ণই পুরাতন ও অভিজ্ঞ সম্পূর্ণ, আমি এই জোরারগঞ্জ থানায় যতদিন আছি ততদিন আমার জোরারগন্জ থানা এলাকার  সকল সাধারণ জনগণের স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কোন প্রকার কমতি থাকবে না,আমি সব সময় আমার থানা এলাকায় কোন প্রকার অন্যায় অত্যাচার জুলুম করতে দিবোনা,এবং এই খুনের সাথে যারা যারা জড়িত ও এই ঘটনাটি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বের করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে ইনশাল্লাহ, সবশেষে জোরারগঞ্জ থানার বর্তমান ওসি, সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম বলেন, মৃত মহিউদ্দিনের শোকাহত পরিবারের প্রতি ধৈর্যধারণের পরামর্শ দেন, এবং সর্বস্তরের সবাইকে অপরাধমুক্ত থাকারও আহ্বান জানান, সব শেষে তিনি আরো বলেন  ওমান ফেরত প্রবাসী মৃত মহিউদ্দিনের খুনের বিষয়টি সঠিকভাবে তদন্ত করবেন, এবং খুনি আসামিরা কোন প্রকার রেহাই পাবে না বলেও জানান।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

জুড়ীতে নিসচা’র সড়ক সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত

মিরসরাই বামন সুন্দর দারোগারহাটে ভগ্নিপতির হাতে সম্বন্ধী খুন

পোস্ট হয়েছেঃ ০৮:৩৮:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

চট্টগ্রাম মিরসরাই এর নন্দীগ্রাম,৪ নং ওয়ার্ড ৬ নং ইছাখালী ইউনিয়ন, থানা জোরারগঞ্জ জেলা চট্টগ্রাম, নন্দীগ্রামের বাসিন্দা ও ওমান প্রবাসী, জনিক মোঃ মহিউদ্দিন ৪০,পিতা মৃত ফজলুল হক, মাতা সবুরা আক্তার,তার আপন বোনের সামির হাতে খুন হন,ঘটনাটি ঘটে ২১,০২,২০২৫, রাত আনুমানিক ৯, ঘটিকার সময়,ওমান প্রবাসী মৃত মোঃ মহিউদ্দিন দেশে আসেন ২১,২,২০২৫ সকাল  ১১.০০ ঘটিকায়, এরই মাঝে একদিন যেতে না যেতেই দেশে এসে খুন হন তাও আবার ভগ্নিপতির হাতে, তথ্যসূত্রে জানা যায় তাহার  ভগ্নিপতি, শেখ ফরিদ প্রকাশ শরিফ, মাদকাসক্ত ও গরু ব্যবসায়ী, সে তার স্ত্রীকে বিভিন্ন সময় মারধর করতেন,দুঃখজনক হলেও বিষয়টা সত্যি যে, প্রবাসী মহিউদ্দিন দেশে এসে শুনতে পান ২১,২,২০২৫, রাত অনুমান ৮.৩০ ঘটিকার সময় তার ছোট বোন সেলিনা আক্তার কলি কে তার স্বামী পারিবারিক কলহের জেরে মারধর করছে,উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে তার ছোট বোনের স্বামীর বাড়িতে প্রবাস থেকে আসা তার ভাই মহিউদ্দিন ছোট বোনের স্বামীর বাড়ি ছুটে যান,এবং তাহাদের স্বামী-স্ত্রীর পারিবারিক কলহল সমাধানের চেষ্টা করতে গেলে, তাৎক্ষণিক উভয় পক্ষের মধ্যে বাক বিতন্দ্র সৃষ্টি হয়, এক পর্যায়ে তখন তার ভগ্নিপতির জেঠাতো ভাই আবু তাহের ও আত্মীয়-স্বজন মিলে এলোপাথাড়ি  মহিউদ্দিনের উপর মারধর করতে থাকে, অমানবিক মারধরে মহিউদ্দিন সাথে সাথে মাটিতে লুটে পড়ে,তাৎক্ষণিক স্থানীয় লোকজন তাকে মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য  কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে, কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন, এ সংক্রান্তে মৃত মহিউদ্দিন অবিবাহিত থাকায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে জোরারগঞ্জ থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন বলেও জানান,এজাহারে খুনি ১, শেখ ফরিদ প্রকাশ শরীফ, ৩০,পিতা  মিছিল আহমেদ , ২, খনির  জেঠাতো ভাই, মোস্তফা মুন্না ৩৫,পিতা মৃত আবু তাহের, ৩, খুনির পিতা মিছিল আহমেদ, পিতা মৃত এছাক, ৪, খুনির মাতা হেলেনা বেগম,স্বামী মিছিল আহমেদ,, ও অজ্ঞাত আরো কয়েকজনের নামে জোরারগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন বলেও জানান, মামলা তদন্তে  জোরারগঞ্জ থানার এসআই ( নি:) লিটন চন্দ্রনাথ, মৃত্যুর সুরতহাল রিপোর্ট করতে লাশ ময়না তদন্তের জন্য চমেক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান,এই ঘটনায় ওমান ফেরত প্রবাসী মৃত মহিউদ্দিনের বাড়িতে শোকের কান্নায় থমথমে বিরাজ করছে,এই বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার (ওসি) অফিসার্স ইনচার্জ জনাব সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম বলেন,আমি জোরারগঞ্জ থানায় যদিও নতুন, কিন্তু আমার পেশাগত দায়িত্বের কাজে আমি সম্পূর্ণই পুরাতন ও অভিজ্ঞ সম্পূর্ণ, আমি এই জোরারগঞ্জ থানায় যতদিন আছি ততদিন আমার জোরারগন্জ থানা এলাকার  সকল সাধারণ জনগণের স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কোন প্রকার কমতি থাকবে না,আমি সব সময় আমার থানা এলাকায় কোন প্রকার অন্যায় অত্যাচার জুলুম করতে দিবোনা,এবং এই খুনের সাথে যারা যারা জড়িত ও এই ঘটনাটি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বের করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে ইনশাল্লাহ, সবশেষে জোরারগঞ্জ থানার বর্তমান ওসি, সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম বলেন, মৃত মহিউদ্দিনের শোকাহত পরিবারের প্রতি ধৈর্যধারণের পরামর্শ দেন, এবং সর্বস্তরের সবাইকে অপরাধমুক্ত থাকারও আহ্বান জানান, সব শেষে তিনি আরো বলেন  ওমান ফেরত প্রবাসী মৃত মহিউদ্দিনের খুনের বিষয়টি সঠিকভাবে তদন্ত করবেন, এবং খুনি আসামিরা কোন প্রকার রেহাই পাবে না বলেও জানান।