
গাজীপুরের টঙ্গীতে মাজার বস্তিতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ছিনতাই-মাদকের কারবারসহ অন্য অপরাধে জড়িত সন্দেহে ৬০ জনকে আটক করা হয়েছে; জব্দ করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের মাদক ও দেশীয় অস্ত্র।
শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে চলা এই অভিযানে সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি ও পুলিশ সদস্যা অংশ নেন বলে গাজীপুর জেলা প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী হাকিম মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম জানান।
তিনি বলেন, ছিনতাই, মাদক ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধে যৌথ বাহিনীর পরিচালিত অভিযানে ওই বস্তির বিভিন্ন ঘরে তল্লাশি চালিয়ে দেশীয় অস্ত্র, মাদক ও মাদক সেবনের কাজে ব্যবহৃত সামগ্রী জব্দ করা হয়।
রাজধানীর উত্তরাসহ টঙ্গী অপরাধপ্রবণ এলাকা হয়ে ওঠায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির স্বার্থে যৌথ বাহিনী এ অভিযান চালায় জানিয়ে রায়হানুল ইসলাম বলেন, অভিযানে আটকদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযান শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আপনারা জানেন, মাজার বস্তি এলাকাটির অনেকে অত্যন্ত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, ছিনতাই-রাহাজানিতে জড়িত। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে আমরা আজকে এ অভিযানটি পরিচালনা করি
আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, আমরা বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য জব্দ করেছি। সেইসঙ্গে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, যেগুলো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা হয়, চিহ্নিত বেশকিছু সন্ত্রাসী ও মাদক সেবী, মাদক বিক্রেতা ও সংশ্লিষ্ট লোকজনকে আটক করেছি। রমজান মাস ঘিরে এ এলাকার আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি অবনতি হত বলে আমাদের ধারণা ছিল। সে কারণেই আজকের আমাদের এই অভিযান।”
তিনি বলেন, “আজকের এই অভিযানে আমরা আনুমানিক ৬০ জনের মত মাদক সেবী, মাদক কারবারি এবং যারা বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত, আমাদের তালিকাভুক্ত ছিল, সেসমস্ত লোকদের আটক করা হয়েছে। এখান থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদক আটক করেছি, গাজা থেকে শুরু করে দেশীয় মদ, ইয়াবা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য জব্দ করেছি।