
জানা গেছে, বাদী শহিদুল ইসলাম বিএনপি কর্মি, সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য।
২০২৩সালের ৩০ মে বেলা অনুমান ৩ টার দিকে ঘটনা দেখিয়ে তিনি আদালতে অভিযোগ করেন, প্রধান আসামি বরগুনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শমভুর নেতৃত্বে ২৩১ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী বরগুনা জেলা বিএনপির অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এসময় তারা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছবি ভাঙচুর করে।
বাদী শহিদুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার কারণে এতদিন মামলা করতে পারিনি। তদন্ত হলে প্রকৃত ঘটনা বেড়িয়ে আসবে
বরগুনা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াসি মতিন বলেন, আমি শুনেছি শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের ২৩১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। আমরা অল্প দিনের মধ্যে মিটিং ডেকে সভায় আলোচনা করব। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে।
বরগুনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শমভু, বরগুনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন, সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির, বরগুনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ ওয়ালি অলি, সাবেক জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাবুদ্দিন সাবু, বরগুনা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি আক্তারুজ্জামান বাহাদুর।
আসামি শাহাবুদ্দিন সাবু বলেন, জেলা বিএনপির নেতারা বাদী হয়ে মামলা করে না। তারা জানেন, এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। যারা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাগুলো করে তাদের রাজনৈতিক কি পরিচয় আছে আমাদের জানা নেই। তবে এই কালচার থেকে বের হয়ে আসা উচিৎ।
বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের দলীয় কার্যালয় ভাংচুরের ঘটনায় আগে একটি মামলা হয়েছে। সেই মামলার বিষয় আমি কিছু জানতাম না। ওই দিন আমার মেয়ে মারা যায়। আজকে যে মামলা হয়েছে তাও আমি কিছু জানি না।
একই ঘটনাস্থল একই ঘটনা দেখিয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে এসএম নঈমুল ইসলাম চলতি বছর ৩০ মে ১৫৮ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মি সাংবাদিক, আইনজীবীর বিরুদ্ধে একটি মামলা করে। সেই মামলায় ঘটনা দেখিয়েছে ২০২৩ সালের ১৭ মার্চ।