মোস্তাকিম বিল্লা 
আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহাকে সামনে রেখে জয়পুরহাট জেলার আমদই ইউনিয়নের মাধাইনগর হাটে কোরবানির পশুর হাটে জমে উঠেছে কেনাবেচা। এরই মধ্যে বিভিন্ন হাটে দেশি-বিদেশি জাতের গরু ও ছাগল তোলা শুরু হয়েছে। তবে দাম নিয়ে বিক্রেতা ও ক্রেতাদের মধ্যে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
জয়পুরহাট জেলার সদর উপজেলার অন্যতম পশুর হাট আমদই ইউনিয়নের মাধাইনগর হাইস্কুল মাঠে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই গরু-ছাগল নিয়ে বিক্রেতাদের ভিড়, সঙ্গে বাড়ছে ক্রেতারাও। হাটে দেশি জাতের মাঝারি ও বড় সাইজের গরু ছাড়াও কিছু উন্নত জাতের গরু যেমন শাহীওয়াল, ফ্রিজিয়ান, সিন্ধি জাতের গরু পাওয়া যাচ্ছে। ছাগলের মধ্যে ব্ল্যাক বেঙ্গল ও জামুনাপাড়ি জাতের চাহিদা বেশি।
দাম কিছুটা চড়া, তবে বিক্রিও হচ্ছেবিক্রেতারা অভিযোগ করছেন, এ বছর গরু-ছাগলের দাম তুলনামূলকভাবে অনেক কম। তবে বিক্রেতারা বলছেন, খাদ্যদ্রব্যের দাম বৃদ্ধি ও গরু পালনের খরচ বেড়ে যাওয়ায় এ বছর পশুর দাম তুলনা মুলকভাবে অনেক কম হওয়াই গরু পালনকারীদের অনেক ক্ষতি পোহাতে হচ্ছে।
নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনাহাটে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা জানিয়েছেন, হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া পশু ডাক্তার, ওজন পরিমাপক এবং স্বাস্থ্যপরীক্ষার বুথও রয়েছে।
বিক্রেতাদের ভাষ্যএবার গরু পালনে খরচ অনেক বেশি বেড়েছে। তাই একটু ভালো দাম না পেলে ক্ষতি হয়ে যাবে।
স্থানীয় প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে হাটে পশুর ট্রান্সপোর্ট, পানি, ও ওষুধের ব্যবস্থা থাকায় হাটে ক্রেতা-বিক্রেতারা কিছুটা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন
