০২:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নবীনগরে গ্রাম আদালত বিষয়ক কমিউনিটি মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ স্থানীয় সরকার, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং ইউএনডিপি এর যৌথ অর্থায়নে এবং ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল একশন-ইপসা’র বাস্তবায়নে বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্পের আওতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালত বিষয়ক কমিউনিটি মত বিনিময় সভা ও ভিডিও প্রদর্শনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার( ৯ মার্চ) দুপুরে অত্র ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এই মত বিনিময় সভা ও ভিডিও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় গ্রাম আদালত বিষয়ক কমিউনিটির মত বিনিময় সভায় সলিমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের
প্যানেল চেয়ারম্যান সেলিম এলাহীর সভাপতিত্বে ও ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল একশন-ইপসা, বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয় করন তৃতীয় পর্যায় প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী ওবাইদুল হক সৌরভের সঞ্চালনায় অত্র ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক -কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম,অত্র ইউনিয়ন পরিষদের
সচিব মোঃ জুগলুল আহম্মেদ,সহ অত্র ইউনিয়ন পরিষদের সকল ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও মহিলা ইউপি সদস্য, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি ও গ্রাম পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। উক্ত সভার সার্বিক তদারকি করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব চৌধুরী।
উপস্থিত বক্তারা বলেন, গ্রামাঞ্চলের ছোট ছোট দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলা নিষ্পত্তির জন্য ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় যে আদালত গঠিত হয় সে আদালত হলো গ্রাম আদালত। গ্রাম আদালত গ্রামাঞ্চলের সুবিধা বঞ্চিত অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর সুবিচার পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়। গ্রাম আদালতের এখতিয়ার সম্পূর্ণ মামলা অন্য কোন আদালত গ্রহণ করতে পারে না, গ্রাম আদালতে মামলা করলে কোন আইনজীবীর প্রয়োজন হয় না। যার কারণে মামলা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার কোন সুযোগ নেই। স্থানীয় ইউপি সদস্য এবং গণ্যমান্য বিচারকের উপস্থিতিতে এই আদালত বসে। এই আদালতের বিচারক সংখ্যা হল ৫ জন। স্থানীয় ইউপি সদস্য এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতেই এই বিচার অনুষ্ঠিত হয় বলে এখানে মিথ্যা সাক্ষী দেওয়ার কোন সুযোগ থাকে না। এছাড়াও গ্রাম আদালতে মামলার আবেদনপত্রে কি কি তথ্য দেওয়া লাগে সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়। পরে গ্রাম আদালত বিষয়ক একটি ভিডিও প্রদর্শনী প্রজেক্টরের মাধ্যমে উপস্থিত সবার মাঝে প্রদর্শন করা হয়।
গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্পের বাস্তবায়নে মতবিনিময় সভা এবং ভিডিও প্রদর্শনী সহায়তা করায় ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল একশন-ইপসা এর প্রধান নির্বাহী মোঃ আরিফুর রহমান, গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্পের এর প্রকল্প সমন্বয়কারী, ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল একশন-ইপসা এর সহকারী পরিচালক মিসেস ফারহানা ইদ্রিস ও মিসেস নাসিম বানু এবং গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্পের এর ফোকাল পার্সন ও ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল একশন-ইপসা এর সমাজ উন্নয়ন পরিচালককে উপস্থিত সকলে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

টঙ্গীবাড়িতে গরু চোরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় চোর সহ আটক ( ২ )

নবীনগরে গ্রাম আদালত বিষয়ক কমিউনিটি মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

পোস্ট হয়েছেঃ ০৩:৫৭:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশ স্থানীয় সরকার, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং ইউএনডিপি এর যৌথ অর্থায়নে এবং ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল একশন-ইপসা’র বাস্তবায়নে বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্পের আওতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালত বিষয়ক কমিউনিটি মত বিনিময় সভা ও ভিডিও প্রদর্শনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার( ৯ মার্চ) দুপুরে অত্র ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এই মত বিনিময় সভা ও ভিডিও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় গ্রাম আদালত বিষয়ক কমিউনিটির মত বিনিময় সভায় সলিমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের
প্যানেল চেয়ারম্যান সেলিম এলাহীর সভাপতিত্বে ও ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল একশন-ইপসা, বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয় করন তৃতীয় পর্যায় প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী ওবাইদুল হক সৌরভের সঞ্চালনায় অত্র ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক -কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম,অত্র ইউনিয়ন পরিষদের
সচিব মোঃ জুগলুল আহম্মেদ,সহ অত্র ইউনিয়ন পরিষদের সকল ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও মহিলা ইউপি সদস্য, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি ও গ্রাম পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। উক্ত সভার সার্বিক তদারকি করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব চৌধুরী।
উপস্থিত বক্তারা বলেন, গ্রামাঞ্চলের ছোট ছোট দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলা নিষ্পত্তির জন্য ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় যে আদালত গঠিত হয় সে আদালত হলো গ্রাম আদালত। গ্রাম আদালত গ্রামাঞ্চলের সুবিধা বঞ্চিত অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর সুবিচার পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়। গ্রাম আদালতের এখতিয়ার সম্পূর্ণ মামলা অন্য কোন আদালত গ্রহণ করতে পারে না, গ্রাম আদালতে মামলা করলে কোন আইনজীবীর প্রয়োজন হয় না। যার কারণে মামলা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার কোন সুযোগ নেই। স্থানীয় ইউপি সদস্য এবং গণ্যমান্য বিচারকের উপস্থিতিতে এই আদালত বসে। এই আদালতের বিচারক সংখ্যা হল ৫ জন। স্থানীয় ইউপি সদস্য এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতেই এই বিচার অনুষ্ঠিত হয় বলে এখানে মিথ্যা সাক্ষী দেওয়ার কোন সুযোগ থাকে না। এছাড়াও গ্রাম আদালতে মামলার আবেদনপত্রে কি কি তথ্য দেওয়া লাগে সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়। পরে গ্রাম আদালত বিষয়ক একটি ভিডিও প্রদর্শনী প্রজেক্টরের মাধ্যমে উপস্থিত সবার মাঝে প্রদর্শন করা হয়।
গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্পের বাস্তবায়নে মতবিনিময় সভা এবং ভিডিও প্রদর্শনী সহায়তা করায় ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল একশন-ইপসা এর প্রধান নির্বাহী মোঃ আরিফুর রহমান, গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্পের এর প্রকল্প সমন্বয়কারী, ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল একশন-ইপসা এর সহকারী পরিচালক মিসেস ফারহানা ইদ্রিস ও মিসেস নাসিম বানু এবং গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্পের এর ফোকাল পার্সন ও ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল একশন-ইপসা এর সমাজ উন্নয়ন পরিচালককে উপস্থিত সকলে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।