অজিত কুমার দাশ 
ছাতকে গত রাতে সোনাই নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু লুটপাটের অভিযোগে বালু বোঝাই ইঞ্জিন চালিত ৩টি স্টীলের তৈরী নৌকাসহ দুই ব্যক্তিকে যৌথ বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে।
গত শনিবার দুপুরে আসামীদের অবৈধ ভাবে বালু লোটপাটের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সুনামগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়,বিএনপি, যুবদল,সেচ্ছাসেবক দল,
জামায়াত ও আওয়ামীলীগসহ তিন গ্রুপ মিলে চৈলা,সোনাই নদী পিয়াইন নদীতে প্রতিরাতে লাখ লাখ টাকা অবৈধ ভাবে সোনাই নদীতে বালু উত্তোলন করে আসছে। এসব বালু সারাদেশে পাচার করা হচ্ছে। থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে প্রতিরাতে লাখ লাখ টাকার বালু লুটপাট চলছে।
গত ২৮ জুন রাতে নৌপুলিশ খবর পেয়ে ছাতক সেনাবাহিনী ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন মুহতাসিম আহনাফ শাহরিয়ার ও নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের এমদাদনগর গ্রামস্থ চৈলতার ঢালা নামক স্থানে অভিযান চালিয়ে রাতের গভীরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় ৩টি ইঞ্জিন চালিত স্টীলের তৈরী নৌকাসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছেন। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন থানা পুলিশের ভুমিকা রহস্যজনক বলে এলাকাবাসী নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃতরা আসামীরা হলেন,সুনামগঞ্জের তাহির পুর উপজেলার ফকিরনগর গ্রামের মৃত রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে আলী হোসেন (৩২) একই জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার মমিনপুর গ্রামের মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে মফিজ মিয়া (৪০)। এঘটনায় নৌপুলিশের ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ৫জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় আটককৃত দুজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে গত শনিবার দুপুরে সুনামগঞ্জ আদালাতে পাঠানো হয়েছে।
এব্যাপারে নৌ পুলিশের ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন
এসব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন উপজেলার ইসলামপুর ইউপির অর্ন্তগত এমদাদনগর গ্রামস্থ চৈলতার ঢালা নামক স্থানে প্রভাবশালী তিন গ্রুপ মিলে গভীর রাতে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। ৩টি ইঞ্জিন চালিত স্টীলের তৈরী নৌকা ২জন আসামীসহ (তিন হাজার একশত) ঘনফুট বালু জব্দ করা হয়েছে। ৫ জন আসামীর মধ্যে দুজন গ্রেপ্তার করা হলেও তিনজন রয়েছে পলাতক।
