
কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলা ও গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মধ্যে নির্মিত তিস্তা হরিপুর সেতু উদ্বোধনের অপেক্ষায় দুই জেলার লাখো মানুষ।অপেক্ষার প্রহর আর যেন কোনোভাবেই কাটছে না। দীর্ঘদিনের অপেক্ষা ও দীর্ঘ সংগ্রাম আন্দোলন করে পাওয়া এই সেতুটি এ যেন স্বপ্নের পদ্মা সেতুর চেয়েও দামি একটি সেতু এই অঞ্চলের মানুষের কাছে। সেই ১৯৬২ সাল থেকে এই অঞ্চলে এই নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছিল এ অঞ্চলের মানুষ। এই একটি সেতু নির্মাণের জন্য কত হাহাকার কত ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে এই অঞ্চলের মানুষদেরকে। এই একটি সেতুর অভাবে এই অঞ্চলের মানুষদেরকে যে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে তা বলছিল ডাঙার চরের শাহ আলম নামের এক মুরুব্বি। তিনি বলেন চিকিৎসা সেবা স্বাস্থ্য সেবা লেখাপড়া থেকে শুরু করে সকল বিষয়ে ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে।তিনি আরও বলেন এই নদী একেক সময় একেক রূপ ধারণ করত যার ফলে আমরা প্রতিনিয়ত নদীর আগ্রাসনের শিকার হতাম। জরুরী প্রয়োজনে আমরা কখনোই চিকিৎসা সেবা স্বাস্থ্য সেবা গর্ভবতী নারী এমনকি অসুস্থ মুমূর্ষ রোগীদেরকে সঠিক সময় হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারতাম না। আমরা আমাদের উৎপাদিত পণ্য কৃষি পণ্যর দাম সঠিকভাবে পাইতাম না কারণ আমরা সঠিক সময় সেগুলো বাজারে নিয়ে যেতে পারতাম না। নদীর কারণে অনেক সময় দেখা গেছে এক নদী কিন্তু দুইবার নৌকা পরিবর্তন করতে হতো সঠিকভাবে নৌকার যোগান ছিল না। এই এক নদী পার হতে সুন্দরগঞ্জ অংশে একবার ভাড়া দিতে হতো আবার চিলমারী অংশে একবার ভাড়া দিতে হতো নৌকায়। যার ফলে আমাদের ডাবল টাকা ব্যায় হতো। এভাবেই ওই মুরুব্বী বিস্মিত কন্ঠে বললেন আমাদের যে কত ভোগান্তি ছিল। কত নদী বালুচর হেঁটে পার হয়ে যাওয়ার স্মৃতি আজ যেন সব স্বপ্নের মত মনে হচ্ছে তিস্তা সেতুর বাস্তব রুপ দেখে। ওই মুরুব্বী কান্না জড়িত কন্ঠে বললেন হামার তিস্তা সেতু হামার কাছে পদ্মা সেতুর চেয়েও দামি বাহে।