০৪:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাঠ্যপুস্তকে ফ্যাক্ট চেকিং অন্তর্ভুক্তির প্রয়োজনীয়তা

বর্তমান বিশ্বে ইন্টারনেট মানুষের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে। দৈনন্দিন জীবনের নানা ঘটনা, অনুভূতি, মতামত এমনকি খবরও এখন অনায়াসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা হয়। কিন্তু এই ডিজিটাল প্রবাহের মধ্যেই প্রতিনিয়ত ছড়িয়ে পড়ছে বিভ্রান্তিকর তথ্য, গুজব, মিথ্যা প্রচারণা এবং বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য। যা সমাজ, রাষ্ট্র ও ব্যক্তিজীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
বিশেষত Misinformation (ভুল তথ্য), Disinformation (উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভুল তথ্য), Malinformation (প্রসঙ্গের বাইরে তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি) ও Hate Speech ইন্টারনেটে নিয়মিতভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে তথ্য বিকৃতি, ভুয়া ছবি বা ভিডিও তৈরি এবং গুজব ছড়ানোর হার আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক সময় মানুষ না বুঝেই এসব তথ্য শেয়ার করে ফেলছে আবার কেউ কেউ জেনেও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তা ছড়াচ্ছে।
এই সংকট থেকে উত্তরণের একটি কার্যকর উপায় হলো শিক্ষার প্রাথমিক স্তরেই তথ্য যাচাই বা ফ্যাক্ট চেকিংয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যক্রমে ফ্যাক্ট চেকিং বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা গেলে শিক্ষার্থীরা ছোটবেলা থেকেই সত্য-মিথ্যার পার্থক্য বুঝে তথ্য যাচাইয়ের অভ্যাস গড়ে তুলতে পারবে। এতে করে তারা নিজেরা যেমন গুজব বা ভুয়া তথ্য থেকে মুক্ত থাকতে পারবে তেমনি সমাজেও সচেতনতা সৃষ্টি করতে সক্ষম হবে।
একটি ভুয়া তথ্য কখনো ব্যক্তির সম্মানহানি ঘটাতে পারে, কখনো সমাজে বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে আবার কখনো তা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্যও হুমকি হয়ে উঠতে পারে। তাই তথ্য পাওয়ার পর যাচাই-বাছাই না করে তা শেয়ার করা উচিত নয়।
সরকার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সমাজের সকল সচেতন নাগরিকের যৌথ উদ্যোগেই এই সমস্যা প্রতিরোধ সম্ভব। তথ্য শেয়ারের আগে আমাদের ভাবতে হবে, যাচাই করতে হবে। উত্তেজনায় পড়ে যেন কোনো কিছুই না শেয়ার করি। তথ্যের উৎস যদি নির্ভরযোগ্য না হয় তাহলে তা শেয়ার করা থেকে বিরত থাকাই উত্তম।
সতর্ক ব্যবহারকারীর হাতেই ইন্টারনেট একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। আর অসতর্কতার হাতেই এটি পরিণত হতে পারে সমাজ বিধ্বংসী অস্ত্রে। তাই সময় এসেছে শিক্ষার শুরুতেই তথ্য সচেতনতা গড়ে তোলার, ফ্যাক্ট চেকিং শিক্ষার একটি অপরিহার্য অংশ হোক।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

সন্দ্বীপে এসইডিপি’র আওতায় পারফরমেন্স বেজড গ্র্যান্টস পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাঠ্যপুস্তকে ফ্যাক্ট চেকিং অন্তর্ভুক্তির প্রয়োজনীয়তা

পোস্ট হয়েছেঃ ০৭:২৫:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫
বর্তমান বিশ্বে ইন্টারনেট মানুষের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে। দৈনন্দিন জীবনের নানা ঘটনা, অনুভূতি, মতামত এমনকি খবরও এখন অনায়াসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা হয়। কিন্তু এই ডিজিটাল প্রবাহের মধ্যেই প্রতিনিয়ত ছড়িয়ে পড়ছে বিভ্রান্তিকর তথ্য, গুজব, মিথ্যা প্রচারণা এবং বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য। যা সমাজ, রাষ্ট্র ও ব্যক্তিজীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
বিশেষত Misinformation (ভুল তথ্য), Disinformation (উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভুল তথ্য), Malinformation (প্রসঙ্গের বাইরে তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি) ও Hate Speech ইন্টারনেটে নিয়মিতভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে তথ্য বিকৃতি, ভুয়া ছবি বা ভিডিও তৈরি এবং গুজব ছড়ানোর হার আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক সময় মানুষ না বুঝেই এসব তথ্য শেয়ার করে ফেলছে আবার কেউ কেউ জেনেও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তা ছড়াচ্ছে।
এই সংকট থেকে উত্তরণের একটি কার্যকর উপায় হলো শিক্ষার প্রাথমিক স্তরেই তথ্য যাচাই বা ফ্যাক্ট চেকিংয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যক্রমে ফ্যাক্ট চেকিং বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা গেলে শিক্ষার্থীরা ছোটবেলা থেকেই সত্য-মিথ্যার পার্থক্য বুঝে তথ্য যাচাইয়ের অভ্যাস গড়ে তুলতে পারবে। এতে করে তারা নিজেরা যেমন গুজব বা ভুয়া তথ্য থেকে মুক্ত থাকতে পারবে তেমনি সমাজেও সচেতনতা সৃষ্টি করতে সক্ষম হবে।
একটি ভুয়া তথ্য কখনো ব্যক্তির সম্মানহানি ঘটাতে পারে, কখনো সমাজে বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে আবার কখনো তা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্যও হুমকি হয়ে উঠতে পারে। তাই তথ্য পাওয়ার পর যাচাই-বাছাই না করে তা শেয়ার করা উচিত নয়।
সরকার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সমাজের সকল সচেতন নাগরিকের যৌথ উদ্যোগেই এই সমস্যা প্রতিরোধ সম্ভব। তথ্য শেয়ারের আগে আমাদের ভাবতে হবে, যাচাই করতে হবে। উত্তেজনায় পড়ে যেন কোনো কিছুই না শেয়ার করি। তথ্যের উৎস যদি নির্ভরযোগ্য না হয় তাহলে তা শেয়ার করা থেকে বিরত থাকাই উত্তম।
সতর্ক ব্যবহারকারীর হাতেই ইন্টারনেট একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। আর অসতর্কতার হাতেই এটি পরিণত হতে পারে সমাজ বিধ্বংসী অস্ত্রে। তাই সময় এসেছে শিক্ষার শুরুতেই তথ্য সচেতনতা গড়ে তোলার, ফ্যাক্ট চেকিং শিক্ষার একটি অপরিহার্য অংশ হোক।