০২:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বরিশালে নিরাপত্তাকর্মীকে শ্বশুর বাড়ি আটকে রেখে নির্যাতন; অতঃপর ৯৯৯ এ কল করে উদ্ধার হন ভুক্তভোগী

বরিশাল সদর উপজেলার কাশীপুরে জাকির গাজী নামের এক নিরাপত্তাকর্মীকে শ্বশুর বাড়িতে ৪ দিন আটকে রেখে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী মুন্নি বেগম ও শ্যালকদের বিরুদ্ধে। তার উপর নির্যাতন চালিয়ে নগদ টাকা, খালি স্ট্যাম্পে ও চেকে সাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি জানতে পেরে জাকিরের পরিবার ৯৯৯ এ কল করলে এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
রবিবার (২৭ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে কাশীপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডস্থ পূর্ব বিল্লাবাড়ি এলাকার মৃত নজের শিকদারের বাড়ি থেকে জাকিরকে উদ্ধার করেন।
জাকির গাজী কাশীপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডস্থ পূর্ব বিল্লাবাড়ি এলাকার মৃত মোহাম্মদ আয়নাল গাজীর ছেলে। তিনি ঢাকায় একটি কোম্পানিতে নিরাপত্তাকর্মীর কাজ করেন।
অভিযুক্তরা হলেন, ওই এলাকার মৃত নজের শিকদারের মেয়ে ও জাকির গাজীর স্ত্রী মুন্নি আক্তার, তার ভাই লিটু শিকদার, সুমন সিকদার, সুজন শিকদার।
আহত জাকির বলেন, বিগত ৪ দিন আগে বেরানোর জন্য শ্বশুর বাড়িতে যাই। সেখানে যাওয়া মাত্রই আমার স্ত্রী মুন্নি বেগম ও শ্যালকরা আমাকে আটকিয়ে নগদ টাকা, জমি ও ব্যাংক চেক দিতে বলে এবং মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। এরপর ৪ দিন সেই বাড়িতে আটকে রেখে আমার উপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। এমনকি ৪ দিনে আমাকে কিছু খেতেও দেয়নি। এতেও আমি রাজি না হলে পিটিয়ে পা ভেঙে দেয় ও কারেন্ট শক দিয়ে নগদ ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা, খালি স্ট্যাম্পে ও চেকে সাক্ষর নেয়।
তিনি আরও বলেন, বিবাহের পর তারা তিন শতাংশ জমি ও নগদ ৩ লক্ষ নগদ টাকা চাপ দিয়ে নিয়ে নেয়। বিবাহের পর থেকেই তারা আমার সম্পদের উপর কুদৃষ্টি দেয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ,  স্ত্রী মুন্নি আক্তারের আগেও ২ টি বিবাহ ছিল। তার একটি মেয়ে রয়েছে, তাকে বিবাহও দিয়েছেন। তার ভাই লিটু সিকদারের ভয়ে এলাকাবাসী সব সময় আতঙ্কে থাকেন। তাদের পরিবার খুবই খারাপ, কিছু হলেই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী কোন কথা বলতে পারেন না কিছু বললেই তাদের জীবননাশের হুমকি দিয়ে থাকে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন এয়ারপোর্ট থানার এসআই শহীদুল বলেন- ৯৯৯ এ কলে এসে জাকির গাজী নামের একজনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন এলাকাবাসী। পাশাপাশি ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্তের জন্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

‎ব্রাহ্মণপাড়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ

বরিশালে নিরাপত্তাকর্মীকে শ্বশুর বাড়ি আটকে রেখে নির্যাতন; অতঃপর ৯৯৯ এ কল করে উদ্ধার হন ভুক্তভোগী

পোস্ট হয়েছেঃ ০৬:৩৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫
বরিশাল সদর উপজেলার কাশীপুরে জাকির গাজী নামের এক নিরাপত্তাকর্মীকে শ্বশুর বাড়িতে ৪ দিন আটকে রেখে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী মুন্নি বেগম ও শ্যালকদের বিরুদ্ধে। তার উপর নির্যাতন চালিয়ে নগদ টাকা, খালি স্ট্যাম্পে ও চেকে সাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি জানতে পেরে জাকিরের পরিবার ৯৯৯ এ কল করলে এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
রবিবার (২৭ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে কাশীপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডস্থ পূর্ব বিল্লাবাড়ি এলাকার মৃত নজের শিকদারের বাড়ি থেকে জাকিরকে উদ্ধার করেন।
জাকির গাজী কাশীপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডস্থ পূর্ব বিল্লাবাড়ি এলাকার মৃত মোহাম্মদ আয়নাল গাজীর ছেলে। তিনি ঢাকায় একটি কোম্পানিতে নিরাপত্তাকর্মীর কাজ করেন।
অভিযুক্তরা হলেন, ওই এলাকার মৃত নজের শিকদারের মেয়ে ও জাকির গাজীর স্ত্রী মুন্নি আক্তার, তার ভাই লিটু শিকদার, সুমন সিকদার, সুজন শিকদার।
আহত জাকির বলেন, বিগত ৪ দিন আগে বেরানোর জন্য শ্বশুর বাড়িতে যাই। সেখানে যাওয়া মাত্রই আমার স্ত্রী মুন্নি বেগম ও শ্যালকরা আমাকে আটকিয়ে নগদ টাকা, জমি ও ব্যাংক চেক দিতে বলে এবং মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। এরপর ৪ দিন সেই বাড়িতে আটকে রেখে আমার উপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। এমনকি ৪ দিনে আমাকে কিছু খেতেও দেয়নি। এতেও আমি রাজি না হলে পিটিয়ে পা ভেঙে দেয় ও কারেন্ট শক দিয়ে নগদ ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা, খালি স্ট্যাম্পে ও চেকে সাক্ষর নেয়।
তিনি আরও বলেন, বিবাহের পর তারা তিন শতাংশ জমি ও নগদ ৩ লক্ষ নগদ টাকা চাপ দিয়ে নিয়ে নেয়। বিবাহের পর থেকেই তারা আমার সম্পদের উপর কুদৃষ্টি দেয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ,  স্ত্রী মুন্নি আক্তারের আগেও ২ টি বিবাহ ছিল। তার একটি মেয়ে রয়েছে, তাকে বিবাহও দিয়েছেন। তার ভাই লিটু সিকদারের ভয়ে এলাকাবাসী সব সময় আতঙ্কে থাকেন। তাদের পরিবার খুবই খারাপ, কিছু হলেই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী কোন কথা বলতে পারেন না কিছু বললেই তাদের জীবননাশের হুমকি দিয়ে থাকে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন এয়ারপোর্ট থানার এসআই শহীদুল বলেন- ৯৯৯ এ কলে এসে জাকির গাজী নামের একজনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন এলাকাবাসী। পাশাপাশি ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্তের জন্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।