
পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের বয়ারশিং এলাকায় বন বিভাগের স্পার্ট টিমের অভিযানে শিকারিদের পাতা ফাঁদে আটকে পড়া একটি চিত্রা হরিণ ও একটি বন্য শুকর উদ্ধার করা হয়েছে। একইসাথে প্রায় এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের হরিণ শিকারের ফাঁদ জব্দ করে তা পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
রবিবার (২৭ জুলাই) বিকেলে স্পার্ট টিমের নেতৃত্বে ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম মরাপশুর সংলগ্ন বয়ারশিং এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করেন। বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া হরিণটি ফাঁদে আটকে সামান্য আহত হয়। বনরক্ষীরা দ্রুত হস্তক্ষেপ করে প্রাণীটিকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নিরাপদে বনে অবমুক্ত করেন। একই এলাকায় একটি বন্য শুকরও ফাঁদে আটকে পড়ে, যেটিকেও জীবিত অবস্থায় মুক্ত করে জঙ্গলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
অভিযানে বনরক্ষীরা বিপুল পরিমাণ ফাঁদ জব্দ করেন, যার দৈর্ঘ্য ছিল আনুমানিক এক কিলোমিটার। উদ্ধার করা ফাঁদগুলো পরে বন বিভাগের নির্দেশে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, “মরাপশুর টহল ফাঁড়ির বয়ারশিং এলাকা থেকে ফাঁদগুলো উদ্ধার না করা গেলে আরও অনেক হরিণ ও বন্যপ্রাণীর প্রাণহানি ঘটতে পারত। বন্যপ্রাণী রক্ষায় আমাদের টিম প্রতিদিন পায়ে হেঁটে টহল দিচ্ছে। আমি নিজেও এই কাজে সরাসরি সম্পৃক্ত থেকে গর্ব অনুভব করি।”
তিনি আরও বলেন, শিকারিরা সুযোগ পেলে সুন্দরবনের নিরীহ প্রাণীদের ফাঁদে ফেলতে কুণ্ঠাবোধ করে না। তবে বন বিভাগ সতর্ক ও তৎপর রয়েছে। নিয়মিত টহল ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এসব অপরাধ দমন করা হচ্ছে।
বন বিভাগ এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখার পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের সহায়তা ও সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষার আহ্বান জানিয়েছে।