০৫:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমাদের সমাজে এই ধরনের পরিবার কে দেখার কেউ নেই

  • মো :ইমন আহামেদ
  • পোস্ট হয়েছেঃ ০৮:৩৪:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 154
রাস্তার ধারে খোলা আকাশের নিচে, কোনো এক বাস স্টপ বা দোকানের ছাউনির তলে, কেউ মাটিতে, কেউ বা এক-দুইটা পাটির ওপর শুয়ে থাকে। তাদের সঙ্গী হয় গন্ধময় ছেঁড়া কাঁথা-কম্বল, আর বালিশের স্থানে সারাদিনের কুড়িয়ে আনা পলিথিন ও ছেঁড়া-ফাটা ময়লার ব্যাগ। এই মানুষগুলোর মাঝেই জন্ম নেয় কিছু ফুটফুটে শিশু। না! একটু ভুল হলো-তারা কখনো সুন্দর বা সুন্দরী হতে পারে না; তারা গুণবান-গুণবতী বা মায়াবতীও হয় না। হবেই বা কীভাবে? তাদের পিতৃ বা মাতৃ পরিচয় নেই, নেই উচ্চ বংশ। ভদ্র সমাজের লোকদের ধমক, গালি আর পিটুনি খেয়েই কাটে তাদের দিন। দামি পোশাক নেই, ভালো-মন্দ খাবারও পায় না; রাজা-রানী আর রাজ্যের স্বপ্ন দেখবে, সেটা তো অনেক দূরের বিষয়। একটা বিষয় দিয়ে জিনিসটা পরিষ্কার করি: আপনার ঘরের ছোট শিশুটাকে আপনি ধমক দেন, আর আপনাকে সে ভয়ও পায়। জি, ভয় পায়। কিন্তু আপনিল তার ছোট মস্তিষ্কে শত্রু হয়ে উঠবেন; আপনার ধারে কাছে তো আসবে না, বরং সুযোগ সন্ধানে থাকবে আপনাকে ছোট আঘাত বা গালি দেওয়ার জন্য। যদিও বড় হওয়ার সাথে সাথে এটি ঠিক হয়ে যাবে। ঠিক হওয়ার কারণ,পরিবার, শিক্ষা, সমাজ ইত্যাদির ইতিবাচক দিক। কিন্তু পথশিশুদের পরিবার কই? শিক্ষা কই? আর সুন্দর সমাজই বা কই? তারা প্রতিক্ষণে গালি, ধমক আর সামান্য ভুলে গণধোলাই খেয়ে বড় হচ্ছে; তাহলে তাদের মস্তিষ্কে আপনি শত্রু হয়ে উঠেন নাই কি? এই শত্রুতা থেকেই করছে ছিনতাই, হচ্ছে সন্ত্রাসী আর দেখাচ্ছে ভয়। তাদের নিয়ে কে ভাববে? কে তাদের পাশে দাঁড়াবে? কে তাদের একটা বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দেবে? কে তাদের শিক্ষা দেবে? আমরা সবাই সবার কাজ, ক্ষমতা, স্বার্থ, ধন-সম্পদ, নিজ পরিবার, নিজ দল নিয়ে ব্যস্ত। সময় নেই সহানুভূতির দৃষ্টিতে সেই পথশিশুদের দেখার। তবে অনেক মানুষ আবার পেশা হিসাবেই নিয়েছে এটি; তাদের কথা ভিন্ন।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

দেওয়ানগঞ্জে স্ত্রীর অধিকার ও সন্তানের ভরনপোষণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

আমাদের সমাজে এই ধরনের পরিবার কে দেখার কেউ নেই

পোস্ট হয়েছেঃ ০৮:৩৪:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
রাস্তার ধারে খোলা আকাশের নিচে, কোনো এক বাস স্টপ বা দোকানের ছাউনির তলে, কেউ মাটিতে, কেউ বা এক-দুইটা পাটির ওপর শুয়ে থাকে। তাদের সঙ্গী হয় গন্ধময় ছেঁড়া কাঁথা-কম্বল, আর বালিশের স্থানে সারাদিনের কুড়িয়ে আনা পলিথিন ও ছেঁড়া-ফাটা ময়লার ব্যাগ। এই মানুষগুলোর মাঝেই জন্ম নেয় কিছু ফুটফুটে শিশু। না! একটু ভুল হলো-তারা কখনো সুন্দর বা সুন্দরী হতে পারে না; তারা গুণবান-গুণবতী বা মায়াবতীও হয় না। হবেই বা কীভাবে? তাদের পিতৃ বা মাতৃ পরিচয় নেই, নেই উচ্চ বংশ। ভদ্র সমাজের লোকদের ধমক, গালি আর পিটুনি খেয়েই কাটে তাদের দিন। দামি পোশাক নেই, ভালো-মন্দ খাবারও পায় না; রাজা-রানী আর রাজ্যের স্বপ্ন দেখবে, সেটা তো অনেক দূরের বিষয়। একটা বিষয় দিয়ে জিনিসটা পরিষ্কার করি: আপনার ঘরের ছোট শিশুটাকে আপনি ধমক দেন, আর আপনাকে সে ভয়ও পায়। জি, ভয় পায়। কিন্তু আপনিল তার ছোট মস্তিষ্কে শত্রু হয়ে উঠবেন; আপনার ধারে কাছে তো আসবে না, বরং সুযোগ সন্ধানে থাকবে আপনাকে ছোট আঘাত বা গালি দেওয়ার জন্য। যদিও বড় হওয়ার সাথে সাথে এটি ঠিক হয়ে যাবে। ঠিক হওয়ার কারণ,পরিবার, শিক্ষা, সমাজ ইত্যাদির ইতিবাচক দিক। কিন্তু পথশিশুদের পরিবার কই? শিক্ষা কই? আর সুন্দর সমাজই বা কই? তারা প্রতিক্ষণে গালি, ধমক আর সামান্য ভুলে গণধোলাই খেয়ে বড় হচ্ছে; তাহলে তাদের মস্তিষ্কে আপনি শত্রু হয়ে উঠেন নাই কি? এই শত্রুতা থেকেই করছে ছিনতাই, হচ্ছে সন্ত্রাসী আর দেখাচ্ছে ভয়। তাদের নিয়ে কে ভাববে? কে তাদের পাশে দাঁড়াবে? কে তাদের একটা বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দেবে? কে তাদের শিক্ষা দেবে? আমরা সবাই সবার কাজ, ক্ষমতা, স্বার্থ, ধন-সম্পদ, নিজ পরিবার, নিজ দল নিয়ে ব্যস্ত। সময় নেই সহানুভূতির দৃষ্টিতে সেই পথশিশুদের দেখার। তবে অনেক মানুষ আবার পেশা হিসাবেই নিয়েছে এটি; তাদের কথা ভিন্ন।