
রাস্তায় সোনা কুড়িয়ে পেয়েছেন! ভেবেছেন যাক ভালোই হল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর যা ঘটে তাতে মাথায় হাত পড়ে। আর ভাবতে বাধ্য হবেন এটা কী করলাম। এরকম এক অভিনব প্রতারনা চলছে সিলেট নগরজুড়ে। তবে বেশীর ভাগ এরকম ঘটনা ঘটছে নগরীর হুমায়ুন রশীদ চত্বর ও সিলেট ঢাকা রোড এলাকায়। আপনি রিকশা, অটোরিকসা সিএনজিতে উঠার পর দেখবেন রিকশা বা সিএনজি চালক হঠাৎ গাড়ি থামিয়ে কাগজ হাতে নিয়ে খুলে দেখবে স্বর্ণ। তখন আপনার হাতে দিয়ে বলবে দেখেন এটা কি? যখনই আপনি বলবেন এটা স্বর্ণ তখনই রিকশা অথবা সিএনজি চালক সেজে থাকা প্রতারক বলবে সোনাটি আপনি নিয়ে নিন। আমি কিছু বলবো না কাউকে। শুধু কিছু টাকা দিয়ে দিন। আর লক্ষ টাকার সোনা পেয়েছেন ভেবে আপনি ১০/১৫ হাজার টাকা দিয়েও দেন। কিন্তু পরে যারা সেই সোনা নেন জানতে পারেন যে সেটি আসল সোনা নয়। সবটাই নকল।
সিলেটের হুমায়ুন রশীদ চত্বর, সিলেট ঢাকা রোডসহ নগরজুড়ে হরহামেশা এমন ঘটনার খবর পাওয়া যায়। সুত্র জানায়, এসব প্রতারক চক্রের মুল হোতা খোকন, আনোয়ার ও নাজমুল। এদের রয়েছে ৩০/৪০ জনের সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের দল। এরা দীর্ঘদিন থেকে মানুষের সাথে এমন প্রতারনা করে যাচ্ছে। এদের ফাঁদে পড়ে অনেকেই হয়েছেন নিঃস্ব।
জানা যায়, এসব নকল স্বর্ণ সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্যরা তাদের নির্ধারিত রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা চালকদের পাশেই ফেলে যায়। মোটর সাইকেল নিয়ে কাগজে মুড়ানো নকল স্বর্ণের বার বা গহনা রাস্তায় ফেলে দ্রুত চলে যায়। আর সেটা কুড়িয়ে নেয় আপনাকে বহন করা কোন রিকশা বা সিএনজি অটোরিকশার চালক। মুলত এসব চালক প্রতারক চক্রের সদস্য।
সুত্র থেকে জানা যায়, কোন সময় যদি এসব প্রতারনা করতে গিয়ে জনতার হাতে প্রতারক আটক হয় তখনই তাদের দলনেতা খোকন, আনোয়ার, নাজমুল ঘটনাস্হলে পৌছে তাদের সদস্যদের উদ্ধারে কৌশল চালায়।
আবার প্রতারনার কাজ সফল হলে সব প্রতারক একত্রিত হয়ে টাকা ভাগবাটোয়া করে নেয়। টাকা ভাগ বাটোয়ারা করার জন্য এরা নিরিবিলি স্হান বেচে নেয়।
তবে নকল স্বর্ণের প্রতারক চক্রকে ধরতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। এরা পুলিশের উপস্হিতি টের পেলে সটকে পড়ে অন্য স্হানে গিয়ে শুরু করে প্রতারনা।
এ বিষয়ে সিলেট (ডিবি) পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানান, আমাদের কাছেও অভিযোগ এসেছে। আমাদের টিম কাজ করে যাচ্ছে। এসব প্রতারকদের তথ্য সংগ্রহ করে গ্রেফতার করা হবে।