০৬:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুশাখালী ইউনিয়ন সদরেই রাখার দাবিতে মানববন্ধন

  • Outsider Sohel
  • পোস্ট হয়েছেঃ ০৮:৩৩:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫
  • 750
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১৮নং কুশাখালী ইউনিয়নকে সদরের আওতায় রাখার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৯ জুলাই ২০২৫) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ফরাশগঞ্জ, কালিবৃত্তি, শান্তির হাট বাজারসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে একযোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
“উপজেলার প্রশ্নে কুশাখালী সদর” — এই স্লোগানকে সামনে রেখে আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নেয় ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতা ও বিভিন্ন পেশার মানুষ একত্রিত হয়ে কুশাখালী ইউনিয়নকে সদর উপজেলার আওতায় রাখার জোর দাবি জানান।
📌 মানববন্ধনে বক্তাদের বক্তব্য:
বক্তারা বলেন, কুশাখালী ইউনিয়ন ঐতিহাসিকভাবে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার অন্তর্ভুক্ত। এখানকার মানুষ সদর উপজেলা থেকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশাসনিকসহ সকল নাগরিক সুবিধা ভোগ করে আসছেন। সাম্প্রতিক সময়ে ৯টি ইউনিয়ন নিয়ে নতুন চন্দ্রগঞ্জ উপজেলা গঠনের প্রস্তাব এসেছে। সেই তালিকায় কুশাখালী ইউনিয়নের নাম থাকলেও ইউনিয়নবাসী এতে একমত নয়।
তাদের দাবি — চন্দ্রগঞ্জের সাথে কুশাখালীর কোনো প্রশাসনিক, ভৌগোলিক বা যোগাযোগগত সুবিধা নেই। বরং সদর উপজেলা থেকে খুব সহজে যোগাযোগ করা যায়। সদর উপজেলার বিভিন্ন দপ্তর, হাসপাতাল, থানা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই এই ইউনিয়নের মানুষের ভরসাস্থল।
📌 প্রস্তাবিত চন্দ্রগঞ্জ উপজেলার ইউনিয়নসমূহ:
১. বশিকপুর
২. দত্তপাড়া
৩. উত্তর জয়পুর
৪. চন্দ্রগঞ্জ
৫. হাজিরপাড়া
৬. চরশাহী
৭. দিঘলী
৮. মান্দারী
৯. কুশাখালী
📌 কুশাখালীবাসীর আশঙ্কা:
নতুন উপজেলার আওতায় গেলে কুশাখালীবাসীর জন্য প্রশাসনিক সেবা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও দুর্বিষহ হয়ে পড়বে। চন্দ্রগঞ্জ বাজার ও সম্ভাব্য উপজেলা সদর থেকে কুশাখালীর দূরত্ব অনেক। এতে সাধারণ মানুষের দাফতরিক কার্যক্রম, চিকিৎসা, শিক্ষা এবং নিরাপত্তা সেবায় ভোগান্তি বাড়বে।
📌 জনগণের দাবি:
মানববন্ধনে বক্তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, জনগণের দীর্ঘদিনের অভ্যাস, প্রশাসনিক সুবিধা ও সেবা নিশ্চিত করতে কুশাখালী ইউনিয়নকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার সাথেই রাখতে হবে।
অন্যথায় এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

পরিকল্পিত বনায়ন করি, সবুজ বাংলাদেশ গড়ি” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নড়াইলে সপ্তাহব্যাপী (২৪-৩০ জুলাই) বৃক্ষরোপন অভিযান ও বৃক্ষমেলা শুরু হয়েছে।

কুশাখালী ইউনিয়ন সদরেই রাখার দাবিতে মানববন্ধন

পোস্ট হয়েছেঃ ০৮:৩৩:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১৮নং কুশাখালী ইউনিয়নকে সদরের আওতায় রাখার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৯ জুলাই ২০২৫) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ফরাশগঞ্জ, কালিবৃত্তি, শান্তির হাট বাজারসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে একযোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
“উপজেলার প্রশ্নে কুশাখালী সদর” — এই স্লোগানকে সামনে রেখে আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নেয় ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতা ও বিভিন্ন পেশার মানুষ একত্রিত হয়ে কুশাখালী ইউনিয়নকে সদর উপজেলার আওতায় রাখার জোর দাবি জানান।
📌 মানববন্ধনে বক্তাদের বক্তব্য:
বক্তারা বলেন, কুশাখালী ইউনিয়ন ঐতিহাসিকভাবে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার অন্তর্ভুক্ত। এখানকার মানুষ সদর উপজেলা থেকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশাসনিকসহ সকল নাগরিক সুবিধা ভোগ করে আসছেন। সাম্প্রতিক সময়ে ৯টি ইউনিয়ন নিয়ে নতুন চন্দ্রগঞ্জ উপজেলা গঠনের প্রস্তাব এসেছে। সেই তালিকায় কুশাখালী ইউনিয়নের নাম থাকলেও ইউনিয়নবাসী এতে একমত নয়।
তাদের দাবি — চন্দ্রগঞ্জের সাথে কুশাখালীর কোনো প্রশাসনিক, ভৌগোলিক বা যোগাযোগগত সুবিধা নেই। বরং সদর উপজেলা থেকে খুব সহজে যোগাযোগ করা যায়। সদর উপজেলার বিভিন্ন দপ্তর, হাসপাতাল, থানা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই এই ইউনিয়নের মানুষের ভরসাস্থল।
📌 প্রস্তাবিত চন্দ্রগঞ্জ উপজেলার ইউনিয়নসমূহ:
১. বশিকপুর
২. দত্তপাড়া
৩. উত্তর জয়পুর
৪. চন্দ্রগঞ্জ
৫. হাজিরপাড়া
৬. চরশাহী
৭. দিঘলী
৮. মান্দারী
৯. কুশাখালী
📌 কুশাখালীবাসীর আশঙ্কা:
নতুন উপজেলার আওতায় গেলে কুশাখালীবাসীর জন্য প্রশাসনিক সেবা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও দুর্বিষহ হয়ে পড়বে। চন্দ্রগঞ্জ বাজার ও সম্ভাব্য উপজেলা সদর থেকে কুশাখালীর দূরত্ব অনেক। এতে সাধারণ মানুষের দাফতরিক কার্যক্রম, চিকিৎসা, শিক্ষা এবং নিরাপত্তা সেবায় ভোগান্তি বাড়বে।
📌 জনগণের দাবি:
মানববন্ধনে বক্তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, জনগণের দীর্ঘদিনের অভ্যাস, প্রশাসনিক সুবিধা ও সেবা নিশ্চিত করতে কুশাখালী ইউনিয়নকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার সাথেই রাখতে হবে।
অন্যথায় এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।