
গোপালগঞ্জে এনসিপির পূর্বঘোষিত পদযাত্রায় হামলার প্রতিবাদে খুলনায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামীর খুলনা মহানগর শাখা। বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে নগরীর ডাকবাংলো মোড়ে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন মহানগর জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান।
সমাবেশে বক্তব্যে অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, “দেশ এক গভীর রাজনৈতিক সংকট পার করছে। জনগণ গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে যাওয়ার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ একটি ভারতপন্থী গোষ্ঠী এবং পলাতক নেত্রীর ইন্ধনে দেশে নতুন করে অস্থিরতা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চলছে।” তিনি দাবি করেন, গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রায় ছাত্রলীগের হামলা সেই ষড়যন্ত্রেরই অংশ।
তিনি আরও বলেন, “ছাত্রলীগ ইতিপূর্বে নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে পরিচিত এবং তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সবার জানা। এ ঘটনার মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। আমরা আশা করি, হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।”
বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট শাহ আলম, প্রিন্সিপাল শেখ জাহাঙ্গীর আলম, আজিজুল ইসলাম ফারাজী, মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, মাওলানা শাহারুল ইসলাম, মাওলানা শেখ মো. অলিউল্লাহ, খুলনা সদর থানা আমীর এস এম হাফিজুর রহমান, সেক্রেটারি মো. আব্দুস সালাম, ছাত্রশিবির নেতা ইস্রাফিল হোসেন, শ্রমিক নেতা আলী হায়দার নিরু, সাদ্দাম হোসেন, আব্দুর রশীদ, হাবিবুল্লাহ প্রমুখ।
অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, “পদযাত্রার আয়োজনের আগে এনসিপি প্রশাসনের সঙ্গে যথাযথ আলোচনা করেই কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল। কিন্তু প্রশাসনের কার্যকর সহায়তা ছিল অনুপস্থিত। গোপালগঞ্জ বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো এলাকা নয়, সেখানেও রাষ্ট্রের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দায়িত্ব রয়েছে।”
তিনি দাবি করেন, “গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী শাসনের পতন ঘটেছে, তবে দেশ এখনো ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়নি। পতিত আওয়ামী দোসরদের বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং দেশে টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সকলের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”