
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ভাইবোন ছড়া এলাকায় ত্রিপুরা কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ছয় জন এর মধ্যে চার জন যুবককে আটক করে সেনাবাহিনী, পরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে অভিযুক্তদের। অভিযুক্ত বাকি দুইজনকে খুঁজছে অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।জানা যায়,ওই কিশোরী অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী (১৪)।লজ্জা আর ভয়ে কাউকে কিছু বলতে না পেরে ওই স্কুল শিক্ষার্থী মানসিকভাবে ভেংগে পরলে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। শিক্ষার্থীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জ্ঞান ফিরলে শিক্ষার্থীর পরিবার কারণ জিজ্ঞাস করলে স্কুল শিক্ষার্থী ঘটনাটি জানায় এবং শিক্ষার্থী এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে ৬ জনের বিরুদ্ধে খাগড়াছড়ি সদর থানায় বুধবার ১৭ই জুলাই একটি মামলা করেন। মামলার পর পর অভিযানে নামে খাগড়াছড়ি সদর থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী, ওই অভিযানে ১৭জুলাই রাত ৩টার সময় চার জন কে আটক করা হয়।শিক্ষার্থীর পরিবারের কাছথেকে জানা যায়, গত ২৭ জুন রথযাত্রা মেলায় ঘুরতে গিয়ে ওই কিশোরী রাতে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে থেকে যান।ওই দিন গভীর রাতে ৬ যুবক জোরপূর্বক ঘরে ঢুকে ওই আত্মীয়কে বেঁধে রেখে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে।
আটককৃত ৪ আসামিরা হলো- খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের আরমান হোসেন (৩২), মো: সাকিব আলম (২৫), এনায়েত হোসেন (৩৫), সাদ্দাম হোসেন (৩২)। মো. মুনির ইসলাম (২৯)। এই ঘটনায় অভিযুক্ত মো. সোহেল ইসলাম (২৩) পলাতক রয়েছে। এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে এলাকাবাসীরা বলেন, আমরা চাই এই ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত হোক।অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তাদের বিচার হোক দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক।
ধর্ষকদের জাত, ধর্ম কিংবা অন্য কোনো বিশেষণ নেই। তাদের পরিচয় একটাই—’ধর্ষক’।
খাগড়াছড়ি সদর থানা পুলিশ সুপার আরোফিন জুয়েল বলেন, জনগণের নিরাপত্তা দেওয়াই বাংলাদেশ পুলিশের মূল দায়িত্ব। মামলা হওয়ার পরপরই আমরা অভিযান শুরু করি এবং অভিযুক্ত ৪জন কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। বাকি দুইজনকে গ্রেফতারে অভিযান চলমান আছে।খুব শীঘ্রই তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। চেষ্টা চলছে। ধর্ষণের শিকার কিশোরী এখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ আমরা হাসপাতালে গিয়ে ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর জবানবন্দি নিবো।