১০:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মানিকগঞ্জ ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার কু-প্রস্তাব

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার এক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে কু-প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি উপজেলার সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান খান। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিভাবক গত ১৫ জুলাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেন।
উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি আমলে নিয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস. এম. আব্দুল্লাহ বিন শফিককে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
অভিযোগ ও শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যদের ভাষ্য অনুযায়ী, ছাত্রীটি সিঙ্গাইরের একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান খান তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ওই ছাত্রীর মোবাইল নম্বরে ও ফেসবুক মেসেঞ্জারে নানা সময় আপত্তিকর বার্তা ও কু-প্রস্তাব পাঠান। পরে শিক্ষার্থী ঘটনাটি তার অভিভাবকদের জানান।
শিক্ষার্থীর মা বলেন, “একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে এমন অনৈতিক ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ঘটনায় আমার মেয়ের মানসিক স্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। সে এখন চরম ভীত ও হতাশাগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে। আমরা দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্ত কর্মকর্তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।”অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান খান বলেন, “আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এসেছে, সেটা সত্য না মিথ্যা তা বলব না। তবে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে আমার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে।” সিঙ্গাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান সোহাগ বলেন, “অভিযোগটি গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করা হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি)-কে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

বাগেরহাটে যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল

মানিকগঞ্জ ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার কু-প্রস্তাব

পোস্ট হয়েছেঃ ০৮:০১:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার এক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে কু-প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি উপজেলার সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান খান। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিভাবক গত ১৫ জুলাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেন।
উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি আমলে নিয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস. এম. আব্দুল্লাহ বিন শফিককে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
অভিযোগ ও শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যদের ভাষ্য অনুযায়ী, ছাত্রীটি সিঙ্গাইরের একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান খান তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ওই ছাত্রীর মোবাইল নম্বরে ও ফেসবুক মেসেঞ্জারে নানা সময় আপত্তিকর বার্তা ও কু-প্রস্তাব পাঠান। পরে শিক্ষার্থী ঘটনাটি তার অভিভাবকদের জানান।
শিক্ষার্থীর মা বলেন, “একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে এমন অনৈতিক ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ঘটনায় আমার মেয়ের মানসিক স্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। সে এখন চরম ভীত ও হতাশাগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে। আমরা দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্ত কর্মকর্তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।”অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান খান বলেন, “আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এসেছে, সেটা সত্য না মিথ্যা তা বলব না। তবে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে আমার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে।” সিঙ্গাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান সোহাগ বলেন, “অভিযোগটি গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করা হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি)-কে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”