
ঢাকায় বিমান বিধ্বস্ত একটি দুঃখজনক ঘটনা। ২১ জুলাই ২০২৫, সোমবার দুপুর ১টা ৬ মিনিটে ঢাকার কুর্মিটোলার বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি থেকে একটি এফ-৭ বিজিআই ট্রেনিং জেট যুদ্ধবিমান টেকঅফের পর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিধ্বস্ত হয়।ইবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেন; মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত।দূর্ঘটনায় নিহতদের মাগফিরাত কামনা উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় গায়েবানা জানাজা নামাজের আয়োজন করা হয়েছে।জানাজা নামাজের পূর্বে ইবির আল কুরআন এন্ড ইমলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান নাজিমুদ্দিন মিজি স্যার বলেন; মাইলস্টোন বিমান দূর্টনা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল হয়ে থাকবে, শহিদ ছোট ছোট শিশু এবং শিক্ষক শিক্ষিকার রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।বিমানটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ডানার নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার দিকে যাচ্ছিল; পাইলট এমন ক্ষেত্রে জনসমাগম কম জায়গায় বিধ্বস্ত করার চেষ্টা করেনবিধ্বস্ত সময় ছিল স্কুলে পরীক্ষা-ক্লাস চলাকালীন; আগুন লেগে পাশের ভবনে ব্যাপক ধ্বংস হয়সরকারি বা AP–র মত মিডিয়ায় ২৬–২৭ জন নিহতের কথা বলা হয়েছে, আহতের সংখ্যা প্রায় ১৬০ থেকে ১৭০ এর অধিক, যাদের কেউ কেউ গম্ভীর অবস্থায় রয়েছেন। এফ‑৭ বিজিআই হচ্ছে চীনের তৈরি একটি পুরনো ফাইটার-জেট, এর নিরাপত্তা ও নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উদ্বেগ রয়েছে।সরকার উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করছে এবং একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা করেছেন। পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে আহতদের জরুরি চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে: বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট, উত্তরা আধুনিক হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে।রক্তদান ও উদ্ধার কাজের জন্য স্বেচ্ছাসেবীদের আহ্বান করা হয়েছে। পাইলট ফ্লাইট লেফটন্যান্ট মোঃ তৌকির ইসলামের মরদেহটি নিজ বাড়ি রাজশাহীতে দাফনের জন্য নেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটি যান্ত্রিক ত্রুটি, বিমানের অবস্থা ও বিমানবাহিনীর নিরাপত্তা প্রোটোকল খতিয়ে দেখবে। ভবিষ্যতে একই ধরনের দুর্ঘটনা রোধে এয়ারফোর্সের ফ্লাইট রুট, বিমানের বয়স ও মেইনটেন্যান্স উন্নত করার সমীক্ষা হবে।