
মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা সেতু রেললাইন সংযোগ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহনে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মাদারীপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম ও ড. রহিমা খাতুন, সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) সৈয়দ ফারুক আহম্মদ,রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টরেট জোটন চন্দ্রসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন মাদারীপুর জেলা কার্যালয়। মঙ্গলবার দুর্নীতি দমন কমিশনের মাদারীপুর কার্যালয় এ সংক্রান্ত নোটিশ মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সাবেক দুই জেলা প্রশাসকসহ অভিযুক্তদের কাছে পাঠিয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, পদ্মা রেললাইন সংযোগ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক দুই জেলা প্রশাসকসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিষয়ে অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের মাদারীপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামানকে দলনেতা ও সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমান অপুকে সদস্য করে একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি (দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ১৯ ধারা এবং দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ এর বিধি ৮ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন তথ্য এবং চাহিদাপত্র চেয়ে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে তারা হলেন, মাদারীপুর সাবেক জেলা প্রশাসক মো. ওয়হিদুল ইসলাম, সাবেক জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (েএডিসি) সৈয়দ ফারুক আহম্মদ,রেবিনিউ ডেপুটি কালেক্টরেট জোটন চন্দ্র, মাদারীপুরের সাবেক ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো. সাইফুদ্দিন গিয়াস, মোহাম্মদ সুমন শিবলী, প্রমথ রঞ্জন ঘটক, আল মামুন, মো. নাজমুল হক সুমন, মাদারীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কানুনগো (ভারপ্রাপ্ত) মো. নাসির উদ্দিন, মো. আবুল হোসেন, রেজাউল হক এবং মাদারীপুর কালেক্টরেট রেকর্ড রুম শাখার রেকর্ড কিপার মানিক চন্দ্র মন্ডল। দুর্নীতি দমন কমিশন মাদারীপুরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যারা কর্মরত ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, খুব দ্রতই তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে এবং তাদেরকে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানা গিয়েছে।