
ছাত্র-জনতার সাহসী প্রতিরোধ ও আত্মত্যাগের প্রতীক ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করেছে খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি)। দিবসটি উপলক্ষে আজ বুধবার সকালে নগরীতে এক বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয়। র্যালির উদ্বোধন করেন কেসিসি’র প্রশাসক মো: ফিরোজ সরকার। নগরীর জিয়া হল চত্বরে বেলুন ও সাদা কবুতর উড়িয়ে তিনি র্যালির সূচনা করেন। র্যালিটি জিয়া হল থেকে শুরু হয়ে শহিদ হাদিস পার্কে গিয়ে শেষ হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রশাসক ফিরোজ সরকার বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ ও আহতদের আত্মত্যাগ আমাদের সামনে একটি বৈষম্যহীন দেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের দ্বার খুলে দিয়েছে। আজকের আয়োজন সেই আত্মত্যাগকে স্মরণ করিয়ে দেয়। আমাদের উচিত সেই চেতনা ধারণ করে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যকে শক্তিশালী করা।” অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন খুলনার ডিআইজি মো: রেজাউল হক, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এবং ১৯৭৪ সালের অভ্যুত্থানে শহিদ শেখ মো: সাকিব রায়হানের পিতা শেখ মো: আজিজুর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও কেসিসির সিনিয়র লাইসেন্স অফিসার মো: মনিরুজ্জামান রহিম। র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণসংহতি আন্দোলন, এনসিপি, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি, আমরা বৃহত্তর খুলনাবাসীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও নাগরিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও কেসিসির বিভিন্ন বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, গণমাধ্যমকর্মী এবং জুলাই আন্দোলনের শহিদ ও আহত পরিবারের সদস্যবৃন্দ র্যালিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত এই গণসমাবেশ ও র্যালি খুলনাবাসীর মধ্যে এক ভিন্নমাত্রার গণচেতনাবোধ জাগিয়ে তোলে। বক্তারা বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।