০৯:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কৃষিতে উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকারের কঠোর নজরদারি প্রয়োজন

  • রায়হান শেখ
  • পোস্ট হয়েছেঃ ১২:০০:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫
  • 67

সরকারকে শুধু সারের দিকে লক্ষ্য দিলে হবে না। পাশাপাশি ভেজাল কীটনাশক কোম্পানি গুলোকে চিহ্নিত করে সেগুলো বন্ধ করতে হবে। এক্সপার্ট এগ্রিকেয়ার ইমপোর্ট এন্ড এক্সপোর্ট লিঃ এর ভেজাল পণ্য বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এ ব্যাপারে ইতিপূর্বে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সরকার কয়েক দফা তাদেরকে জরিমানা করেছে তারপরও ভেজাল পণ্য উৎপাদন এবং বাজারজাত করে চলেছে। সরকার এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ না গ্রহণ করলে কৃষি প্রধান বাংলাদেশ খাদ্য সংকটে পতিত হবে।এক্সপার্ট এগ্রিকাল ইমপোর্ট এন্ড এক্সপোর্ট লিমিটেড এর ঠিকানা দাশুড়িয়া, ঈশ্বরদী, পাবনা।। এই কোম্পানি \’র মালিক সুজন মাহমুদ হেলাল।  তার মামা গত আওয়ামী লীগ আমলে ঈশ্বরদী থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় ভেজাল পণ্য এখনো তিনি উৎপাদন করে চোলছেন এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ওই ভেজাল পণ্য বাজারজাত করে চলছে।। প্রশাসন যেন নিরব, দেখেও দেখছেন না। এভাবে চলতে থাকলে খাদ্য উৎপাদনে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং বাংলাদেশ খাদ্য সংকটে পড়বে। সরকারকে অবশ্যই সারের বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং তৎপরতা বাড়াতে হবে। খুচরা ডিলারসহ বিসিআইসি দের দিকে গোয়েন্দা তৎপরতা বানাতে হবে। মোল্লাহাট এর বিভিন্ন বাজারে সার ডিলারদের নিকট গিয়ে দেখা গেছে ১ কেজি ডিএপি  সরকার নির্ধারিত মূল্য ২১ টাকা কিন্তু কৃষকের নিকট ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে, ইউরিয়া কেজিপ্রতি ২৭ টাকা হলেও ২৮ থেকে ৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে টিএসপি কেজিপ্রতি ২৭ টাকা বিক্রি করার কথা থাকলেও 35 থেকে 40 টাকা বিক্রি হচ্ছে এমওপি প্রতি কেজি ২০ টাকা বিক্রি করা কথা থাকলেও ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কৃষি অফিস এ ব্যাপারে ভালো কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। আমি নিজে কৃষি অফিসে এক্সপার্ট এগ্রিকেয়ার ইমপোর্ট এন্ড এক্সপোর্ট লিমিটেড এর ভেজাল পণ্যের ব্যাপারে অবহিত করি। কিন্তু  কৃষি অফিস কোন প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। উপসহকারী অজয় মল্লিক জানান আমরা বাজার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালাচ্ছি। ভেজাল কৃষি পন্য চিহ্নিত ও বিনষ্টের ব্যাপারে অফিসে কথা বলা হবে।পরে আপনাকে জানানো হবে।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

ঝিনাইদহে জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন

কৃষিতে উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকারের কঠোর নজরদারি প্রয়োজন

পোস্ট হয়েছেঃ ১২:০০:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫

সরকারকে শুধু সারের দিকে লক্ষ্য দিলে হবে না। পাশাপাশি ভেজাল কীটনাশক কোম্পানি গুলোকে চিহ্নিত করে সেগুলো বন্ধ করতে হবে। এক্সপার্ট এগ্রিকেয়ার ইমপোর্ট এন্ড এক্সপোর্ট লিঃ এর ভেজাল পণ্য বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এ ব্যাপারে ইতিপূর্বে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সরকার কয়েক দফা তাদেরকে জরিমানা করেছে তারপরও ভেজাল পণ্য উৎপাদন এবং বাজারজাত করে চলেছে। সরকার এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ না গ্রহণ করলে কৃষি প্রধান বাংলাদেশ খাদ্য সংকটে পতিত হবে।এক্সপার্ট এগ্রিকাল ইমপোর্ট এন্ড এক্সপোর্ট লিমিটেড এর ঠিকানা দাশুড়িয়া, ঈশ্বরদী, পাবনা।। এই কোম্পানি \’র মালিক সুজন মাহমুদ হেলাল।  তার মামা গত আওয়ামী লীগ আমলে ঈশ্বরদী থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় ভেজাল পণ্য এখনো তিনি উৎপাদন করে চোলছেন এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ওই ভেজাল পণ্য বাজারজাত করে চলছে।। প্রশাসন যেন নিরব, দেখেও দেখছেন না। এভাবে চলতে থাকলে খাদ্য উৎপাদনে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং বাংলাদেশ খাদ্য সংকটে পড়বে। সরকারকে অবশ্যই সারের বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং তৎপরতা বাড়াতে হবে। খুচরা ডিলারসহ বিসিআইসি দের দিকে গোয়েন্দা তৎপরতা বানাতে হবে। মোল্লাহাট এর বিভিন্ন বাজারে সার ডিলারদের নিকট গিয়ে দেখা গেছে ১ কেজি ডিএপি  সরকার নির্ধারিত মূল্য ২১ টাকা কিন্তু কৃষকের নিকট ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে, ইউরিয়া কেজিপ্রতি ২৭ টাকা হলেও ২৮ থেকে ৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে টিএসপি কেজিপ্রতি ২৭ টাকা বিক্রি করার কথা থাকলেও 35 থেকে 40 টাকা বিক্রি হচ্ছে এমওপি প্রতি কেজি ২০ টাকা বিক্রি করা কথা থাকলেও ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কৃষি অফিস এ ব্যাপারে ভালো কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। আমি নিজে কৃষি অফিসে এক্সপার্ট এগ্রিকেয়ার ইমপোর্ট এন্ড এক্সপোর্ট লিমিটেড এর ভেজাল পণ্যের ব্যাপারে অবহিত করি। কিন্তু  কৃষি অফিস কোন প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। উপসহকারী অজয় মল্লিক জানান আমরা বাজার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালাচ্ছি। ভেজাল কৃষি পন্য চিহ্নিত ও বিনষ্টের ব্যাপারে অফিসে কথা বলা হবে।পরে আপনাকে জানানো হবে।