০৬:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উল্লাপাড়ায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বসতবাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট অতঃপর থানায় অভিযোগ

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বসতবাড়ি ভাঙচুর ও ব্যাপক লুটপাটের ঘটনায়  থানায় বাদী হয়ে অভিযোগ করেছেন মোহাম্মদ নুরুল আমিন (৪০)। আসামিরা হলো: ১।মোহাম্মদ আল আমিন হোসেন (৩০)২।মোঃ আব্দুল মোমেন (৩০) ৩।মিলন হোসেন (২৫) ৪।মোঃ মনিরুল ইসলাম (২২) ৫।মোসাম্মৎ কোহিনুর খাতুন (৩৫) ৬। মোছাম্মৎ আখি খাতুন (২৫)৭। মোসাঃ হাসি খাতুন ৮।মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম (৪৫) ৯।মোসাম্মৎ তাহমিনা খাতুন।   এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নুরুল আমিন বলেন, বিবাদীরা হল আমার ভাই, ভাই বউ, বোন ও বোন জামাই। বিবাদীরা নিষিদ্ধ মাদক বিক্রি সেবন ও মজুদের সাথে জড়িত।তাদের এই অবৈধ ব্যবসার বিরুদ্ধে আমাদের গ্রামের তথা সমাজের লোকজন নিষেধ করলে তারা তাদের কথা কোন কর্ণপাত করেনি। তাদেরকে ডেকে একাধিকবার গ্রামে সালিশ করলে তারা ওই সালিশে হাজির হয় নাই।বিবাদীরা আমার আপন ছোট ভাই হওয়ার কারণে এহেন কাজ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করি তারা উল্টো আমাকে মারধর করে। আমি একজন ক্ষুদ্র মুরগির ব্যবসায়ী, গত ২১/ ৬ /২৫ ইং তারিখে আমার দোকানে হালখাতা হওয়ায় পাওনা টাকা ৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা  এবং আমার ওয়াইফের সাড়ে চার ভরি গহনা আমার বাড়িতে একটি ব্যাগের ভিতর টাংকের মধ্যে গোপনে তালা দিয়ে রাখি।  সেই টাকার বিষয় বিবাদীরা জানতে পারে, ২/০৮/২৫ তিন তারিখে ভোর ছয়টায় আমি মুরগি কিনতে বাইরে যাই সেই সুযোগে বিবাদীরা আমার ঘরের তালা ও ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে আলমারি ওয়াড্রব  ভাঙচুর করে আমার ঐ টাকা ও বউয়ের গহন অলংকর নিয়ে যায়। আমার আপন  বড় ভাই আমির হোসেন মাস্টার তার স্ত্রী মোছাঃ জুলিয়া খাতুন ও তার ছেলে মারজানকে বেধড়ক মারপিট করে। আমার ভাইয়ের কোরবানির গরুর বেচা ৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা ও তার বিবাহযোগ্য মেয়ের জন্য বানানো ৬ লক্ষ টাকার গহনা লুট করে নিয়ে যায়। আমার বড় ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার মাথায় ও তার শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে এবং তার স্ত্রীকে হাতুড়ি দিয়ে ঘাড়ে পিঠে এবং কোমরে আঘাত করে। আমার বড় ভাই গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় আমি তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পূর্ণিমাগাতী ভর্তি করি  তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে জেলা সদর হাসপাতালে ডাক্তার রেফারড করে দেয়। সে চিকিৎসা রত অবস্থায় সেখানে আছে।  এ বিষয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা,  মোহাম্মদ রকিবুল ইসলাম জানান, আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি এর সত্য যাচাই করে প্রয়োজনীয় আইনগত  ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

কুমিল্লা নাঙ্গলকোটে ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা

উল্লাপাড়ায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বসতবাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট অতঃপর থানায় অভিযোগ

পোস্ট হয়েছেঃ ০৮:৫৩:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বসতবাড়ি ভাঙচুর ও ব্যাপক লুটপাটের ঘটনায়  থানায় বাদী হয়ে অভিযোগ করেছেন মোহাম্মদ নুরুল আমিন (৪০)। আসামিরা হলো: ১।মোহাম্মদ আল আমিন হোসেন (৩০)২।মোঃ আব্দুল মোমেন (৩০) ৩।মিলন হোসেন (২৫) ৪।মোঃ মনিরুল ইসলাম (২২) ৫।মোসাম্মৎ কোহিনুর খাতুন (৩৫) ৬। মোছাম্মৎ আখি খাতুন (২৫)৭। মোসাঃ হাসি খাতুন ৮।মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম (৪৫) ৯।মোসাম্মৎ তাহমিনা খাতুন।   এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নুরুল আমিন বলেন, বিবাদীরা হল আমার ভাই, ভাই বউ, বোন ও বোন জামাই। বিবাদীরা নিষিদ্ধ মাদক বিক্রি সেবন ও মজুদের সাথে জড়িত।তাদের এই অবৈধ ব্যবসার বিরুদ্ধে আমাদের গ্রামের তথা সমাজের লোকজন নিষেধ করলে তারা তাদের কথা কোন কর্ণপাত করেনি। তাদেরকে ডেকে একাধিকবার গ্রামে সালিশ করলে তারা ওই সালিশে হাজির হয় নাই।বিবাদীরা আমার আপন ছোট ভাই হওয়ার কারণে এহেন কাজ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করি তারা উল্টো আমাকে মারধর করে। আমি একজন ক্ষুদ্র মুরগির ব্যবসায়ী, গত ২১/ ৬ /২৫ ইং তারিখে আমার দোকানে হালখাতা হওয়ায় পাওনা টাকা ৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা  এবং আমার ওয়াইফের সাড়ে চার ভরি গহনা আমার বাড়িতে একটি ব্যাগের ভিতর টাংকের মধ্যে গোপনে তালা দিয়ে রাখি।  সেই টাকার বিষয় বিবাদীরা জানতে পারে, ২/০৮/২৫ তিন তারিখে ভোর ছয়টায় আমি মুরগি কিনতে বাইরে যাই সেই সুযোগে বিবাদীরা আমার ঘরের তালা ও ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে আলমারি ওয়াড্রব  ভাঙচুর করে আমার ঐ টাকা ও বউয়ের গহন অলংকর নিয়ে যায়। আমার আপন  বড় ভাই আমির হোসেন মাস্টার তার স্ত্রী মোছাঃ জুলিয়া খাতুন ও তার ছেলে মারজানকে বেধড়ক মারপিট করে। আমার ভাইয়ের কোরবানির গরুর বেচা ৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা ও তার বিবাহযোগ্য মেয়ের জন্য বানানো ৬ লক্ষ টাকার গহনা লুট করে নিয়ে যায়। আমার বড় ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার মাথায় ও তার শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে এবং তার স্ত্রীকে হাতুড়ি দিয়ে ঘাড়ে পিঠে এবং কোমরে আঘাত করে। আমার বড় ভাই গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় আমি তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পূর্ণিমাগাতী ভর্তি করি  তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে জেলা সদর হাসপাতালে ডাক্তার রেফারড করে দেয়। সে চিকিৎসা রত অবস্থায় সেখানে আছে।  এ বিষয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা,  মোহাম্মদ রকিবুল ইসলাম জানান, আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি এর সত্য যাচাই করে প্রয়োজনীয় আইনগত  ব্যবস্থা গ্রহণ করব।