
আগষ্টের অর্জন আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় আমরা পরিবর্তন আনতে পারি এবং আমরা অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারি।আমরা চাই অ্যাভিয়েশন এন্ড এরোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় শুধু দেশের মধ্যে নয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গর্বের প্রতিক হয়ে ওঠে। লালমনিরহাটে অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ (এএইউবি) এর ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এসব কাথা বলেন বিমানবাহিনীর প্রধান।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের লালমনিরহাটের ক্যাম্পাসে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আরও বলেন, এএইউবি বিশ্ববিদ্যালয় কেবল একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, এটি আমাদের জাতীয় গর্বের প্রতীক, যেখানে গড়ে উঠছে আগামী দিনের বিমান প্রকৌশলী, গবেষক ও মহাকাশ বিজ্ঞানী। দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের আধুনিক জ্ঞানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অ্যাভিয়েশন ও অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কেবলমাত্র জাতীয় পর্যায়ে নয় বরং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও অ্যাভিয়েশন শিল্পের জন্য দক্ষ ও প্রতিযোগিতামূলক জনশক্তি তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে প্রত্যাশা করে বক্তব্য রাখেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের আধুনিক জ্ঞানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অ্যাভিয়েশন অ্যন্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় কেবল মাত্র জাতীয় পর্যায়ে নয় বরং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও অ্যাভিয়েশন শিল্পের জন্য দক্ষ ও প্রতিযোগিতামূলক জনশক্তি তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং লালমনিরহাট থেকে বানিজ্যিক ভাবে বিমান চলাচল করবে বলে তিনি জানান।
বিমানবাহিনী প্রধান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ৫ আগষ্টের অর্জন আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় আমরা পরিবর্তন আনতে পারি এবং আমরা অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারি। আমাদের প্রত্যয় হবে আমরা আকাশের সীমানা ভেদ করব, মহাকাশে আমাদের অস্তিত্ব প্রতিষ্ঠা করব। এরআগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে এম মনিরুল বাহার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানে উপস্থিত সুধীজনদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিবাদন জানিয় বক্তব্য রাখেন।
এর আগে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবিত ড্রোন, কিউব স্যাটেলাইটসহ মহাকাশ গবেষণা সংক্রান্ত বিভিন্ন সরঞ্জামাদি পরিদর্শন করেন বিমানবাহিনী প্রধান। এ সময় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ওমেন ওয়েলফেয়ার টাষ্ট এর সভানেত্রী সালেহা খানসহ বিমানবাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন ও জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি তুলে ধরেন। পরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটা হয়।
উল্লেখ্য, অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ২০১৯ সালে ঢাকার পুরাতন বিমানবন্দরে স্বল্প পরিসরে যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে ০৩ জুলাই ২০২২ তারিখে লালমনিরহাট ক্যাম্পাস থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয় ৪টি অনুষদের অধীনে ৪টি স্নাতক ও ৫টি স্নাতকোত্তর কোর্স পরিচালনা করছে। ২০৪১ সালের মধ্যে ৮টি অনুষদের অধীনে ৪৫টি বিভাগে ৯,০০০ শিক্ষার্থীকে উচ্চশিক্ষার আলোয় আলোকিত করার লক্ষে অত্র বিশ্ববিদ্যালয় কাজ করে যাচ্ছে।