
পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়ায় সীমান্ত দিয়ে ভারতের অনুপ্রবেশের সময় সাত বাংলাদেশীকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে আটকের পরে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে তাদের তেতুঁলিয়া মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে থানায় বিজিবির পক্ষ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। বুধবার রাতে পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, পঞ্চগড় ব্যাটালিয়ন ১৮ বিজিবি’র অধিনস্থ তেতুঁলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের কাশিমগঞ্জ বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ সীমান্তের মেইন পিলার ৭৩০ এর ৬ সাব পিলার এলাকা দিয়ে মহানন্দা নদী পার হয়ে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়াবিহীন এলাকা দিয়ে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) রাতে সাতজন বাংলাদেশী (ছয়জন পুরুষ ও একজন মহিলা) ভারতের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করেন। এসময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের ১৮ ব্যাটালিয়নের বানেশ্বরজোত বিওপি’র বিএসএফের টহলদল তাদের আটক করে। পরে বিষয়টি বিজিবিকে জানানো হয়। পরে বুধবার বিকেল ৬ টায় সীমান্তের মেইন পিলার ৭৩০ এলাকায় বিজিবি বিএসএফ কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ওই সাত বাংলাদেশীকে বিজিবি’র নিকট হস্তান্তর করে বিএসএফ।
আটকের পরে বিজিবির কাছে হস্তান্তরকৃতরা হলেন, ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার রুহিয়া ইউনিয়নের উত্তর বোয়ালিয়া গ্রামের পাঠান সিং বর্মনের ছেলে হরেন বর্মন (৪০), তার স্ত্রী মমতা রানী (৩৫), ছেলে অজয় কুমার বর্মন (২১), নব বর্মন (১৭), একই উপজেলার আখা নগর ইউনিয়নের কুলেশ চন্দ্র বর্মনের ছেলে রিপন বর্মন (১৭), দেবগঞ্জ এলাকার আন্বেশ্বর রায়ের ছেলে শুশান্ত রায় (২২) এবং গড়েয়া এলাকার ইয়ধিশথির রায়ের ছেলে আশিশ রায় (১৮)।
পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মনিরুল ইসলাম বলেন, সীমান্তে বিজিবির টহল সব সময় জোরদার করা হয়। তবে দালালের মাধ্যেমে ভারতে অনুপ্রবেশ করলে বিএসএফের হাতে আটক হয়। পরে আমরা তাদের পতাকা বৈঠকের মাধ্যেমে ফিরিয়ে এনে দেশের আইনে মামলার প্রস্তুতি চলমান রয়েছে।