৫ আগস্টের পর উরে এসে জুরে বসে নগরীতে নতুল্লাবাদ বাস স্ট্যান্ড এর সড়কে থাকা ভ্রাম্যমাণ দোকানীদের থেকে চাঁদা আদায় করছে, রাস্তার পাশে থাকা ভাসমান দোকানীরা জানান এই  দীর্ঘদিন ধরে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নতুল্লাবাদ বাজার এলাকায় হকার ও ভ্রাম্যমাণ দোকানদারদের কাছ থেকে নিয়মিতভাবে চাঁদা আদায় করে আসছেন। চাঁদা না দিলে দোকান বসানো তো দূরের কথা— নানা ভয়ভীতি, হুমকি ও হয়রানি এখন নিত্যনৈমিত্তিক।তার ক্যাডার বাহিনীদের দিয়ে প্রতিদিন সন্ধ্যায় টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।

ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা পেটের দায়ে রাস্তায় বসি, অথচ আমাদের থেকে শাহাদাৎ হোসেন সজিব ওরফে (ভাই সজিব) এর লোকজন জোর করে টাকা নেয়া হচ্ছে। না দিলে দোকান ভাঙচুর, গালাগালি— এমনকি মারধরের হুমকি দেওয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, প্রতিদিন কয়েকশ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে প্রতি দোকানির কাছ থেকে, যা মাস শেষে দাঁড়ায় লাখ টাকার উপরে।

ঝালমুড়ি এক বিক্রেতা বলেন অনেক আগে থেকে আমি এখানে ঝালমুড়ি বিক্রি করি আগে কোন টাকা দেওয়া লাগত না এখন এখানে দাঁড়ালে আমার টাকা দেওয়া লাগে।ঝাল্মুড়ি বিক্রেতা জানান সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মুড়ি বিক্রি করলে দিতে হবে ৫০টাকা।

নতুল্লাবাদ বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন রাস্তার উপর থাকা এক চানাচুর বিক্রেতা বলেন ৫ আগস্টের আগে আমাদের থেকে কোন টাকা নেওয়া হত না।এখন আমাদের থেকে প্রতিদিন ১০০ টাকা করে নিচ্ছে।সেখানে থাকা আরেক ডিম ব্যবসায়ী জানান প্রতিদিন আমাদের থেকে টাকা নিচ্ছে যেটা আগে নেওয়া হত না।তবে কারা এই টাকা নিচ্ছে বিষয়ে তারা জানান তারা সবাই ভাই সজিবের লোক।

চাঞ্চল্যকর বিষয় হলো— এই কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত ব্যক্তি রাজনৈতিক পরিচয় ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে সকল প্রকার প্রশাসনিক নজরদারিকে ফাঁকি দিয়ে চলেছেন। স্থানীয়রা প্রশ্ন তুলছেন, “পুলিশ কি এইসব দেখেও অন্ধ হয়ে আছে? নাকি পেছনে রয়েছে গোপন আশ্রয়—প্রশ্রয়?”নিজেকে বরিশালের সাবেক বিএনপির এমপি মজিবুর রহমান সরোয়ারের ভাই মোশারফের কাছের লোক বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।

এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের একজন কর্মকর্তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এর বেশি কিছু বলতে তিনি রাজি হননি।

অন্যদিকে অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শাহাদাৎ হোসেন সজিব ওরফে (ভাই সজিব) বলেন বাজারের ইজারাদার ফোরকান আমি তার হয়ে টাকা আদায় করি, “আমি কোনো চাঁদা নেইনি বাজারের পাশে থাকা দোকান থেকে টাকা উত্তলন করি।আগে যেখানে ৫০ টাকা উঠাতো এখন সেখানে ৩৮ টাকা নেই।সে বলে আপনি আপনার কাজ করেন কর্তৃপক্ষ আমার সাথে বুঝবে।

ভ্র্যম্যমান দোকানীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে ফোরকান বলেন বাজারের ইজারা সাবেক মেয়র মজিবর রহমান সরোয়ার এর নামে আমি আর সজিব টাকা কালেকশন করি।রাস্তার উপর থেকে টাকা আদায়ের কথা স্বীকার করে বলে হা আমারা টাকা করি।তা দিয়ে নাইট গার্ডের বেতন দেই।বাজার বসিয়ে টাকা উত্তোলন করা যাবে কি না এর উত্তরে বলেন রাস্তা থেকে টাকা আদায় অবৈধ।

বরিশাল রাস্তার উপর ভ্রাম্যমাণ দোকানি থেকে চাঁদা আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল  সিটি কর্পোরেশনের হাট বাজার শাখার কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন বিষয়টি এত আমরা জানতাম না যেহুতু জেনেছি রাস্তার উপর কেউ ভ্র্যম্যমান বাজার বসাতে পারবে না।যদি কেউ বাজার বসায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।

তবে বরিশাল রাস্তার উপর ভ্রাম্যমাণ দোকানি থেকে চাঁদা আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী জানান বিষয়টি আমার জানা নেই তবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।

বরিশালের নতুল্লাবাদ বাজার নতুল্লাবাদ বাজার এলাকায় চাদাবাজির বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল মহানগর সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার বলেন দলের হাই কমান্ডের সিদ্ধান্ত দলের ভিতর কেউ যদি চাঁদা বাজি করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।আর যারা চাঁদাবাজি করে তারা দলের কেউ না।সজিব আমাদের দলের কেউ না।দলের নাম বদনাম করে কেউ চাদাবাজি করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জনসাধারণ ও সচেতন মহল প্রশাসনের প্রতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে। তারা বলেছেন, “ফুটপাত জনগণের, কোনো রাজনৈতিক নেতার নয়। এভাবে দিনের আলোয় চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে এখনই কঠোর অভিযান চালানো না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নেবে।”