
ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা,শহীদ পরিবার ও আন্দোলনকারী ছাত্র প্রতিনিধিদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ জুলাই)সকালে সদর উপজেলা শিশু একাডেমি অডিটোরিয়ামে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঝিনাইদহ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাইফুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল-
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, জুলাই যোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের আত্মত্যাগ নতুন দিনের সূচনা এনে দিয়েছে। দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় তাদের ভূমিকা অবিস্মরণীয়। শহীদ পরিবার ও আন্দোলনকারী ছাত্রদের প্রতি জাতির চিরন্তন কৃতজ্ঞতা। সরকার সবসময় শহীদ পরিবার ও সৎ নাগরিকদের পাশে আছে। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ২৪ ঘণ্টা জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে হবে এবং জনগণের কথা শোনার জন্য অফিসগুলোকে আরও উন্মুক্ত রাখতে হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক রথীন্দ্রনাথ রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বকুল চন্দ্র কবিরাজ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার মেহেদী হাসান, ঝিনাইদহ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনজুর মোরশেদ, সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা তথ্য অফিসার আব্দুর রউফ, জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক সামিউল ইসলাম, ঝিনাইদহ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ রুস্তম আলী, ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি এম এ কবীর,ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক লিটনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ।
অনুষ্ঠান শুরু হয় কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে, পাঠ করেন ঝিনাইদহ মডেল মসজিদের পেশ ইমাম মাহাদী হাসান। এরপর ধর্মীয় সম্প্রীতির প্রতীক হিসেবে গীতা পাঠ করা হয়। শহীদ পরিবারের সদস্যদের ফুল দিয়ে বরণ করে তাদের মাঝে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন শহীদ শুভশীলের মা শাহাশা নিশিল, শহীদ সাব্বিরের ভাই তরিকুল ইসলাম, শহীদ রাকিবুল হোসেনের বাবা আবু বকর সিদ্দিকসহ আরও অনেকে।
সম্মাননা গ্রহণ করেন আন্দোলনকারী ছাত্র শারমীন সুলতানা, রিহান হোসেন, এস এম মো. নাইম, আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং সাইদুর রহমান। আলোচনা শেষে ভিডিও প্রজেকশনের মাধ্যমে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতিচারণ ও বার্তা প্রচার করা হয়।
এ সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে, যখন ছাত্রলীগের এক কর্মী নাফিজ অনধিকারভাবে অনুষ্ঠানস্থলে ঢুকে পড়লে উপস্থিত ছাত্র-জনতার প্রবল প্রতিবাদে তাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়।
জেলা প্রশাসক তার বক্তব্যে সাম্প্রতিক কালীগঞ্জের একটি শিশুর সাপে কাটা নিয়ে মিথ্যা ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান এবং শহীদ পরিবারকে সর্বোচ্চ সম্মান জানাতে সকলকে উদ্বুদ্ধ করেন।