১২:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জ্ঞাত আয়ের বহির্ভূত সম্পদ অর্জন” নোয়াখালীর কবিরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

জ্ঞাত আয়ের বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ভোগদখল করার অপরাধে নোয়াখালীর কবিরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক রায়হান এবং তার স্ত্রী সামিরা শারমিন এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার সকালে দুদক নোয়াখালীর উপ-সহকারি পরিচালক চিন্ময় চক্রবর্তী বাদি হয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা তৎসহ দন্ডবিধি, ১৮৬০-এর ১০৯ ধারায় একটি নিয়মিত মামলাটি দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালে প্রথবার কবিরহাট পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন জহিরুল হক রায়হান। এরপর আরও দুই মেয়াদে তিনি মেয়র পদে নির্বাচিত হন। গত ৫আগস্ট দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের আগ পর্যন্ত তিনি মেয়র পদে বহাল ছিলেন। মেয়র পদে থাকাকালীন মেয়র রায়হান অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে অনেক সম্পদ অর্জন করেন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু করে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে গত ২০১৯ সালে জহিরুল হক রায়হান ও তার স্ত্রী সামিরা শারমিন তাদের সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। ওই বিবরণীতে রায়হানের স্ত্রী একজন গৃহিনী এবং তার আয়ের কোনো বৈধ উৎস ও ব্যবসায়িক ট্রেড লাইসেন্স পাওয়া যায়নি।
কিন্তু তার নামে জেলার সদর উপজেলার পশ্চিম আলীপুর মৌজায় জমি’সহ একটি চারতলা বাড়ী পাওয়া যায়। সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে ওই বাড়ির নির্মাণ ব্যয় পাওয়া গেছে ৪৮লাখ ৩৩হাজার ৬’শ টাকা যার কোন বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি। সামিরা শারমিন ও তার স্বামী জহিরুল হক রায়হান পরস্পর যোগসাজশে উক্ত স্থাবর সম্পদটি অর্জনপূর্বক ভোগদখল করেছেন মর্মে দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক প্রাথমিক অনুসন্ধানকালে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা তৎসহ দন্ডবিধি, ১৮৬০-এর ১০৯ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দুদক নোয়াখালীর উপ-পরিচালক মো. ফারুক আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলাটি তদন্তকালে ঘটনার সাথে অন্য কারও সংশ্লিষ্টতা ও অন্য কোন তথ্য পেলে তাও আইনামলে আনা হবে। দুর্নীতি দমন কমিশন মামলাটি তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

পাংশায় পাওনা টাকা না পেয়ে শ্বশুরকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, জামাতাসহ আটক ৩

জ্ঞাত আয়ের বহির্ভূত সম্পদ অর্জন” নোয়াখালীর কবিরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

পোস্ট হয়েছেঃ ০৮:২০:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
জ্ঞাত আয়ের বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ভোগদখল করার অপরাধে নোয়াখালীর কবিরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক রায়হান এবং তার স্ত্রী সামিরা শারমিন এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার সকালে দুদক নোয়াখালীর উপ-সহকারি পরিচালক চিন্ময় চক্রবর্তী বাদি হয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা তৎসহ দন্ডবিধি, ১৮৬০-এর ১০৯ ধারায় একটি নিয়মিত মামলাটি দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালে প্রথবার কবিরহাট পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন জহিরুল হক রায়হান। এরপর আরও দুই মেয়াদে তিনি মেয়র পদে নির্বাচিত হন। গত ৫আগস্ট দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের আগ পর্যন্ত তিনি মেয়র পদে বহাল ছিলেন। মেয়র পদে থাকাকালীন মেয়র রায়হান অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে অনেক সম্পদ অর্জন করেন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু করে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে গত ২০১৯ সালে জহিরুল হক রায়হান ও তার স্ত্রী সামিরা শারমিন তাদের সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। ওই বিবরণীতে রায়হানের স্ত্রী একজন গৃহিনী এবং তার আয়ের কোনো বৈধ উৎস ও ব্যবসায়িক ট্রেড লাইসেন্স পাওয়া যায়নি।
কিন্তু তার নামে জেলার সদর উপজেলার পশ্চিম আলীপুর মৌজায় জমি’সহ একটি চারতলা বাড়ী পাওয়া যায়। সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে ওই বাড়ির নির্মাণ ব্যয় পাওয়া গেছে ৪৮লাখ ৩৩হাজার ৬’শ টাকা যার কোন বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি। সামিরা শারমিন ও তার স্বামী জহিরুল হক রায়হান পরস্পর যোগসাজশে উক্ত স্থাবর সম্পদটি অর্জনপূর্বক ভোগদখল করেছেন মর্মে দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক প্রাথমিক অনুসন্ধানকালে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা তৎসহ দন্ডবিধি, ১৮৬০-এর ১০৯ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দুদক নোয়াখালীর উপ-পরিচালক মো. ফারুক আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলাটি তদন্তকালে ঘটনার সাথে অন্য কারও সংশ্লিষ্টতা ও অন্য কোন তথ্য পেলে তাও আইনামলে আনা হবে। দুর্নীতি দমন কমিশন মামলাটি তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।