০৮:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চিকিৎসার অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যু অভিযোগ স্বজনদের

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ইমিউন হাসপাতালে (প্রাইভেট) ডাক্তারের অবহেলায় মনজিলা খাতুন (৩৩) নামে এক প্রসূতি মায়ের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার রাতে প্রসব ব্যথা নিয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি হন উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের নশতি গ্রামের শহীদুল ইসলামের স্ত্রী মনজিলা খাতুন। বাড়িতে স্বাভাবিকভাবে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তিনি। হাসপাতালে নিয়ে আসার পর দীর্ঘ সময় কালক্ষেপণের পর নরমাল ডেলিভারিতে আরেক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন মনজিলা। নবজাতকের অবস্থা সংকটাপন্ন দেখে তড়িঘড়ি করে রাত আড়াইটার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে।
স্বজনদের অভিযোগ, রাতভর প্রসূতি মায়ের কোনো খোঁজ খবর নেয়নি ডাক্তার। রক্ত দেওয়ার জন্য সহোদর ভাই উপস্থিত থাকলেও রক্ত সংগ্রহ করার কেউ নেই বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
মৃত মনজিলার ভাই হাফেজ আব্দুস শহীদ আর্তনাদ করে বলেন, ডাক্তারের অবহেলায়ই আমার বইন মারা গেছে।আমি রক্ত দিতে চাইছি, তারা বলছে সকালে রক্ত নিবে। সকাল হওয়ার আগেই আমার বোন চইল্যা গেছে। আমার বইনের মৃত্যুর  বিচার চাই।
জানা যায়, হাসপাতালটির পরিচালক ডাঃ ফরহাদ হোসেন, পরিচালক প্রশাসন তার ছেলে ফয়সাল আরেফিন ও পুত্রবধূ গাইনী ডাঃ নাঈম সুলতানা সানী।
অভিযোগ রয়েছে, ডাক্তার ফরহাদ, পুত্র ফয়সাল আরেফিন ও পুত্রবধূ নাঈম সুলতানা সানী তিনজন মিলেই করেন সব অপারেশন।
স্থানীয়দের অভিযোগ,হাসপাতালটিতে রোগী মৃত্যুর ঘটনা নতুন না। ফরহাদ ডাক্তার প্রভাবশালী হওয়ায় রোগী মারা গেলে  সব ধামাচাপা দিয়ে দেয়।
ভুক্তভোগী পরিবার বিষয়টি ৯৯৯ এ এবং ময়মনসিংহের সিভিল সার্জনকে অবগত করলে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে।
এ ব্যাপারে ইমিউন হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ডাঃ ফরহাদ হোসেন জানান, ডাক্তারের অবহেলায় বিষয়টি সঠিক নয়। আমার ছেলে ফয়সাল আরেফিন সারারাত ডিউটিতে ছিলো।
সিভিল সার্জন ডাঃ সাইফুল ইসলাম খান বলেন, ইমিউন হাসপাতালে রোগী মৃত্যুর সংবাদটি পেয়েছি।এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ওসি ওবায়দুর রহমান জানান,  ৯৯৯ এর কল পাওয়ার প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে একজন অফিসার প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

সন্দ্বীপে এসইডিপি’র আওতায় পারফরমেন্স বেজড গ্র্যান্টস পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন

চিকিৎসার অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যু অভিযোগ স্বজনদের

পোস্ট হয়েছেঃ ১২:৩৩:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ইমিউন হাসপাতালে (প্রাইভেট) ডাক্তারের অবহেলায় মনজিলা খাতুন (৩৩) নামে এক প্রসূতি মায়ের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার রাতে প্রসব ব্যথা নিয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি হন উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের নশতি গ্রামের শহীদুল ইসলামের স্ত্রী মনজিলা খাতুন। বাড়িতে স্বাভাবিকভাবে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তিনি। হাসপাতালে নিয়ে আসার পর দীর্ঘ সময় কালক্ষেপণের পর নরমাল ডেলিভারিতে আরেক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন মনজিলা। নবজাতকের অবস্থা সংকটাপন্ন দেখে তড়িঘড়ি করে রাত আড়াইটার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে।
স্বজনদের অভিযোগ, রাতভর প্রসূতি মায়ের কোনো খোঁজ খবর নেয়নি ডাক্তার। রক্ত দেওয়ার জন্য সহোদর ভাই উপস্থিত থাকলেও রক্ত সংগ্রহ করার কেউ নেই বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
মৃত মনজিলার ভাই হাফেজ আব্দুস শহীদ আর্তনাদ করে বলেন, ডাক্তারের অবহেলায়ই আমার বইন মারা গেছে।আমি রক্ত দিতে চাইছি, তারা বলছে সকালে রক্ত নিবে। সকাল হওয়ার আগেই আমার বোন চইল্যা গেছে। আমার বইনের মৃত্যুর  বিচার চাই।
জানা যায়, হাসপাতালটির পরিচালক ডাঃ ফরহাদ হোসেন, পরিচালক প্রশাসন তার ছেলে ফয়সাল আরেফিন ও পুত্রবধূ গাইনী ডাঃ নাঈম সুলতানা সানী।
অভিযোগ রয়েছে, ডাক্তার ফরহাদ, পুত্র ফয়সাল আরেফিন ও পুত্রবধূ নাঈম সুলতানা সানী তিনজন মিলেই করেন সব অপারেশন।
স্থানীয়দের অভিযোগ,হাসপাতালটিতে রোগী মৃত্যুর ঘটনা নতুন না। ফরহাদ ডাক্তার প্রভাবশালী হওয়ায় রোগী মারা গেলে  সব ধামাচাপা দিয়ে দেয়।
ভুক্তভোগী পরিবার বিষয়টি ৯৯৯ এ এবং ময়মনসিংহের সিভিল সার্জনকে অবগত করলে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে।
এ ব্যাপারে ইমিউন হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ডাঃ ফরহাদ হোসেন জানান, ডাক্তারের অবহেলায় বিষয়টি সঠিক নয়। আমার ছেলে ফয়সাল আরেফিন সারারাত ডিউটিতে ছিলো।
সিভিল সার্জন ডাঃ সাইফুল ইসলাম খান বলেন, ইমিউন হাসপাতালে রোগী মৃত্যুর সংবাদটি পেয়েছি।এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ওসি ওবায়দুর রহমান জানান,  ৯৯৯ এর কল পাওয়ার প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে একজন অফিসার প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।