
ভোলার লালমোহনে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাড়িঘর ভাংচুর ও বসতঘর পুরিয়ে দেওয়ার হুকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব চরউমেদ ৯ নম্বর ওয়ার্ড ছিদ্দিক মিয়ার পোল এলাকার মালেগো বাড়তে গতকাল (২০জুলাই) রাত আনুমানিক সাড়ে ৮ টার সময় এ ঘটনা ঘটে। জানাযায়, ওই বাড়ির ছায়েদ মাল ও ছৈয়দ মালের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমিসংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে কিছুদিন আগে এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে মারামারি হয়। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসার পর স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উভয়পক্ষের মধ্যে ফয়সালা করে দেন। তখনও ছৈয়দ মালের ছেলে জাকির ঢাকা থেকে ছায়েদ মালের পরিবারকে মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয়, সরেজমিনে অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০ জুলাই জাকির ঢাকা থেকে বড়িতে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ছায়েদ মালের বসতঘর ভাংচুর করা শুরু করলে ছায়েদ মালের স্ত্রী বৃদ্ধ মনোয়ারা বেগম বাঁধা দিলে জাকির তাকে মারার উদ্দেশ্যে দেশি অস্ত্র সহস্র নিয়ে তেরে আসলে তিনি ভয়ে দৌড়ে এসে পাশের ব্যাপারি বাড়িতে উঠে পরে ওই বাড়ির লোকজনের বাঁধায় তাকে মারপিট করা সম্ভব হয়নি। পরে স্থানীয় লোকজন মালেগো বাড়িতে ঘটনা শুনতে আসলে জাকির সবার সামনে প্রকাশ্যে বলে ছায়েদ মাল তার বাড়িঘর ৫ দিনের মধ্যে ভেঙে না নিলে সে ঘর আগুন লাগিয়ে পুরিয়ে দেবে এবং সে আরও বলে লালমেহনের সর্বোচ্চ নেতা তাকে ঘর পুরিয়ে দিতে বলেছে। সূত্রে জানা যায় অভিযুক্ত জাকিরের আপন চাচা মোঃ নসু ড্রাইভার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মেজর (অব:) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম এর বর্তমান গাড়ী চালক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। চাচার প্রভাব ও সাবেক মন্ত্রী মেজর
( অব:) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম এর নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতিপক্ষকে হুমকি দিচ্ছেন। স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায় একসময় যুবলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন জাকির । আওয়ামী লীগের পতনের পর সে এখন বিএনপির দোহাই দিয়ে প্রভাব বিস্তার করছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ছায়েদ মাল ।
এঘটনায় ছায়েদ মাল ও তার পরিবারের লোকজন আতংকে রয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগী ছায়েদ মাল। তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
অভিযোগের ব্যাপারে অভিযুক্ত জাকিরের নিকট ঘটনা জানার জন্য মিডিয়া কর্মীরা গেলে তিনি মিডিয়ার সামনে বক্তব্য দিতে অস্বীকার করলে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এব্যাপারে লালমোহন থানা ভারপ্রাপ্ত ( ওসি) কর্মকর্তা মোঃ সিরাজুল ইসলামের মুঠোফোনে কল করলে তা রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।