১২:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বকশীগঞ্জে সতীনের ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত প্রথম স্ত্রী, হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই

জামালপুরের বকশীগঞ্জে পারিবারিক দুঃসহ টানাপোড়েনের জেরে এক নারকীয় হামলার ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের ধানুয়া মধ্যেপাড়া গ্রামে গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় এক নারী তার সতীনকে ছুরিকাঘাত করেন। গুরুতর আহত শিরিনা বেগম (৩০) বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।জানা গেছে, গত সোমবার (২১ জুলাই) দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে স্বামী আনোয়ার হোসেনের প্রথম স্ত্রী শিরিনা বেগম ও দ্বিতীয় স্ত্রী শান্তি বেগম একসঙ্গে ঘরে শুয়ে ছিলেন। সেই সময় শান্তি বেগম আচমকা ছুরি হাতে ঘুমন্ত শিরিনার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে উপর্যুপরি আঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যান।চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে রক্তাক্ত শিরিনাকে উদ্ধার করে প্রথমে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে তাৎক্ষণিক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার জীবন সংকটাপন্ন।ঘটনার পেছনে রয়েছে দীর্ঘদিনের পারিবারিক টানাপোড়েন। আনোয়ার হোসেন প্রায় পাঁচ বছর আগে প্রথম স্ত্রী ও চার সন্তানকে রেখে দ্বিতীয় স্ত্রী শান্তিকে নিয়ে পালিয়ে যান এবং ঢাকায় বসবাস শুরু করেন। এদিকে শিরিনা বেগম সন্তানদের নিয়ে গ্রামে কষ্টে দিন কাটান। সম্প্রতি দ্বিতীয় স্ত্রী বাড়িতে ফিরে আসার পর থেকে দুই সতীনের মধ্যে চরম বিরোধ দেখা দেয়। পারিবারিক কর্তৃত্ব ও বসবাস নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিলো অনেকদিন ধরেই। ঘটনার আগের দিনও তাদের মধ্যে উত্তপ্ত বাকবিতণ্ডা হয়।স্থানীয়দের মতে, পারিবারিক এই দ্বন্দ্বই এমন ভয়াবহ হামলার জন্ম দিয়েছে।বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, ঘটনার বিষয়ে আমরা অবগত রয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এই ঘটনায় এলাকায় চরম উদ্বেগ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয়রা দ্রুত অভিযুক্তকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছেন।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

সন্দ্বীপে এসইডিপি’র আওতায় পারফরমেন্স বেজড গ্র্যান্টস পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন

বকশীগঞ্জে সতীনের ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত প্রথম স্ত্রী, হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই

পোস্ট হয়েছেঃ ০৬:০১:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

জামালপুরের বকশীগঞ্জে পারিবারিক দুঃসহ টানাপোড়েনের জেরে এক নারকীয় হামলার ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের ধানুয়া মধ্যেপাড়া গ্রামে গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় এক নারী তার সতীনকে ছুরিকাঘাত করেন। গুরুতর আহত শিরিনা বেগম (৩০) বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।জানা গেছে, গত সোমবার (২১ জুলাই) দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে স্বামী আনোয়ার হোসেনের প্রথম স্ত্রী শিরিনা বেগম ও দ্বিতীয় স্ত্রী শান্তি বেগম একসঙ্গে ঘরে শুয়ে ছিলেন। সেই সময় শান্তি বেগম আচমকা ছুরি হাতে ঘুমন্ত শিরিনার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে উপর্যুপরি আঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যান।চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে রক্তাক্ত শিরিনাকে উদ্ধার করে প্রথমে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে তাৎক্ষণিক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার জীবন সংকটাপন্ন।ঘটনার পেছনে রয়েছে দীর্ঘদিনের পারিবারিক টানাপোড়েন। আনোয়ার হোসেন প্রায় পাঁচ বছর আগে প্রথম স্ত্রী ও চার সন্তানকে রেখে দ্বিতীয় স্ত্রী শান্তিকে নিয়ে পালিয়ে যান এবং ঢাকায় বসবাস শুরু করেন। এদিকে শিরিনা বেগম সন্তানদের নিয়ে গ্রামে কষ্টে দিন কাটান। সম্প্রতি দ্বিতীয় স্ত্রী বাড়িতে ফিরে আসার পর থেকে দুই সতীনের মধ্যে চরম বিরোধ দেখা দেয়। পারিবারিক কর্তৃত্ব ও বসবাস নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিলো অনেকদিন ধরেই। ঘটনার আগের দিনও তাদের মধ্যে উত্তপ্ত বাকবিতণ্ডা হয়।স্থানীয়দের মতে, পারিবারিক এই দ্বন্দ্বই এমন ভয়াবহ হামলার জন্ম দিয়েছে।বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, ঘটনার বিষয়ে আমরা অবগত রয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এই ঘটনায় এলাকায় চরম উদ্বেগ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয়রা দ্রুত অভিযুক্তকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছেন।