০২:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত দুর্ঘটনার কারণ জানতে ব্ল্যাক বক্সের অপেক্ষা

  • আয়নাল হক
  • পোস্ট হয়েছেঃ ০৮:৩৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫
  • 87

রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ীতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বিমান বিধ্বস্তের কারণ জানা যায়নি। বিমান বাহিনীর এফটি-৭ বিজিআই মডেলের বিমানটি ঢাকার কুর্মিটোলার এ কে খন্দকার ঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই বিধ্বস্ত হয়।রহস্য উদঘাটনে গতকাল মঙ্গলবারও সন্ধান করা হয় বিমানের ব্ল্যাক বক্সের, কিন্তু তা মেলেনি। সেটি পাওয়া গেলে প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। তবে অনেকে দাবি করছেন যান্ত্রিক ত্রুটিই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। আবার কেউ কেউ পাইলটের অদক্ষতাকে দুষছেন। এদিকে দুর্ঘটনায় পাইলটসহ ৩১ জন নিহত ও আহত হয়েছেন ১৬৫ জন।আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) গতকাল জানায়, বিমান বাহিনীর এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমানটি নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে সোমবার দুপুর ১টা ৬ মিনিটে কুর্মিটোলার বিমান বাহিনীর এ কে খন্দকার ঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের পর যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয়। এ দুর্ঘটনা মোকাবিলায় এবং বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম বিমানটিকে ঘনবসতি থেকে জনবিরল এলাকায় নিয়ে যাওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বিমানটি দিয়াবাড়ীতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দোতলা ভবনে বিধ্বস্ত হয়।বাংলাদেশ এয়ারলাইনস পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ক্যাপ্টেন হেলাল আমার দেশকে বলেন, ‘নিহত পাইলটের দক্ষতা নিয়ে আমাদের কোনো সংশয় নেই। সোলো ফ্লাইটের সেদিন ছিল তার শেষ দিন। এটি হাইড্রোলিক ফেইলিউর বা ইঞ্জিনের ত্রুটিও হতে পারে। বিমান বাহিনী সবসময় পুরোনো উড়োজাহাজ দুর্নীতির মাধ্যমে কিনে থাকে। তারা প্রশিক্ষণের জন্য নতুন আধুনিক উড়োজাহাজ কেনে না। আমাদের আশপাশের কোনো দেশই এখন এসব যুদ্ধবিমান দিয়ে প্রশিক্ষণ দেয় না। তাছাড়া এসব সোলো ট্রেনিং হয় সাধারণত সকালের দিকে। যখন ট্রাফিক কম থাকে। কী কারণে সেদিন পাইলটকে দুপুরে দেওয়া হয়েছিল আমার বোধগম্য নয়।’জানা গেছে, ব্ল্যাক বক্স কালো কোনো বস্তু নয়, বরং এর রঙ অনেকটা কমলা ধরনের। এটি অত্যন্ত শক্ত ধাতব পদার্থ দিয়ে তৈরি করা হয়। কয়েকটি স্তর দিয়ে এটি এমনভাবে তৈরি করা হয়, যাতে প্রচণ্ড উত্তাপ, ভাঙচুর, পানি বা প্রচণ্ড চাপের মধ্যেও এটি টিকে থাকতে পারে। এটি ১০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাতেও অক্ষত থাকতে পারে। স্টেইনলেস স্টিল, টাইটেনিয়ামের খোলস দিয়ে বাক্সের আবরণ তৈরি করা হয়। টিকে থাকার অনেক পরীক্ষায় পাস করার পরেই এগুলোকে বিমানে সংযোজন করা হয়।এটি দুটি অংশের সমন্বয়ে একটি ভয়েস রেকর্ডার মাত্র। বিমান চলাচলের সময় সব ধরনের তথ্য এটি সংরক্ষণ করে রাখে। এর মধ্যে দুই ধরনের তথ্য সংরক্ষিত থাকে। একটি হলো, ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (এফডিআর)। অপরটি হলো ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (সিভিআর)।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

সন্দ্বীপে এসইডিপি’র আওতায় পারফরমেন্স বেজড গ্র্যান্টস পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন

উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত দুর্ঘটনার কারণ জানতে ব্ল্যাক বক্সের অপেক্ষা

পোস্ট হয়েছেঃ ০৮:৩৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ীতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বিমান বিধ্বস্তের কারণ জানা যায়নি। বিমান বাহিনীর এফটি-৭ বিজিআই মডেলের বিমানটি ঢাকার কুর্মিটোলার এ কে খন্দকার ঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই বিধ্বস্ত হয়।রহস্য উদঘাটনে গতকাল মঙ্গলবারও সন্ধান করা হয় বিমানের ব্ল্যাক বক্সের, কিন্তু তা মেলেনি। সেটি পাওয়া গেলে প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। তবে অনেকে দাবি করছেন যান্ত্রিক ত্রুটিই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। আবার কেউ কেউ পাইলটের অদক্ষতাকে দুষছেন। এদিকে দুর্ঘটনায় পাইলটসহ ৩১ জন নিহত ও আহত হয়েছেন ১৬৫ জন।আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) গতকাল জানায়, বিমান বাহিনীর এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমানটি নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে সোমবার দুপুর ১টা ৬ মিনিটে কুর্মিটোলার বিমান বাহিনীর এ কে খন্দকার ঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের পর যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয়। এ দুর্ঘটনা মোকাবিলায় এবং বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম বিমানটিকে ঘনবসতি থেকে জনবিরল এলাকায় নিয়ে যাওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বিমানটি দিয়াবাড়ীতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দোতলা ভবনে বিধ্বস্ত হয়।বাংলাদেশ এয়ারলাইনস পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ক্যাপ্টেন হেলাল আমার দেশকে বলেন, ‘নিহত পাইলটের দক্ষতা নিয়ে আমাদের কোনো সংশয় নেই। সোলো ফ্লাইটের সেদিন ছিল তার শেষ দিন। এটি হাইড্রোলিক ফেইলিউর বা ইঞ্জিনের ত্রুটিও হতে পারে। বিমান বাহিনী সবসময় পুরোনো উড়োজাহাজ দুর্নীতির মাধ্যমে কিনে থাকে। তারা প্রশিক্ষণের জন্য নতুন আধুনিক উড়োজাহাজ কেনে না। আমাদের আশপাশের কোনো দেশই এখন এসব যুদ্ধবিমান দিয়ে প্রশিক্ষণ দেয় না। তাছাড়া এসব সোলো ট্রেনিং হয় সাধারণত সকালের দিকে। যখন ট্রাফিক কম থাকে। কী কারণে সেদিন পাইলটকে দুপুরে দেওয়া হয়েছিল আমার বোধগম্য নয়।’জানা গেছে, ব্ল্যাক বক্স কালো কোনো বস্তু নয়, বরং এর রঙ অনেকটা কমলা ধরনের। এটি অত্যন্ত শক্ত ধাতব পদার্থ দিয়ে তৈরি করা হয়। কয়েকটি স্তর দিয়ে এটি এমনভাবে তৈরি করা হয়, যাতে প্রচণ্ড উত্তাপ, ভাঙচুর, পানি বা প্রচণ্ড চাপের মধ্যেও এটি টিকে থাকতে পারে। এটি ১০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাতেও অক্ষত থাকতে পারে। স্টেইনলেস স্টিল, টাইটেনিয়ামের খোলস দিয়ে বাক্সের আবরণ তৈরি করা হয়। টিকে থাকার অনেক পরীক্ষায় পাস করার পরেই এগুলোকে বিমানে সংযোজন করা হয়।এটি দুটি অংশের সমন্বয়ে একটি ভয়েস রেকর্ডার মাত্র। বিমান চলাচলের সময় সব ধরনের তথ্য এটি সংরক্ষণ করে রাখে। এর মধ্যে দুই ধরনের তথ্য সংরক্ষিত থাকে। একটি হলো, ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (এফডিআর)। অপরটি হলো ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (সিভিআর)।