
জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক মনিরুজ্জামান লিমন ও তার দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের মতে, এ মামলা মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক সমাজে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।মনিরুজ্জামান লিমন উপজেলা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ এবং দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।সোমবার (২১ জুলাই) বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইসমাইল সিরাজী বাদী হয়ে জামালপুর আদালতে একটি সিআর মামলা দায়ের করেন। মামলায় লিমনের পাশাপাশি তার বড় ভাই পল্লী চিকিৎসক মিল্লাত হোসেন ও অপর ভাই মাদ্রাসাশিক্ষক রেজাউল করিমকেও আসামি করা হয়েছে। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এফআইআরভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, জানকিপুর মির্ধাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ইসমাইল সিরাজী ও মিল্লাত হোসেনের মধ্যে পূর্ব থেকে জমিজমা সংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিল। গত ১৯ জুলাই শনিবার, মিল্লাত হোসেনের বাড়ির সামনে গিয়ে তাকে ডাকেন ইসমাইল। বিষয়টি জানতে পেরে মিল্লাতের ভাই রেজাউল ও সাংবাদিক লিমন এসে কারণ জানতে চান। এসময় তর্কবিতর্কের সৃষ্টি হলেও স্থানীয়রা পরিস্থিতি শান্ত করে দেন।পরে, ইসমাইল সিরাজী ওই ঘটনার জের ধরেই তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও হত্যাচেষ্টা মামলার অভিযোগ করেন, যা সাংবাদিকসহ অনেকের কাছেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই মনে হচ্ছে।এ বিষয়ে সাংবাদিক লিমন বলেন, আমার বড় ভাই মিল্লাতের শ্যালক ইসমাইল। পারিবারিক জমি সংক্রান্ত বিরোধকে হাতিয়ার করে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন। তদন্ত করলে প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে। এই মামলার মাধ্যমে তিনি আমাদের সামাজিকভাবে হেয় করার চেষ্টা করছেন।অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ নেতা ও মামলার বাদী ইসমাইল সিরাজী বলেন, আমি আইনগত পদক্ষেপ নিয়েছি। বিষয়টি এখন আদালতের বিবেচনাধীন।সাংবাদিকদের নামে মামলার ঘটনায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বহু সাংবাদিক সংগঠন গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। তাদের ভাষ্য, এই ধরণের হয়রানিমূলক মামলাগুলো স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য বড় হুমকি।