
বরিশালের মুলাদী উপজেলায় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণের ঘটনায় স্থানীয় সালিসে বিচার করা হয়েছে। উক্ত সালিস বৈঠকে ধর্ষককে ১ লাখ টাকা জরিমানা ও ১০টি জুতাপেটা করার রায় দেওয়া হয়। আগামী ১০ দিনের মধ্যে ধর্ষক ওই পরিমাণ টাকা পরিশোধ করবে এবং তখনই সালিসদাররা তাকে জুতাপেটা করবেন।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) উপজেলার চরমালিয়া গ্রামে স্থানীয় কয়েকজন মিলে সালিস বৈঠকে এ বিচার করেন।
জানা গেছে, গত সোমবার বিকেলে আনুমানিক ৯ বছর বয়সী বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শিশুকে ঘরে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ইমন চৌকিদার (২৫) নামের এক ব্যক্তি। পরে শিশুটি অসুস্থ হলে স্থানীয় ওষুধের দোকানে তাকে চিকিৎসা করানো হয়। বিষয়টি জানতে পেরে একটি মহল শিশুর পরিবারকে থানা-পুলিশ করতে নিষেধ করেন। গতকাল রাতে চরমালিয়া গ্রামের সাইদুল ব্যাপারী, দেলোয়ার ব্যাপারী, খোকন মুন্সী, সেলিম সিকদার সহ আরো কয়েকজন মিলে সালিস বৈঠকে বসেন। বৈঠকে ইমন ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করলে তাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা ও জুতাপেটা করার ঘোষণা দেয় সালিসদাররা। তাৎক্ষণিক টাকা দিতে না পারায় অপরাধীকে ১০ দিনের সময় দেওয়া হয় সালিস বৈঠকে।
সালিসের আয়োজক সাইদুল ব্যাপারী জানান, ধর্ষণের শিকার শিশুর পরিবার ও অভিযুক্ত ইমন চৌকিদার অনেক গরিব ও অসহায়। থানা-পুলিশ ও আদালতের ঝামেলা এড়াতে সালিস বৈঠক করে জরিমানা ও জুতাপেটা করার রায় দেওয়া হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. হান্নান চৌকিদার বলেন, ‘ধর্ষণের শিকার শিশুর অভিভাবকেরা বিচার দাবি করেছিলেন। বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় তাঁদের থানায় মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। পরে শুনেছি সালিস বৈঠক হয়েছে, কিন্তু বিস্তারিত জানা নেই।’
এ বিষয়ে মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, শিশুটির পরিবারের অভিযোগ পেলে দ্রুত মামলা নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।