১০:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাটু‌রিয়ায় নদী পাড়ি দিয়ে দুধ ভ‌র্তি কল‌সি মাথায় দল বেঁধে ছুটছে কৃষক

নদী পাড়ি দিয়ে দুধ ভ‌র্তি কল‌সি মাথায় দল বেঁধে ছুটছে তারা। প্রতিদিন সকালে নদী পাড়ে দেখা মিলে এমন মনোরম দৃশ্যের। মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার রাজৈরের খেয়াঘাট পাড়ি দিয়ে যুবক বৃদ্ধ নারী সবাই ছুটে দুধ ভর্তি কলসি নিয়ে তাদরে সকলের গন্তব্য একটাই গোপালপুরের বাজার। তাদের গৃহপালিত গাভির দুধ বিক্রি করতে। সাটুরিয়ার বরাইদ ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মানুষ প্রতিদিন এভাবে দল বেঁধে বিক্রি করতে আসেন তাদের গাভির দুধ। জানা গেছে, উপজেলার বরাইদ, রাজৈর,ছনকাসহ  ১০‌টি গ্রামের সকল কৃষকের বাড়িতেই রয়েছে একাধিক গাভি। প্রতিদিন সকালে গাভির দুধ দোয়ানোর পর তা বিক্রির জন্য নিয়ে আসে গোপালপুর বাজারে। দৈনিক এ বাজারে প্রায় দেড় থেকে দুইশ মণ দুধ বিক্রি হয় ৫০ থে‌কে ৭০ টাকা কেজি দরে দুধ বিক্রি করেন তারা। সরেজমিনে গোপালপুর বাজারে গিয়ে দেখা যায় বাজারে দুধ নিয়ে পৌছাঁনোর সাথে সাথে দুধ কিন্তে আসা পাইকারেরা তাদের হাত থেকে দুধ ভর্তি কলসি নিয়ে ডিজিটাল মেশিনে ওজন দিয়ে টাকা দিয়ে দিচ্ছে। দুধ কেনার পর পাইকাররা বড় এক‌টি ড্রামে দুধ ঢেলে ড্রাম ভর্তি করছে। এভাবেই শত শত ড্রাম দুধ কিনে ভ্যান ও পিকআপে করে নিয়ে যাচ্ছে, মাত্র আধা ঘন্টায় শেষ হয়ে যায় বাজারটি।
বাজারে দুধ বিক্রি করতে আসা অনেকের দাবি সিন্ডিকেটের কারণে ন্যায্য মুল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তারা। পাইকাররা দাম নির্ধারণ করে দেয় বাধ্য হয়েই নির্ধারিত মুল্যেই দুধ বিক্রি করতে হয়। দুধ বিক্রি করতে আসা কৃষক আজগর আলী (৪৫) বলেন আমি, ৮ কেজি দুধ নিয়ে বাজারে এসেছি দুধের দাম ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কর দাম বলছে।আমরা অনেক বছর ধরে দল বেঁধে নদী পাড় হয়ে দুধ বিক্রি করতে আসি। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ ইমরান হোসেন বলেন, গোপালপুর বাজারে প্রতি‌দিন প্রায় দেড় থেকে দুইশ মন দুই বি‌ক্রি হয়। বর্ষা মৌসুমের কারণে দুধের দর স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে একটু কম। কিছু দিনের মধ্যে প্রাণি সম্পদ দপ্তর থেকে একটি প্রকল্প চালু হচ্ছে তাতে ওই এলাকার গাভি পালনকারীদের প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দিতে পারবো।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

‎ব্রাহ্মণপাড়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ

সাটু‌রিয়ায় নদী পাড়ি দিয়ে দুধ ভ‌র্তি কল‌সি মাথায় দল বেঁধে ছুটছে কৃষক

পোস্ট হয়েছেঃ ০৯:৫৫:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫
নদী পাড়ি দিয়ে দুধ ভ‌র্তি কল‌সি মাথায় দল বেঁধে ছুটছে তারা। প্রতিদিন সকালে নদী পাড়ে দেখা মিলে এমন মনোরম দৃশ্যের। মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার রাজৈরের খেয়াঘাট পাড়ি দিয়ে যুবক বৃদ্ধ নারী সবাই ছুটে দুধ ভর্তি কলসি নিয়ে তাদরে সকলের গন্তব্য একটাই গোপালপুরের বাজার। তাদের গৃহপালিত গাভির দুধ বিক্রি করতে। সাটুরিয়ার বরাইদ ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মানুষ প্রতিদিন এভাবে দল বেঁধে বিক্রি করতে আসেন তাদের গাভির দুধ। জানা গেছে, উপজেলার বরাইদ, রাজৈর,ছনকাসহ  ১০‌টি গ্রামের সকল কৃষকের বাড়িতেই রয়েছে একাধিক গাভি। প্রতিদিন সকালে গাভির দুধ দোয়ানোর পর তা বিক্রির জন্য নিয়ে আসে গোপালপুর বাজারে। দৈনিক এ বাজারে প্রায় দেড় থেকে দুইশ মণ দুধ বিক্রি হয় ৫০ থে‌কে ৭০ টাকা কেজি দরে দুধ বিক্রি করেন তারা। সরেজমিনে গোপালপুর বাজারে গিয়ে দেখা যায় বাজারে দুধ নিয়ে পৌছাঁনোর সাথে সাথে দুধ কিন্তে আসা পাইকারেরা তাদের হাত থেকে দুধ ভর্তি কলসি নিয়ে ডিজিটাল মেশিনে ওজন দিয়ে টাকা দিয়ে দিচ্ছে। দুধ কেনার পর পাইকাররা বড় এক‌টি ড্রামে দুধ ঢেলে ড্রাম ভর্তি করছে। এভাবেই শত শত ড্রাম দুধ কিনে ভ্যান ও পিকআপে করে নিয়ে যাচ্ছে, মাত্র আধা ঘন্টায় শেষ হয়ে যায় বাজারটি।
বাজারে দুধ বিক্রি করতে আসা অনেকের দাবি সিন্ডিকেটের কারণে ন্যায্য মুল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তারা। পাইকাররা দাম নির্ধারণ করে দেয় বাধ্য হয়েই নির্ধারিত মুল্যেই দুধ বিক্রি করতে হয়। দুধ বিক্রি করতে আসা কৃষক আজগর আলী (৪৫) বলেন আমি, ৮ কেজি দুধ নিয়ে বাজারে এসেছি দুধের দাম ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কর দাম বলছে।আমরা অনেক বছর ধরে দল বেঁধে নদী পাড় হয়ে দুধ বিক্রি করতে আসি। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ ইমরান হোসেন বলেন, গোপালপুর বাজারে প্রতি‌দিন প্রায় দেড় থেকে দুইশ মন দুই বি‌ক্রি হয়। বর্ষা মৌসুমের কারণে দুধের দর স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে একটু কম। কিছু দিনের মধ্যে প্রাণি সম্পদ দপ্তর থেকে একটি প্রকল্প চালু হচ্ছে তাতে ওই এলাকার গাভি পালনকারীদের প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দিতে পারবো।