
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ২৩ মামলার আসামি আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে (মামুন সম্রাটকে) কুপিয়ে হত্যার দুই দিন পর দাউদকান্দি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় সম্পৃক্ত না থাকায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটকের পর ৩ নারীসহ ৪ জনকে পারিবারিক জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে মামুনের স্ত্রী হাজেরা বেগম বাদী হয়ে দাউদকান্দি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে কারো নাম উল্লেখ না করে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে।
মামুন সম্রাট পার্শ্ববর্তী তিতাস উপজেলার শোলাকান্দি গ্রামের মোশারফ হোসেন ওরফে মকবুল মেম্বারের ছেলে। তিনি গৌরীপুর বাজারের ভুলিরপার এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।
মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. সামছুল আলম। অভিযান চলমান থাকলেও এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুনায়েত চৌধুরী বলেন, ঘটনাস্থলের কিছু সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গেছে। তবে দুর্বৃত্তদের মুখে মাস্ক এবং সিসিটিভির ফুটেজ থেকে দূরে থাকায় আসামিদের সনাক্ত করা যাচ্ছে না। হত্যাকাণ্ডটি পরিকল্পিত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ওসি জুনায়েত চৌধুরী আরো বলেন, হত্যাকারীদের সনাক্তকরণ এবং গ্রেপ্তার করতে পুলিশের একাধিক দল সার্বক্ষণিক মাঠে কাজ করছে।
পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নিহত মামুনের বিরুদ্ধে দাউদকান্দি ও তিতাস থানায় হত্যা, ধর্ষণ, মাদক সেবন, মাদক বিক্রি, অপহরণ, চাঁদাবাজি ও একটি কিশোর গ্যাং পরিচালনাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২৩টি মামলা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২৫ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ডে (মোড়ে) দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।