০১:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কবি নজরুল কলেজে ছাত্রদল নেতার উদ্যোগে পত্রিকা কর্ণার স্থাপন

  • ফয়সাল হোসেন
  • পোস্ট হয়েছেঃ ১২:৩৪:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫
  • 152
পুরাণ ঢাকার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের জাতীয়,আন্তর্জাতিক এবং সমসাময়িক  ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রাখতে নিজ উদ্যোগে একটি উন্মুক্ত পত্রিকা কর্নার স্থাপন করেছেন কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক (দপ্তর সম্পাদক) মোঃ জামাল খান।
মানবিক গুণে সমুজ্জ্বল, সদা হাস্যোজ্জ্বল শিক্ষার্থীবান্ধব এই ছাত্রনেতা কলেজের শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তকের বাহিরের জ্ঞান ও চিন্তার পরিধি বৃদ্ধি করতেই এ উদ্যোগ নিয়েছে। কলেজের মুক্তমঞ্চে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য এটি উন্মুক্ত করা হয়। পত্রিকা কর্নারে বাংলা, ইংরেজি ও চাকরির বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত পত্রিকা সরবরাহ করা হয়।
কলেজের শিক্ষার্থীদের ক্লাসের ফাঁকে এবং অবসর সময়ে প্রতিদিন দলবেঁধে পত্রিকা পড়তে দেখা গেছে। শিক্ষার্থীরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খবরাখবর জানতে পারছে এই পত্রিকা কর্নার থেকে।
গণিত বিভাগের স্নাতক ২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইউশাহ বিন আলম বলেন, একজন নিয়মিত পাঠক হিসেবে প্রতিদিনের সংবাদ, বিশ্লেষণ ও সমসাময়িক ঘটনাবলীর সঙ্গে আপডেট থাকতে আমি সবসময়ই পত্রিকা পাঠে আগ্রহী।
তিনি বলেন, তবে এর আগ পর্যন্ত কলেজ ক্যাম্পাসে পত্রিকা পাঠের সুযোগ সীমিত ছিল। লাইব্রেরি সকাল ৯টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকলেও, সেই নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে পত্রিকা পড়ার সুযোগ ছিল না। লাইব্রেরি বন্ধ হওয়ার পর আমার মতো যেসব শিক্ষার্থী উন্মুক্ত রিডিং রুমে এসে রাত ১০টা পর্যন্ত পড়াশোনা করে, তাদের জন্য পত্রিকা পাঠ একরকম অনুপলব্ধ ছিল। ফলে প্রায়সময়ই আমাকে অনলাইন থেকে পত্রিকা পড়ে খুঁজে নিতে হতো প্রয়োজনীয় তথ্য ও বিশ্লেষণ।
ইউশাহ আরও বলেন, কিন্তু এখন কলেজে চালু হওয়া পত্রিকা কর্ণার আমার মতো অসংখ্য পাঠক শিক্ষার্থীর জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ এনে দিয়েছে। এই কর্ণারটি নিঃসন্দেহে আমাদের ক্যাম্পাসে জ্ঞানচর্চা ও চিন্তাশীলতা বৃদ্ধির এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।
একই শিক্ষাবর্ষের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো: আহসানুর সাগর বলেন, বর্তমানে প্রযুক্তির নির্ভরতা দিনদিন বাড়ছে, যার ফলে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে প্রিন্ট মিডিয়ার প্রতি আগ্রহ অনেকটাই কমে যাচ্ছে। এমন সময়ে কবি নজরুল সরকারি কলেজে একটি পত্রিকা কর্নার স্থাপন সত্যিই সময়োপযোগী এবং প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
কলেজে কোন উদ্দেশ্যে পত্রিকা কর্ণার স্থাপন করা হয়েছে জানতে চাইলে মোঃ জামাল খান দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমি বিশ্বাস করি, শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও চিন্তার পরিধি বাড়ানোর অন্যতম উপায় হচ্ছে নিয়মিত পত্রিকা পাঠ। তাই পত্রিকা কর্নার স্থাপন করেছি। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীদের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে সচেতন করা, বিশ্লেষণক্ষমতা বাড়ানো এবং দৈনন্দিন ঘটনার সাথে যুক্ত রাখা।
তরুণদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে তরুণ প্রজন্মকে শুধুমাত্র পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে তারা বিশ্বপ্রেক্ষাপট সম্পর্কে পিছিয়ে পড়বে। তাই এই পত্রিকা কর্নারটি শিক্ষার্থীদের জানার আগ্রহ ও পাঠাভ্যাস গড়ে তুলবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এটি শুধু একটি কর্নার নয়, এটি হবে একটি চিন্তার জায়গা, একটি মতামত গঠনের প্ল্যাটফর্ম  যেখানে ছাত্ররা মুক্তচিন্তা, বিশ্লেষণ ও বাস্তবতার সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাবে।
তিনি আরও বলেন, ছাত্রদের মেধা, মনন ও সচেতনতার জায়গা থেকে গড়ে তুলতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সবসময় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। এই উদ্যোগ ছাত্রদলের সেই শিক্ষিত, সচেতন ও দেশপ্রেমিক প্রজন্ম গড়ার প্রতিশ্রুতিরই একটি ছোট প্রয়াস। আমি একজন ছাত্রদল কর্মী হিসেবে বিশ্বাস করি  কলম, চিন্তা ও জ্ঞান দিয়েই পরিবর্তনের পথে এগিয়ে যাওয়া যায়।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

‎ব্রাহ্মণপাড়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ

কবি নজরুল কলেজে ছাত্রদল নেতার উদ্যোগে পত্রিকা কর্ণার স্থাপন

পোস্ট হয়েছেঃ ১২:৩৪:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫
পুরাণ ঢাকার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের জাতীয়,আন্তর্জাতিক এবং সমসাময়িক  ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রাখতে নিজ উদ্যোগে একটি উন্মুক্ত পত্রিকা কর্নার স্থাপন করেছেন কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক (দপ্তর সম্পাদক) মোঃ জামাল খান।
মানবিক গুণে সমুজ্জ্বল, সদা হাস্যোজ্জ্বল শিক্ষার্থীবান্ধব এই ছাত্রনেতা কলেজের শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তকের বাহিরের জ্ঞান ও চিন্তার পরিধি বৃদ্ধি করতেই এ উদ্যোগ নিয়েছে। কলেজের মুক্তমঞ্চে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য এটি উন্মুক্ত করা হয়। পত্রিকা কর্নারে বাংলা, ইংরেজি ও চাকরির বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত পত্রিকা সরবরাহ করা হয়।
কলেজের শিক্ষার্থীদের ক্লাসের ফাঁকে এবং অবসর সময়ে প্রতিদিন দলবেঁধে পত্রিকা পড়তে দেখা গেছে। শিক্ষার্থীরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খবরাখবর জানতে পারছে এই পত্রিকা কর্নার থেকে।
গণিত বিভাগের স্নাতক ২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইউশাহ বিন আলম বলেন, একজন নিয়মিত পাঠক হিসেবে প্রতিদিনের সংবাদ, বিশ্লেষণ ও সমসাময়িক ঘটনাবলীর সঙ্গে আপডেট থাকতে আমি সবসময়ই পত্রিকা পাঠে আগ্রহী।
তিনি বলেন, তবে এর আগ পর্যন্ত কলেজ ক্যাম্পাসে পত্রিকা পাঠের সুযোগ সীমিত ছিল। লাইব্রেরি সকাল ৯টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকলেও, সেই নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে পত্রিকা পড়ার সুযোগ ছিল না। লাইব্রেরি বন্ধ হওয়ার পর আমার মতো যেসব শিক্ষার্থী উন্মুক্ত রিডিং রুমে এসে রাত ১০টা পর্যন্ত পড়াশোনা করে, তাদের জন্য পত্রিকা পাঠ একরকম অনুপলব্ধ ছিল। ফলে প্রায়সময়ই আমাকে অনলাইন থেকে পত্রিকা পড়ে খুঁজে নিতে হতো প্রয়োজনীয় তথ্য ও বিশ্লেষণ।
ইউশাহ আরও বলেন, কিন্তু এখন কলেজে চালু হওয়া পত্রিকা কর্ণার আমার মতো অসংখ্য পাঠক শিক্ষার্থীর জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ এনে দিয়েছে। এই কর্ণারটি নিঃসন্দেহে আমাদের ক্যাম্পাসে জ্ঞানচর্চা ও চিন্তাশীলতা বৃদ্ধির এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।
একই শিক্ষাবর্ষের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো: আহসানুর সাগর বলেন, বর্তমানে প্রযুক্তির নির্ভরতা দিনদিন বাড়ছে, যার ফলে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে প্রিন্ট মিডিয়ার প্রতি আগ্রহ অনেকটাই কমে যাচ্ছে। এমন সময়ে কবি নজরুল সরকারি কলেজে একটি পত্রিকা কর্নার স্থাপন সত্যিই সময়োপযোগী এবং প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
কলেজে কোন উদ্দেশ্যে পত্রিকা কর্ণার স্থাপন করা হয়েছে জানতে চাইলে মোঃ জামাল খান দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমি বিশ্বাস করি, শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও চিন্তার পরিধি বাড়ানোর অন্যতম উপায় হচ্ছে নিয়মিত পত্রিকা পাঠ। তাই পত্রিকা কর্নার স্থাপন করেছি। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীদের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে সচেতন করা, বিশ্লেষণক্ষমতা বাড়ানো এবং দৈনন্দিন ঘটনার সাথে যুক্ত রাখা।
তরুণদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে তরুণ প্রজন্মকে শুধুমাত্র পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে তারা বিশ্বপ্রেক্ষাপট সম্পর্কে পিছিয়ে পড়বে। তাই এই পত্রিকা কর্নারটি শিক্ষার্থীদের জানার আগ্রহ ও পাঠাভ্যাস গড়ে তুলবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এটি শুধু একটি কর্নার নয়, এটি হবে একটি চিন্তার জায়গা, একটি মতামত গঠনের প্ল্যাটফর্ম  যেখানে ছাত্ররা মুক্তচিন্তা, বিশ্লেষণ ও বাস্তবতার সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাবে।
তিনি আরও বলেন, ছাত্রদের মেধা, মনন ও সচেতনতার জায়গা থেকে গড়ে তুলতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সবসময় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। এই উদ্যোগ ছাত্রদলের সেই শিক্ষিত, সচেতন ও দেশপ্রেমিক প্রজন্ম গড়ার প্রতিশ্রুতিরই একটি ছোট প্রয়াস। আমি একজন ছাত্রদল কর্মী হিসেবে বিশ্বাস করি  কলম, চিন্তা ও জ্ঞান দিয়েই পরিবর্তনের পথে এগিয়ে যাওয়া যায়।