
বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ লামছড়ী বাজার সংলগ্ন দক্ষিণ পাশে সরকারি জলাধার দখল করে পাকা দোকানঘর নির্মাণ করছেন স্থানীয় প্রভাবশালী জাহাঙ্গির গাজী ও কালু মৃধা। এ ঘটনায় স্থানীয় জনগণের মাঝে উদ্বেগ ও বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায় , খালের পাড়ে সরকারি জমি দখল করে ইতোমধ্যে একাধিক পাকা দোকান নির্মাণের কাজ শুরু করেছে প্রভাবশালী জাহাঙ্গির গাজী ও কালু মৃধা। অথচ এসব স্থানে ভবন নির্মাণ সম্পূর্ণ অবৈধ এবং পরিবেশ ও জলাবদ্ধতার জন্য হুমকিস্বরূপ। খালটি দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ লামছড়ী বাজারের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু এভাবে খাল দখল ও ভরাটের ফলে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয় জনগণ। স্থানীয় জনগণ অভিযোগ করেন, বারবার অভিযোগ দেওয়ার পরও কর্তৃপক্ষ কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ফলে দখলদাররা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এদিকে এলাকাবাসী দখলদারদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং খালটি দখলমুক্ত করে পানি চলাচলের স্বাভাবিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জনিয়েছে। সরজমিনে আইন লঙ্ঘন করে দোকান নির্মাণের স্থানে সংবাদকর্মীরা পৌঁছালে অভিযুক্ত জাহাঙ্গির গাজি ও কালু মৃধা সংবাদকর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে স্থান ত্যাগ করে। এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজহারুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে সংবাদকর্মীদের সাক্ষাৎকারে জানান- “বাংলাদেশ দখল ও উচ্ছেদ আইন ২০১০ এর ধারা চার এ বলা হয়েছে সরকারি জমি বা খাস খাল দখল দণ্ডনীয় অপরাধ। দখলদারের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ, জরিমানা এবং জেল সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান রয়েছে।” “পানি আইন, ২০১৩ এর ধারা ১৯ অনুসারে খাল, নদী ও জলাশয় প্রাকৃতিক পানির প্রবাহে বাধা দেওয়া বা দখল করা নিষিদ্ধ। এই আইন লঙ্ঘন করলে সর্বোচ্চ ৫ বছর জেল বা ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা, কিংবা উভয় দণ্ড হতে পারে।” সরকারি খাল দখল করে কেউ নির্মাণ কাজ করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।