
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হন সিফায়েত চৌধুরী। সেদিন প্রাণে রক্ষা পেলেও অর্থাভাবে এখন উন্নত চিকিৎসা নিতে পারছেন না তিনি। কাতরাচ্ছেন বুলেটের ক্ষত নিয়ে। গোপালগঞ্জ সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের স্নাতকোত্তর শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী সিফায়েত।নড়াইলের কালিয়া উপজেলার চাপুলিয়া গ্রামের কৃষক আছাদ চৌধুরী ও মিনি বেগম দম্পতির ছেলে। চার ভাই, তিন বোনের সবার ছোট তিনি। বাবা এখন কর্মহীন। বড় ভাই মারা গেছেন অনেক আগে।মেজ ও সেজ ভাই মসজিদে ইমামতি করে সংসার চালাতেন। অসুস্থ ভাইকে দেখাশুনা করতে গিয়ে সেজ ভাইও চাকরি হারিয়েছেন। বাবা আছাদ চৌধুরী বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছেলের কানের পেছনের অংশে গুলি লাগে। শরীরজুড়ে রয়েছে ছররা গুলির ক্ষত চিহ্ন।
জুলাই ফাউন্ডেশন থেকে লাখ খানেক টাকার সহযোগিতায় ছেলের কোনোমতে চিকিৎসা করালেও পুরো সুস্থ হয়নি। তার শারীরিক অবস্থা অনেক খারাপ। প্রায়ই ভুলভাল বকে। কাউকে চিনতে পারে না। তার উন্নত চিকিৎসা জরুরি। হাউমাউ করে কেঁদে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। নুন আনতে পান্তা ফুরাই। এক ছেলের সামান্য রোজগারে কোনোমতে বেঁচে আছি। ছোট ছেলের এ অবস্থা। মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে আমাদের। ’ ভাই সাফায়েত চৌধুরী বলেন, ৫ আগস্টের পর প্রথমদিকে বাড়িতে অনেক লোক দেখতে আসতেন, এখন কেউ খোঁজ নেন না।