০৬:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে দুই আইনজীবীর বিরুদ্ধে নজিরবিহীন প্রতারণার অভিযোগ

আইনের চোখে ‘অগ্রক্রয়াধিকার’ একধরনের অধিকার হিসেবে স্বীকৃত হলেও, সেই অগ্রক্রয় (প্রিয়েমশান) মামলা নিয়ে ঝিনাইদহে অভিনব প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহ জজ আদালতের এ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান (৪) ও তার জুনিয়র সহকর্মী এ্যাডভোকেট সেলিনা খাতুনের বিরুদ্ধে।
২০২৪ সালের ১৬ মে ঝিনাইদহ সদর পৌরসভার মুরারীদহ মৌজায় ৪ শতক জমি নিয়ে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম ও শাহী মসজিদ পাড়ার মোঃ শাহাজাহান আলীকে বিবাদী করে অগ্রক্রয় (প্রিয়েমশান) মামলা করেন ঝিনাইদহের রাষ্ট্রপতি পদক প্রাপ্ত সাংবাদিক মিরাজ জামান রাজ যার নং- মিস-৩৮/২৪। উক্ত মামলা আদালতে দাখিল হলে বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত থেকে কোর্ট কমিশন করে জমির বর্তমান অবস্থা জানতে একটি কমিশন করে দেন। এ্যাডভোকেট সেলিনা খাতুন কমিশনার হিসেবে জমিতে সরেজমিনে যান এবং জমিটি খালি অবস্থায় আছে মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
সুত্র বলছে, জমিটি ভাল পজিশনের হওয়াই এ্যাড. সেলিনা বিবাদীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতে বিবাদী মোঃ রবিউল ও শাহাজাহানের সাথে যোগাযোগ করে ও আশ্বস্ত করেন যে, জমিটি আমানত হলেও সমস্যা নেই। ওই আমানতের (প্রিয়েমশান) দলিল বাতিল করা যাবে। বিনিময়ে ৫ লক্ষ টাকা দিতে হবে। সূত্রটি আরও জানায়, উপায়ন্তর না পেয়ে নগদ তিন লক্ষ টাকা দেন বিবাদীপক্ষ। পরবর্তীতে আরও ২ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা রয়েছে।
এরপর জমিটির অগ্রক্রয় (প্রিয়েমশান) মামলার দলিলটি বাতিল করতে সাজানো হয় এক অভিনব গল্প। এ্যাড. আজিজ-৪ আমানতের মামলায় জবাব দিতে দরখাস্ত দিয়ে ৬/৭বার সময় নেন। আর এসময়ের মধ্যে জমিটির ক্রেতা মোঃ রবিউল ইসলাম ও বিক্রেতা মোঃ শাহজাহান আলীর দিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন একটি মামলা দায়ের করেন যার নং – ৩৬৯/২৪। সেখানে দলিল দাতা শাহজাহান বলেন জমি বায়না করার নামে প্রতারণা করে রবিউল জমি রেজিষ্ট্রি করে নিয়েছে। আর রবিউল আদালতে সোলে করে স্বীকার করেন যে তিনি জমি প্রতারনা করে নিয়েছেন। এভাবেই আমানতের ঘটনা চেপে রেখে আদালত কে সত্য গোপন করে অভিনব পদ্ধতিতে করা হয় প্রতারণা।
অগ্রক্রয় (প্রিয়েমশান) মামলার নথি থেকে জানা যায়, ঝিনাইদহ পৌরসভার মুরারীদহ মৌজার আর. এস খতিয়ান ভুক্ত ১৬২৬ দাগের ৮৪ শতক জমির মধ্যে ৪২ শতক জমি মুনছুর আলী শাহ তার দুই ছেলের মধ্যে দানপত্র করে দেন। সেই জমি থেকে মুনছুর আলী শাহর ছোট ছেলে আব্দুর রাজ্জাক ২১ শতক জমি প্রাপ্ত হন। সেই ২১ শতক জমি হতে মোঃ শাহজাহান আলীর নিকট ৮ শতক জমি বিক্রয় করেন। পরবর্তীতে মোঃ শাহজাহন আলী অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মোঃ রবিউল ইসলামের নিকট ৪ শতক জমি বিক্রয় করলেও মামলার জবাবে সেটিকে প্রতারণা জালিয়াতি বলে উল্লেখ্য করেছেন ঝিনাইদহ জজ আদালতের এ্যাডভোকেট মোঃ আজিজুর রহমান (৪) ও সেলিনা খাতুন। তবে আমাদের তথ্যানুসন্ধান বলছে, গত ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসের ০১ তারিখে জমিটি ঝিনাইদহ সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ে যথাযথ নিয়ম মেনে সঠিকভাবে রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হয়।
এ বিষয়ে জমিটির ক্রেতা মোঃ রবিউল ইসলামের কাছে জমি ক্রয় করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি প্রথমে অস্বীকার করে বলেন, আমি কোন জমি ক্রয় করিনি। জমি কেনার জন্য টাকা বায়না করেছিলাম। জমি দিতে না পেরে আমার টাকা ফেরৎ দিয়েছে। জমি রেজিস্ট্রির দলিলের কথা উল্লেখ এবং আদালতে সলেনামায় নিজের দোষ স্বীকার করে আদালতে দাখিলের বিষয় উল্ল্যেখ করলে, তখন তিনি দোষ স্বীকার করে বলেন, আমি একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য, চাকরি শেষে জমানো টাকা দিয়ে বাড়ী করার জন্য কয়েকশতক জমি কিনেছিলাম ও রেজিস্ট্রি করেছিলাম। পরবর্তীতে জানতে পারি জমিটি পূর্বের মামলা রয়েছে আবার আমানত করা হয়েছে। বর্তমানের এই অবস্থায় আছে। এ বিষয়ে মামলার আরেক বিবাদী মোঃ শাহজাহনকে কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত এ্যাড. সেলিনা আক্তারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবোনা, আপনার যদি কোন কিছু জানার থাকে আপনি আমার সিনিয়র এ্যাড. মোঃ আজিজুর রহমান (৪) এর কাছ থেকে জানবেন। যেহেতু তিনি আমার সিনিয়র সেকারণে এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাইনা।
অভিযোগের বিষয়ে এ্যাড. আজিজুর রহমান (৪) এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে, বিচারাধীন কোন মামলার বিষয়ে আমি কথা বলতে পারবোনা। আর আপনাকে কেন বলতে হবে? আপনার যদি কোন কিছু জানার থাকে তাহলে সেটি আদালত থেকে জেনে নেবেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী মিরাজ জামান রাজ বলেন, ঘটনাটি জানার পর আমি বিস্মিত হয়েছি। আদালতে একটি আমানতের মামলা চলাকালীন আমানতের দলিল বাতিলের জন্য এ্যাডভোকেটের এমন প্রতারণার আশ্রয় নেয়াটা নজিরবিহীন ঘটনা। আইনের আশ্রয়ে মানুষ যায় ন্যায় বিচারের আশায়, কিন্তু একজন সিনিয়র এ্যাডভোকেট ও তার জুনিয়র অর্থ লিপ্সু হয়ে এমন প্রতারণামূলক কর্মকান্ডে আমি অত্যন্ত মর্মাহত।
ইতিমধ্যে এই দুই আইনজীবীর লাইসেন্স বাতিলের জন্য আমি ঝিনাইদহ আইনজীবী সমিতি সহ বার কাউন্সিলে লিখিতভাবে জানানোর উদ্যোগ নিয়েছি। প্রয়োজনে সংবাদ সম্মেলনসহ ঢাকা বার কাউন্সিলের সামনে মানববন্ধন করবো।
আমি এ্যাডভোকেট আজিজ-৪ ও সেলিনা খাতুনের এই অভিনব প্রতারণার জন্য দুই আইনজীবীর বার কাউন্সিলের লাইসেন্স বাতিল ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি। এই এ্যাডভোকেট আজিজুর রহমানের বিষয়ে আরও খোঁজ নিয়ে জানাযায়, বেশ কয়েকজন ব্যক্তির সাথে তিনি এমন কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছেন। সোহেল রানা নামে এক ব্যক্তি জানান, আমার জমি আদালত থেকে কমিশন করে দিয়েছিলো, আমার পক্ষে কমিশনে গিয়ে সে বিবাদীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে আমার মামলা স্থগিত করে দেয়। সে একজন দুনির্তীবাজ ও আওয়ামীলীগের দোসর।
এবিষয়ে ঝিনাইদহের সচেতন মহলের কয়েকজন বলেন, আইন অঙ্গনে কাজ করে যদি তারা বে আইনী কাজ করে সেটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এমন ঘটনা ঘটলে তাদের উপর থেকে মানুষের বিশ্বাস উঠে যাবে। এধরণের ঘটনা যেন আর না ঘটে সেদিকে ঝিনাইদহ জেলা বার এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দের বিশেষ নজর রাখার আহবান জানিয়েছেন তারা।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

হোসেনপুরে পারফরমেন্স বেজড গ্র্যান্টস স্কিম পুরস্কার বিতরণ

ঝিনাইদহে দুই আইনজীবীর বিরুদ্ধে নজিরবিহীন প্রতারণার অভিযোগ

পোস্ট হয়েছেঃ ০৬:১৯:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
আইনের চোখে ‘অগ্রক্রয়াধিকার’ একধরনের অধিকার হিসেবে স্বীকৃত হলেও, সেই অগ্রক্রয় (প্রিয়েমশান) মামলা নিয়ে ঝিনাইদহে অভিনব প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহ জজ আদালতের এ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান (৪) ও তার জুনিয়র সহকর্মী এ্যাডভোকেট সেলিনা খাতুনের বিরুদ্ধে।
২০২৪ সালের ১৬ মে ঝিনাইদহ সদর পৌরসভার মুরারীদহ মৌজায় ৪ শতক জমি নিয়ে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম ও শাহী মসজিদ পাড়ার মোঃ শাহাজাহান আলীকে বিবাদী করে অগ্রক্রয় (প্রিয়েমশান) মামলা করেন ঝিনাইদহের রাষ্ট্রপতি পদক প্রাপ্ত সাংবাদিক মিরাজ জামান রাজ যার নং- মিস-৩৮/২৪। উক্ত মামলা আদালতে দাখিল হলে বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত থেকে কোর্ট কমিশন করে জমির বর্তমান অবস্থা জানতে একটি কমিশন করে দেন। এ্যাডভোকেট সেলিনা খাতুন কমিশনার হিসেবে জমিতে সরেজমিনে যান এবং জমিটি খালি অবস্থায় আছে মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
সুত্র বলছে, জমিটি ভাল পজিশনের হওয়াই এ্যাড. সেলিনা বিবাদীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতে বিবাদী মোঃ রবিউল ও শাহাজাহানের সাথে যোগাযোগ করে ও আশ্বস্ত করেন যে, জমিটি আমানত হলেও সমস্যা নেই। ওই আমানতের (প্রিয়েমশান) দলিল বাতিল করা যাবে। বিনিময়ে ৫ লক্ষ টাকা দিতে হবে। সূত্রটি আরও জানায়, উপায়ন্তর না পেয়ে নগদ তিন লক্ষ টাকা দেন বিবাদীপক্ষ। পরবর্তীতে আরও ২ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা রয়েছে।
এরপর জমিটির অগ্রক্রয় (প্রিয়েমশান) মামলার দলিলটি বাতিল করতে সাজানো হয় এক অভিনব গল্প। এ্যাড. আজিজ-৪ আমানতের মামলায় জবাব দিতে দরখাস্ত দিয়ে ৬/৭বার সময় নেন। আর এসময়ের মধ্যে জমিটির ক্রেতা মোঃ রবিউল ইসলাম ও বিক্রেতা মোঃ শাহজাহান আলীর দিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন একটি মামলা দায়ের করেন যার নং – ৩৬৯/২৪। সেখানে দলিল দাতা শাহজাহান বলেন জমি বায়না করার নামে প্রতারণা করে রবিউল জমি রেজিষ্ট্রি করে নিয়েছে। আর রবিউল আদালতে সোলে করে স্বীকার করেন যে তিনি জমি প্রতারনা করে নিয়েছেন। এভাবেই আমানতের ঘটনা চেপে রেখে আদালত কে সত্য গোপন করে অভিনব পদ্ধতিতে করা হয় প্রতারণা।
অগ্রক্রয় (প্রিয়েমশান) মামলার নথি থেকে জানা যায়, ঝিনাইদহ পৌরসভার মুরারীদহ মৌজার আর. এস খতিয়ান ভুক্ত ১৬২৬ দাগের ৮৪ শতক জমির মধ্যে ৪২ শতক জমি মুনছুর আলী শাহ তার দুই ছেলের মধ্যে দানপত্র করে দেন। সেই জমি থেকে মুনছুর আলী শাহর ছোট ছেলে আব্দুর রাজ্জাক ২১ শতক জমি প্রাপ্ত হন। সেই ২১ শতক জমি হতে মোঃ শাহজাহান আলীর নিকট ৮ শতক জমি বিক্রয় করেন। পরবর্তীতে মোঃ শাহজাহন আলী অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মোঃ রবিউল ইসলামের নিকট ৪ শতক জমি বিক্রয় করলেও মামলার জবাবে সেটিকে প্রতারণা জালিয়াতি বলে উল্লেখ্য করেছেন ঝিনাইদহ জজ আদালতের এ্যাডভোকেট মোঃ আজিজুর রহমান (৪) ও সেলিনা খাতুন। তবে আমাদের তথ্যানুসন্ধান বলছে, গত ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসের ০১ তারিখে জমিটি ঝিনাইদহ সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ে যথাযথ নিয়ম মেনে সঠিকভাবে রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হয়।
এ বিষয়ে জমিটির ক্রেতা মোঃ রবিউল ইসলামের কাছে জমি ক্রয় করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি প্রথমে অস্বীকার করে বলেন, আমি কোন জমি ক্রয় করিনি। জমি কেনার জন্য টাকা বায়না করেছিলাম। জমি দিতে না পেরে আমার টাকা ফেরৎ দিয়েছে। জমি রেজিস্ট্রির দলিলের কথা উল্লেখ এবং আদালতে সলেনামায় নিজের দোষ স্বীকার করে আদালতে দাখিলের বিষয় উল্ল্যেখ করলে, তখন তিনি দোষ স্বীকার করে বলেন, আমি একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য, চাকরি শেষে জমানো টাকা দিয়ে বাড়ী করার জন্য কয়েকশতক জমি কিনেছিলাম ও রেজিস্ট্রি করেছিলাম। পরবর্তীতে জানতে পারি জমিটি পূর্বের মামলা রয়েছে আবার আমানত করা হয়েছে। বর্তমানের এই অবস্থায় আছে। এ বিষয়ে মামলার আরেক বিবাদী মোঃ শাহজাহনকে কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত এ্যাড. সেলিনা আক্তারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবোনা, আপনার যদি কোন কিছু জানার থাকে আপনি আমার সিনিয়র এ্যাড. মোঃ আজিজুর রহমান (৪) এর কাছ থেকে জানবেন। যেহেতু তিনি আমার সিনিয়র সেকারণে এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাইনা।
অভিযোগের বিষয়ে এ্যাড. আজিজুর রহমান (৪) এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে, বিচারাধীন কোন মামলার বিষয়ে আমি কথা বলতে পারবোনা। আর আপনাকে কেন বলতে হবে? আপনার যদি কোন কিছু জানার থাকে তাহলে সেটি আদালত থেকে জেনে নেবেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী মিরাজ জামান রাজ বলেন, ঘটনাটি জানার পর আমি বিস্মিত হয়েছি। আদালতে একটি আমানতের মামলা চলাকালীন আমানতের দলিল বাতিলের জন্য এ্যাডভোকেটের এমন প্রতারণার আশ্রয় নেয়াটা নজিরবিহীন ঘটনা। আইনের আশ্রয়ে মানুষ যায় ন্যায় বিচারের আশায়, কিন্তু একজন সিনিয়র এ্যাডভোকেট ও তার জুনিয়র অর্থ লিপ্সু হয়ে এমন প্রতারণামূলক কর্মকান্ডে আমি অত্যন্ত মর্মাহত।
ইতিমধ্যে এই দুই আইনজীবীর লাইসেন্স বাতিলের জন্য আমি ঝিনাইদহ আইনজীবী সমিতি সহ বার কাউন্সিলে লিখিতভাবে জানানোর উদ্যোগ নিয়েছি। প্রয়োজনে সংবাদ সম্মেলনসহ ঢাকা বার কাউন্সিলের সামনে মানববন্ধন করবো।
আমি এ্যাডভোকেট আজিজ-৪ ও সেলিনা খাতুনের এই অভিনব প্রতারণার জন্য দুই আইনজীবীর বার কাউন্সিলের লাইসেন্স বাতিল ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি। এই এ্যাডভোকেট আজিজুর রহমানের বিষয়ে আরও খোঁজ নিয়ে জানাযায়, বেশ কয়েকজন ব্যক্তির সাথে তিনি এমন কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছেন। সোহেল রানা নামে এক ব্যক্তি জানান, আমার জমি আদালত থেকে কমিশন করে দিয়েছিলো, আমার পক্ষে কমিশনে গিয়ে সে বিবাদীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে আমার মামলা স্থগিত করে দেয়। সে একজন দুনির্তীবাজ ও আওয়ামীলীগের দোসর।
এবিষয়ে ঝিনাইদহের সচেতন মহলের কয়েকজন বলেন, আইন অঙ্গনে কাজ করে যদি তারা বে আইনী কাজ করে সেটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এমন ঘটনা ঘটলে তাদের উপর থেকে মানুষের বিশ্বাস উঠে যাবে। এধরণের ঘটনা যেন আর না ঘটে সেদিকে ঝিনাইদহ জেলা বার এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দের বিশেষ নজর রাখার আহবান জানিয়েছেন তারা।