
বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি (বিআরইউ) এর সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। ৪ আগস্ট সোমবার বেলা ১১টায় রিপোর্টার্স ইউনিটির হলরুমে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল, জাতীয় দৈনিক পত্রিকা, স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন গণমাধ্যমের প্রায় শতাধিক সাংবাদিক এতে অংশ নেন।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল অ্যাডভোকে মুয়াযযম হোসাইন হেলাল মতবিনিময় সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও বরিশাল মহানগর আমীর অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মু. বাবর, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও বরিশাল জেলা আমীর অধ্যাপক আব্দুল জব্বার, জেলা নায়েবে আমীর মাস্টার আব্দুল মান্নান, মহানগর কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা হাবিবুর রহমান, মাহফুজুর রহমান আমিন, শামীম কবির, জামায়াত নেতা বায়জীদ বোস্তামী, আ.রশিদ, আব্দুস সত্তার প্রমুখ।
রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন বিআরইউ’র সভাপতি ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আনিছুর রহমান খান স্বপন। এছাড়া সাংবাদিকবৃন্দ তাদের নানা প্রশ্ন তুলে ধরেন।
অ্যাডভোকে মুয়াযযম হোসাইন হেলাল তার বক্তব্যের শুরুতে জুলাই বিপ্লবে শহীদ ও আহতদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রবীণ সদস্যদের সাহসীকতা ও সততার স্মৃতিচারণ করেন।
তিনি বলেন, ইতিপূর্বে শেখ হাসিনাকে প্রশ্নবিদ্ধ না করে যারা তোষামোদি করেছে তারাই হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট হতে সহযোগিতা করেছে। ওদিকে আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মীরা ছিল অর্থ বিত্ত কামাতে ব্যস্ত, আর সরকারী বাহিনী দিয়ে চালিয়েছে জুলুম নির্যাতন। বাংলাদেশের ইতিহাসে যুদ্ধ হলো, বিজয় আসলো, সরকারের পর সরকার আসলো কিন্তু জাতির মুক্তি মেলেনি। তাই স্ব স্ব পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি দেশ মাতৃকা নিয়েও প্রত্যেককে ভাবতে হবে। আমরা যে যেখানেই থাকি, প্রত্যেককে সৎ থাকতে হবে। আগামী নর্বাচনকে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ করতে সাংবাদিকদের লেখনির মাধ্যমে শক্ত ভুমিকা পালন করতে হবে। নির্বাচনকালীন বরিশালে যেন একটি সহমর্মিতা ও সহযোগিতা মূলক পরিবেশ বজায় থাকে সেজন্য সকল সাংবাদিকের সহযোগিতা কামনা করেন।
বরিশাল মহানগর জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন বাবর বলেন, জামায়াত ক্ষমতায় গেলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবে, দুর্নীতি মুক্ত সমাজ কিভাবে গড়বে তার দৃশ্যমান দৃষ্টান্ত ইতিপূর্বে দু’জন মন্ত্রী রেখে গেছেন।
জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আবদুল জব্বার বলেন, জামায়াত আইন হাতে তুলে নেয়না, তারা আইনের শাসনকে বিশ্বাস করে। ফ্যাসিস্টের হাতে নির্যাতিত ও ভুক্তভোগীরা আইনি পদক্ষেপ নিলে তাদের পাশে থাকবে জামায়াত।