
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে মোশারফ হোসেন (৪০) নামের এক শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকালে সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাকিম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার মীরগঞ্জ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে স্থানীয়রা তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করে।
মোশারফ হোসেন উপজেলার চাচীয়া মীরগঞ্জ গ্রামের মৃত নুরুজ্জামান মিয়ার ছেলে এবং ওই বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই শিক্ষক সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে মীরগঞ্জ-সোনারায়গামী বামনজল উচা ব্রীজ এলাকায় যেতে বলেন। ছাত্রীটি তার খালাতো বোনকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে গেলে শিক্ষক মোশারফ হোসেন এসে তার হাত ধরে টানাটানি করে মোটরসাইকেলে তোলার চেষ্টা করেন। এ সময় শিক্ষার্থীর চিৎকারে পথচারীরা এগিয়ে এলে তিনি দ্রুত সেখান থেকে সটকে পড়েন।
পরে শিক্ষার্থী ঘটনাটি পরিবারের সদস্য ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানালে স্থানীয়ভাবে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। খবর পেয়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে সুন্দরগঞ্জ থানার এসআই সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি পুলিশ দল গিয়ে মোশারফ হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, অভিযুক্ত শিক্ষক মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে পূর্বেও একাধিক অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আছে। আর ও জানা যায় অভিযুক্ত শিক্ষক তারাপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড জামাতের নেতা হওয়ার একটি মহল মেয়ের পরিবার এর সাথে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
স্হানীয়দের দাবি সুষ্ঠুতদন্ত করে দৃষ্টান্ত শাস্তির আওতায় আনা হউক।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাকিম আজাদ বলেন, ‘ভুক্তভোগী ছাত্রীর দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে শিক্ষক মোশারফ হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।