০৫:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজায় নগদ সংকটে বাজার অচল, প্রাচীন বিনিময় প্রথায় ফিরছে মানুষ

অবিরাম যুদ্ধ এবং দীর্ঘমেয়াদী অবরোধে পরিণত হয়েছে গাজার অর্থনীতি সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত। নগদ অর্থের তীব্র সংকটে বাজার কার্যত অচল অবস্থায় পড়েছে। ব্যাংকিং ব্যবস্থা ধ্বংসপ্রাপ্ত, ব্যাংক অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা তুলতেও পারছেন না মানুষ। ফলে নগদহীনতার কারণে পণ্য ও সেবার লেনদেন প্রায় বন্ধের পথে।
ইসরায়েলের ধারাবাহিক যুদ্ধজটিলতা ও অবরোধের পর থেকে গাজায় নগদ অর্থ সরবরাহ কার্যত বন্ধ হয়ে পড়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে অধিকাংশ ব্যাংক কার্যক্রম স্থবির—৯৮% ব্যাংক শাখা বন্ধ। এ সময়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে সরাসরি টাকা তুলতে পারছেন না। অল্পস্বল্প যেটুকু টাকা বা অনুদান আসছে, তা তুলতেও পড়তে হচ্ছে ‘মিডলম্যান’-এর ওপর। এই প্রক্রিয়ায় তুলোটাকার ওপর কমিশন ১৫-৪০% পর্যন্ত গুনতে হচ্ছে।
তীব্র নগদের অভাবে অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে, বাজার কার্যত অচল। বাজারে উপলব্ধ খাদ্য, ওষুধ কিংবা আনুষঙ্গিক পণ্য কিনতে নগদ অর্থের বদলে ফের শুরু হয়েছে বিনিময় প্রথা—রুটির বদলে ডাল, চিনি, সবজি, বা ব্যক্তিগত জিনিস। কোনো কোনো দোকানে ‘বিনিময়ে চুল কাটার’ মত বিজ্ঞাপন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে।
এই সংকট মোকাবেলায় গাজার সাধারণ মানুষ বাধ্য হয়ে ফিরে যাচ্ছে একসময়কার প্রাচীন বিনিময় প্রথায়, যেখানে নগদ অর্থের বদলে পণ্য দিয়ে পণ্য কেনাবেচা হচ্ছে।
রুটির বিনিময়ে ডাল, চিনি ও ওষুধ:
নগদের অভাবে রুটি বিক্রি হয়ে যাচ্ছে ডালের বিনিময়ে, চিনি দেওয়া হচ্ছে সবজির বিনিময়ে। এমনকি কখনো কখনো ওষুধের প্রয়োজন মেটানো হচ্ছে পুরনো জামাকাপড়, আসবাবপত্র কিংবা অন্যান্য ব্যক্তিগত জিনিসপত্র দিয়ে।
 ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, বাজার কার্যত অচল:
নগদ অর্থের সংকটের কারণে অনেক ছোট-বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। যারা বেঁচে আছে তারাও বিনিময় প্রথার মাধ্যমে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছেন। বাজারে অনেক দোকানে নগদ নেওয়া বন্ধ, পণ্যের বদলে পণ্যই চলছে।
নগদ সংকটে গাজার অর্থনীতি বিপর্যস্ত, ব্যাংক শাখার ৯৮% বন্ধ এবং নগদ তোলার জন্য ‘মিডলম্যানের’ ওপর নির্ভরতা বেড়ে গেছে। অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে বাজার কার্যত অচল। নাগরিকরা খাবার, ওষুধ ও প্রয়োজনীয় জিনিস বিনিময় প্রথায় কিনছেন—রুটির বদলে ডাল, চিনি, সবজি বা ব্যক্তিগত সামগ্রী দিয়ে লেনদেন করছেন। এমনকি ‘বিনিময়ে চুল কাটা’য়ের মতো বিজ্ঞাপনও দেখা যাচ্ছে। প্রাচীন এই বিনিময় প্রথা গাজার মানবিক সংকটের গভীরতা তুলে ধরছে।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

গাজার উপর ইসরায়েলের স্থল ও আকাশপথে একযোগে হামলা

গাজায় নগদ সংকটে বাজার অচল, প্রাচীন বিনিময় প্রথায় ফিরছে মানুষ

পোস্ট হয়েছেঃ ০৭:০০:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫
অবিরাম যুদ্ধ এবং দীর্ঘমেয়াদী অবরোধে পরিণত হয়েছে গাজার অর্থনীতি সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত। নগদ অর্থের তীব্র সংকটে বাজার কার্যত অচল অবস্থায় পড়েছে। ব্যাংকিং ব্যবস্থা ধ্বংসপ্রাপ্ত, ব্যাংক অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা তুলতেও পারছেন না মানুষ। ফলে নগদহীনতার কারণে পণ্য ও সেবার লেনদেন প্রায় বন্ধের পথে।
ইসরায়েলের ধারাবাহিক যুদ্ধজটিলতা ও অবরোধের পর থেকে গাজায় নগদ অর্থ সরবরাহ কার্যত বন্ধ হয়ে পড়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে অধিকাংশ ব্যাংক কার্যক্রম স্থবির—৯৮% ব্যাংক শাখা বন্ধ। এ সময়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে সরাসরি টাকা তুলতে পারছেন না। অল্পস্বল্প যেটুকু টাকা বা অনুদান আসছে, তা তুলতেও পড়তে হচ্ছে ‘মিডলম্যান’-এর ওপর। এই প্রক্রিয়ায় তুলোটাকার ওপর কমিশন ১৫-৪০% পর্যন্ত গুনতে হচ্ছে।
তীব্র নগদের অভাবে অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে, বাজার কার্যত অচল। বাজারে উপলব্ধ খাদ্য, ওষুধ কিংবা আনুষঙ্গিক পণ্য কিনতে নগদ অর্থের বদলে ফের শুরু হয়েছে বিনিময় প্রথা—রুটির বদলে ডাল, চিনি, সবজি, বা ব্যক্তিগত জিনিস। কোনো কোনো দোকানে ‘বিনিময়ে চুল কাটার’ মত বিজ্ঞাপন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে।
এই সংকট মোকাবেলায় গাজার সাধারণ মানুষ বাধ্য হয়ে ফিরে যাচ্ছে একসময়কার প্রাচীন বিনিময় প্রথায়, যেখানে নগদ অর্থের বদলে পণ্য দিয়ে পণ্য কেনাবেচা হচ্ছে।
রুটির বিনিময়ে ডাল, চিনি ও ওষুধ:
নগদের অভাবে রুটি বিক্রি হয়ে যাচ্ছে ডালের বিনিময়ে, চিনি দেওয়া হচ্ছে সবজির বিনিময়ে। এমনকি কখনো কখনো ওষুধের প্রয়োজন মেটানো হচ্ছে পুরনো জামাকাপড়, আসবাবপত্র কিংবা অন্যান্য ব্যক্তিগত জিনিসপত্র দিয়ে।
 ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, বাজার কার্যত অচল:
নগদ অর্থের সংকটের কারণে অনেক ছোট-বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। যারা বেঁচে আছে তারাও বিনিময় প্রথার মাধ্যমে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছেন। বাজারে অনেক দোকানে নগদ নেওয়া বন্ধ, পণ্যের বদলে পণ্যই চলছে।
নগদ সংকটে গাজার অর্থনীতি বিপর্যস্ত, ব্যাংক শাখার ৯৮% বন্ধ এবং নগদ তোলার জন্য ‘মিডলম্যানের’ ওপর নির্ভরতা বেড়ে গেছে। অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে বাজার কার্যত অচল। নাগরিকরা খাবার, ওষুধ ও প্রয়োজনীয় জিনিস বিনিময় প্রথায় কিনছেন—রুটির বদলে ডাল, চিনি, সবজি বা ব্যক্তিগত সামগ্রী দিয়ে লেনদেন করছেন। এমনকি ‘বিনিময়ে চুল কাটা’য়ের মতো বিজ্ঞাপনও দেখা যাচ্ছে। প্রাচীন এই বিনিময় প্রথা গাজার মানবিক সংকটের গভীরতা তুলে ধরছে।